19. অংশ ১৯ জরিমানা
www.executiveassist.blogspot.com
All Parts [PDF] - 100 tk Only
Whatsapp : 01833732194
রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ ও জরিমানা সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ১: রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ কোথায় প্রদর্শন করতে হবে?
উত্তর: ব্যবসার স্থানে সহজে দৃষ্টিগোচর স্থানে প্রদর্শন করতে হবে।
প্রশ্ন ২: রিটার্ন দাখিল না করলে কত টাকা জরিমানা হতে পারে?
উত্তর: জরিমানা হতে পারে ২০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকার মধ্যে।
প্রশ্ন ৩: যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া রিটার্ন দাখিল না করলে কী হবে?
উত্তর: সর্বশেষ নিরূপিত আয়ের উপর ১০% জরিমানা আরোপ হবে, ন্যূনতম ১,০০০ টাকা।
প্রশ্ন ৪: জরিমানার পরিমাণের সীমাবদ্ধতা কী?
উত্তর: নতুন করদাতার জন্য সর্বাধিক ৫,০০০ টাকা; পূর্ববর্তী করদাতার জন্য সর্বশেষ করের ৫০% অথবা ১,০০০ টাকা, যেটি অধিক।
প্রশ্ন ৫: তথ্য দাখিলে ব্যর্থ হলে জরিমানা কীভাবে নির্ধারণ হয়?
উত্তর: ১০% জরিমানা বা ৫,০০০ টাকা, এবং অব্যাহত থাকলে প্রতি মাসে ১,০০০ টাকা অতিরিক্ত।
প্রশ্ন ৬: ধারা ২০০ অনুযায়ী তথ্য দাখিলে ব্যর্থ হলে কী জরিমানা হতে পারে?
উত্তর: ৫০,০০০ টাকা জরিমানা এবং প্রতিদিন ৫০০ টাকা অতিরিক্ত।
হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কিত জরিমানা বিষয়ে প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ১: যেসব ব্যক্তির স্পর্শযোগ্য সম্পত্তি ভাড়া থেকে আয় নেই, তারা কীভাবে জরিমানা থেকে রেহাই পেতে পারেন?
উত্তর: যুক্তিসঙ্গত কারণ প্রদর্শন করতে পারলে জরিমানা থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে।
প্রশ্ন ২: স্পর্শযোগ্য সম্পত্তি ভাড়া থেকে আয় না থাকার ক্ষেত্রে কত জরিমানা হতে পারে?
উত্তর: প্রদেয় করের দেড়গুণ বা ৫,০০০ টাকা, যেটি অধিক।
প্রশ্ন ৩: স্পর্শযোগ্য সম্পত্তি ভাড়া থেকে আয় থাকলে জরিমানা কত হবে?
উত্তর: স্পর্শযোগ্য সম্পত্তি ভাড়া থেকে অর্জিত আয়ের জন্য প্রদেয় করের ৫০% বা ৫,০০০ টাকা, দুটির মধ্যে যেটি অধিক।
প্রশ্ন ৪: ধারা ৭২ এর উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী বিধি না মানলে কি ধরনের জরিমানা হতে পারে?
উত্তর: জরিমানা প্রদেয় করের দেড়গুণ বা ৫০% হতে পারে, বিষয়ভেদে।
জাল টিআইএন ব্যবহারের জন্য জরিমানা বিষয়ে প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ১: কীভাবে টিআইএন ব্যবহারে জরিমানা আরোপ করা হয়?
উত্তর: যদি কেউ যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া অন্যের বা জাল টিআইএন ব্যবহার করে, তাহলে জরিমানা আরোপ করা হয়।
প্রশ্ন ২: টিআইএন ব্যবহার না করার জন্য সর্বাধিক কত টাকা জরিমানা হতে পারে?
উত্তর: সর্বাধিক ২০,০০০ টাকা জরিমানা হতে পারে।
প্রশ্ন ৩: টিআইএন ব্যবহারে জরিমানা আরোপের ক্ষেত্রে কী বিষয়টি প্রমাণ করতে হবে?
উত্তর: ব্যবহারকারীর যুক্তিসঙ্গত কারণ না থাকার বিষয়টি প্রমাণ করতে হবে।
প্রশ্ন ৪: জাল টিআইএন ব্যবহারের ক্ষেত্রে করদাতা কী ধরনের আইনগত শাস্তির সম্মুখীন হতে পারে?
উত্তর: জাল টিআইএন ব্যবহারের ফলে আইন অনুযায়ী জরিমানা আরোপিত হতে পারে, যা অর্থনৈতিক ক্ষতির পাশাপাশি আইনি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
অগ্রিম কর পরিশোধে ব্যর্থতার জন্য জরিমানা বিষয়ে প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ১: অগ্রিম কর পরিশোধে ব্যর্থতার জন্য জরিমানার শর্ত কী?
উত্তর: যদি কোনো ব্যক্তি যৌক্তিক কারণ ছাড়া অগ্রিম কর পরিশোধে ব্যর্থ হন বা অসত্য প্রাক্কলন উপস্থাপন করেন।
প্রশ্ন ২: জরিমানার পরিমাণ কিভাবে নির্ধারণ করা হয়?
উত্তর: জরিমানা হবে উক্ত ব্যক্তির প্রদেয় কর ও প্রকৃতপক্ষে পরিশোধিত করের মধ্যে ব্যবধানের সমপরিমাণ, তবে এর চেয়ে বেশি নয়।
প্রশ্ন ৩: কোন ধারার বিধান অনুযায়ী অগ্রিম কর পরিশোধে ব্যর্থতা দেখা দেয়?
উত্তর: ধারাগুলি হল ১৫৪ এবং ১৫৫।
প্রশ্ন ৪: জরিমানার জন্য কে কর্তৃত্বশীল?
উত্তর: জরিমানা আরোপের কর্তৃত্ব রয়েছে উপকর কমিশনারের।
প্রশ্ন ৫: অসত্য প্রাক্কলন উপস্থাপন করলে কী ধরনের শাস্তি হতে পারে?
উত্তর: অসত্য প্রাক্কলনের জন্য জরিমানা আরোপিত হতে পারে, যা প্রদেয় কর ও পরিশোধিত করের মধ্যে ব্যবধানের বেশি নয়।
নোটিশের অমান্যতার জন্য জরিমানা বিষয়ে প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ১: নোটিশ অমান্য করার শর্ত কী?
উত্তর: যদি কোনো ব্যক্তি যৌক্তিক কারণ ছাড়া নির্ধারিত ধারার (১৬৭, ১৬৮, ১৭৯, ১৮১, ১৮৩, ২১২) অধীনে জারীকৃত নোটিশ অমান্য করেন।
প্রশ্ন ২: জরিমানার পরিমাণ কিভাবে নির্ধারণ করা হয়?
উত্তর: জরিমানা হবে উক্ত ব্যক্তির মোট আয়ের উপর আরোপযোগ্য করের সমপরিমাণ, তবে এর চেয়ে বেশি নয়।
প্রশ্ন ৩: কোন ধারার নোটিশ অমান্য করলে জরিমানা হবে?
উত্তর: জরিমানার জন্য ধারা ১৬৭, ১৬৮, ১৭৯, ১৮১, ১৮৩ এবং ২১২ এর নোটিশ অমান্য করতে হবে।
প্রশ্ন ৪: জরিমানা আরোপের কর্তৃত্ব কে রাখেন?
উত্তর: জরিমানা আরোপের কর্তৃত্ব রয়েছে উপকর কমিশনারের।
প্রশ্ন ৫: যৌক্তিক কারণ ব্যতীত নোটিশ অমান্য করলে কি ধরনের শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে?
উত্তর: যৌক্তিক কারণ ছাড়া নোটিশ অমান্য করার জন্য উক্ত ব্যক্তির উপর আরোপযোগ্য করের পরিমাণে জরিমানা আরোপ করা হতে পারে।
রিটার্নের ভিত্তিতে কর পরিশোধে ব্যর্থতার জন্য জরিমানা বিষয়ে প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ১: কর পরিশোধে ব্যর্থতার শর্ত কী?
উত্তর: কোনো ব্যক্তি স্বীকৃত করদায় পরিশোধ না করলে।
প্রশ্ন ২: জরিমানার পরিমাণ কীভাবে নির্ধারণ করা হবে?
উত্তর: জরিমানা হবে সম্পূর্ণ করের ২৫% (পঁচিশ শতাংশ) অথবা অপরিশোধিত আংশিক করের সমপরিমাণ।
প্রশ্ন ৩: জরিমানা আরোপের দায়িত্ব কে রাখেন?
উত্তর: জরিমানা আরোপের দায়িত্ব উপকর কমিশনারের।
প্রশ্ন ৪: কোন পরিস্থিতিতে জরিমানা আরোপ করা হবে?
উত্তর: যখন উপকর কমিশনার সন্তুষ্ট হন যে, কোনো ব্যক্তি কর পরিশোধ করেনি।
প্রশ্ন ৫: যদি অপরিশোধিত করের পরিমাণ বেশি হয়, তবে কী হবে?
উত্তর: তখন জরিমানা হবে অপরিশোধিত আংশিক করের সমপরিমাণ।
আয় গোপন করিবার জন্য জরিমানা বিষয়ে প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ১: আয় গোপন করার জন্য জরিমানার কি শর্ত?
উত্তর: যদি কোনো ব্যক্তি আয়, সম্পদ, দায়, ব্যয় বা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অসত্যভাবে প্রদর্শন করে এবং তা দ্বারা করদাতার প্রদেয় অঙ্কের ফাঁকি দেয়।
প্রশ্ন ২: জরিমানার হিসাব কিভাবে করা হবে?
উত্তর: জরিমানা হবে ফাঁকি দেওয়া অঙ্কের উপর ভিত্তি করে:
- ক = ফাঁকি দেওয়া অঙ্ক × 15%
- খ = ফাঁকি দেওয়া অঙ্ক × 10% × গ
- গ = অসত্য তথ্য প্রদর্শনের করবর্ষ থেকে উদঘাটিত করবর্ষ পর্যন্ত মোট বছর।
প্রশ্ন ৩: কার্যক্রম পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ কাকে বোঝায়?
উত্তর: কমিশনারের পদের নিচে না থাকা আয়কর কর্তৃপক্ষ এবং কর আপিল ট্রাইব্যুনালকে বোঝায়।
প্রশ্ন ৪: ফাঁকি দেওয়া অঙ্কের সংজ্ঞা কী?
উত্তর: ফাঁকি দেওয়া অঙ্ক বলতে বোঝায় সেই করবর্ষে প্রদেয় কর এবং অন্যান্য অঙ্ক, যেখানে অসত্য তথ্য প্রদর্শিত হয়।
প্রশ্ন ৫: ফাঁকি দেওয়া অঙ্কের নির্ণয়ে কোন তথ্য বিবেচনা করা হবে?
উত্তর: অসত্যভাবে প্রদর্শিত তথ্যের ভিত্তিতে নির্ধারিত আয়, সম্পদ, দায়, ব্যয় বা অন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট কর্তৃক জাল নিরীক্ষা প্রতিবেদন প্রণয়নের জন্য জরিমানা
প্রশ্ন ১: চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টের বিরুদ্ধে জরিমানার কি কারণ হতে পারে?
উত্তর: যদি নিরীক্ষা প্রতিবেদনটি:
1. আন্তর্জাতিক হিসাবরক্ষণ মান (IAS) এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিবেদন মান (IFRS) অনুযায়ী প্রস্তুত না করা হয়।
2. অথবা প্রতিবেদনটি অসত্য বা অশুদ্ধ হয়।
প্রশ্ন ২: জরিমানার পরিমাণ কিভাবে নির্ধারণ করা হবে?
উত্তর: জরিমানা হবে:
- সর্বনিম্ন ৫০,০০০ টাকা।
- সর্বোচ্চ ২,০০,০০০ টাকা।
প্রশ্ন ৩: কে জরিমানার জন্য সিদ্ধান্ত নেবে?
উত্তর: উপকর কমিশনার, অতিরিক্ত কর কমিশনার (আপিল), কমিশনার (আপিল) অথবা কর আপিল ট্রাইব্যুনাল।
জাল নিরীক্ষা প্রতিবেদন দাখিলের জন্য জরিমানা
প্রশ্ন ১: কী কারণে জরিমানা আরোপ করা হতে পারে?
উত্তর: যদি করদাতা কোনো আয়বর্ষের জন্য রিটার্নের সহিত বা পরবর্তী সময়ে দাখিলকৃত নিরীক্ষা প্রতিবেদনটি:
1. চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট কর্তৃক স্বাক্ষরিত না হয়।
2. অথবা অসত্য হিসাবে বিশ্বাসযোগ্য হয়।
প্রশ্ন ২: জরিমানার পরিমাণ কত হবে?
উত্তর: উক্ত করদাতার উপর উক্ত আয়বর্ষের জন্য ১ লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপ করা হবে।
প্রশ্ন ৩: জরিমানা আরোপের সিদ্ধান্ত কে নেবে?
উত্তর: উপকর কমিশনার, অতিরিক্ত কর কমিশনার (আপিল), কমিশনার (আপিল) অথবা আপিল ট্রাইব্যুনাল।
কর পরিশোধে খেলাপি হইবার জরিমানা
প্রশ্ন ১: কোন পরিস্থিতিতে জরিমানা আরোপ করা হবে?
উত্তর: যদি কোনো করদাতা কর পরিশোধে খেলাপি হন বা খেলাপি হিসাবে গণ্য হন।
প্রশ্ন ২: জরিমানার পরিমাণ কিভাবে নির্ধারণ করা হবে?
উত্তর: উপকর কমিশনার নির্দেশ প্রদান করবেন যে, বকেয়া করের অতিরিক্ত জরিমানা আদায় করা হবে, তবে এই জরিমানার পরিমাণ উক্ত বকেয়া করের অধিক হবে না।
প্রশ্ন ৩: জরিমানা আদায়ের দায়িত্ব কে পালন করবে?
উত্তর: উপকর কমিশনার।
ধারা ২৩৫ এর বিধান পরিপালন না করিবার জরিমানা
প্রশ্ন ১: কোন পরিস্থিতিতে জরিমানা আরোপ করা হবে?
উত্তর: যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ২৩৫ এর অধীন কোনো নোটিশ বা অধিযাচন পরিপালনে ব্যর্থ হন।
প্রশ্ন ২: জরিমানার হার কেমন হবে?
উত্তর: জরিমানা হবে ব্যক্তির দ্বারা সম্পাদিত প্রতিটি আন্তর্জাতিক লেনদেনের মূল্যমানের অনধিক ১%।
প্রশ্ন ৩: জরিমানার দায়িত্ব কে পালন করবে?
উত্তর: উপকর কমিশনার।
ধারা ২৩৭ এর বিধান পরিপালন না করিবার জরিমানা
প্রশ্ন ১: কোন পরিস্থিতিতে জরিমানা আরোপ করা হবে?
উত্তর: যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ২৩৭ অনুসারে কোনো তথ্য, দলিল বা রেকর্ড রাখতে, সংরক্ষণ করতে বা সরবরাহ করতে ব্যর্থ হন।
প্রশ্ন ২: জরিমানার হার কত হবে?
উত্তর: জরিমানা হবে ব্যক্তির দ্বারা সম্পাদিত প্রতিটি আন্তর্জাতিক লেনদেনের মূল্যমানের অনধিক ১%।
প্রশ্ন ৩: জরিমানার দায়িত্ব কে পালন করবে?
উত্তর: উপকর কমিশনার।
ধারা ২৩৮ এর বিধান পরিপালন না করিবার জরিমানা
প্রশ্ন ১: কবে জরিমানা আরোপ করা হবে?
উত্তর: যখন কোনো ব্যক্তি ধারা ২৩৮ এর বিধানাবলি পরিপালনে ব্যর্থ হন।
প্রশ্ন ২: জরিমানার হার কত?
উত্তর: জরিমানা হবে ব্যক্তি কর্তৃক সম্পাদিত প্রতিটি আন্তর্জাতিক লেনদেনের মূল্যমানের অনধিক ২%।
প্রশ্ন ৩: জরিমানা আরোপের দায়িত্ব কার?
উত্তর: উপকর কমিশনার।
ধারা ২৩৯ এর বিধান পরিপালন না করিবার জরিমানা
প্রশ্ন ১: কবে জরিমানা আরোপ করা হবে?
উত্তর: যখন কোনো ব্যক্তি ধারা ২৩৯ অনুযায়ী রিপোর্ট দাখিল করতে ব্যর্থ হন।
প্রশ্ন ২: জরিমানার সর্বোচ্চ পরিমাণ কত?
উত্তর: জরিমানার পরিমাণ হবে অনধিক ৩ (তিন) লক্ষ টাকা।
প্রশ্ন ৩: জরিমানা আরোপের দায়িত্ব কার?
উত্তর: উপকর কমিশনার।
শুনানি ব্যতীত জরিমানা আরোপে নিষেধাজ্ঞা
প্রশ্ন ১: কি কারণে জরিমানা আরোপ করা যাবে না?
উত্তর: কোনো ব্যক্তির শুনানি গ্রহণ না করে বা শুনানির যুক্তিসঙ্গত সুযোগ প্রদান না করে।
প্রশ্ন ২: জরিমানা আরোপের ক্ষেত্রে কি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে?
উত্তর: ব্যক্তিকে শুনানির সুযোগ প্রদান করতে হবে।
প্রশ্ন ৩: এটি কোন ধরনের বিধি?
উত্তর: এটি জরিমানার প্রক্রিয়া সংক্রান্ত বিধি।
জরিমানা আরোপের জন্য পরিদর্শী অতিরিক্ত কর কমিশনারের পূর্বানুমোদন
প্রশ্ন ১: কোন পরিস্থিতিতে উপকর কমিশনার জরিমানা আরোপ করতে পারেন?
উত্তর: উপকর কমিশনার পরিদর্শী অতিরিক্ত কর কমিশনারের পূর্বানুমোদন ছাড়া জরিমানা আরোপ করতে পারবেন না।
প্রশ্ন ২: কোন ধারাগুলোর ক্ষেত্রে পূর্বানুমোদন প্রয়োজন নেই?
উত্তর: ধারা ২৬৬, ২৭৫, ২৭৬, ২৭৭, ২৭৮ ও ২৭৯।
প্রশ্ন ৩: এই বিধির উদ্দেশ্য কী?
উত্তর: এটি নিশ্চিত করে যে, জরিমানা আরোপের প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু হয়।
উপকর কমিশনারের নিকট জরিমানা আদেশ প্রেরণ
প্রশ্ন ১: যদি অন্য কোনো আয়কর কর্তৃপক্ষ জরিমানা আরোপের আদেশ প্রদান করে, তাহলে কি করতে হবে?
উত্তর: সেই ক্ষেত্রে, তাৎক্ষণিকভাবে উক্ত আদেশের একটি অনুলিপি উপকর কমিশনার বরাবর প্রেরণ করতে হবে।
প্রশ্ন ২: জরিমানা আদায়ের ক্ষেত্রে কি বিশেষ কিছু নিয়ম রয়েছে?
উত্তর: হ্যাঁ, জরিমানা আদায়ের সাথে সংশ্লিষ্ট সমস্ত আইনগত বিধান কার্যকর হবে যেন আদেশটি উপকর কমিশনার দ্বারা প্রদান করা হয়েছে।
প্রশ্ন ৩: এই প্রক্রার উদ্দেশ্য কী?
উত্তর: এটি নিশ্চিত করে যে, জরিমানা আদায়ের প্রক্রিয়াটি সুষ্ঠু ও কার্যকর হয় এবং উক্ত আদেশের কার্যকারিতা সুস্পষ্ট থাকে।
জরিমানা অন্য কোনো দায়ের অধিকারকে ক্ষুণ্ন করিবে না
প্রশ্ন ১: এই ধারার উদ্দেশ্য কী?
উত্তর: এই ধারার উদ্দেশ্য হলো নিশ্চিত করা যে, যে কোনো জরিমানা আরোপ করা হলে তা উক্ত ব্যক্তির অন্য কোনো আইনি দায়ের অধিকারকে ক্ষুণ্ন করবে না।
প্রশ্ন ২: যদি একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে জরিমানা আরোপ করা হয়, তাহলে তার অন্য দায়ের ক্ষেত্রে কী হবে?
উত্তর: জরিমানার কারণে তার বিরুদ্ধে অন্য কোনো আইনের অধীন দায় থাকা সত্ত্বেও সেই দায়ের অধিকার অক্ষুণ্ন থাকবে।
প্রশ্ন ৩: এই নিয়মের গুরুত্ব কী?
উত্তর: এটি নিশ্চিত করে যে, কোনো ব্যক্তি একই সময় বিভিন্ন আইনের অধীনে দায়ী হলে, একটি জরিমানার কারণে তার অধিকার ক্ষুণ্ন হবে না, যা ন্যায়বিচার ও আইনের শাসনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে।
সংশোধিত আয়ের পরিমাণের ভিত্তিতে জরিমানা আদেশ সংশোধন
প্রশ্ন ১: এই ধারার উদ্দেশ্য কী?
উত্তর: এই ধারার উদ্দেশ্য হলো, যখন আয় সংশোধন হয়, তখন সেই আয়ের ভিত্তিতে আরোপিত জরিমানার পরিমাণও সংশোধন করা যেতে পারে।
প্রশ্ন ২: জরিমানার পরিমাণ সংশোধনের প্রক্রিয়া কী?
উত্তর:
1. উপকর কমিশনার সংশোধিত আয়ের পরিমাণ অনুযায়ী জরিমানা সংশোধনের আদেশ জারি করতে পারেন।
2. জরিমানার পরিমাণ বৃদ্ধি সংক্রান্ত আদেশের আগে জরিমানাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে শুনানির সুযোগ দিতে হবে।
প্রশ্ন ৩: যদি সংশোধিত জরিমানার আদেশ জারি না হয়, তাহলে করদাতা কী করতে পারে?
উত্তর: সংশোধিত কর নির্ধারণী আদেশ জারির পর যদি ১৮০ দিনের মধ্যে জরিমানার সংশোধনের আদেশ না হয়, তাহলে করদাতা উপকর কমিশনারকে আবেদন করতে পারে এবং সেই অবস্থায় সংশোধিত কর অনুযায়ী জরিমানা আদেশটি স্বীকৃত হবে।
www.executiveassist.blogspot.com
