18. অংশ -১৮ করদাতা নিবন্ধন
www.executiveassist.blogspot.com
All Parts [PDF] - 100 tk Only
Whatsapp : 01833732194
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর: করদাতা নিবন্ধন
প্রশ্ন ১: কে বা কারা নিজেকে করদাতা হিসেবে নিবন্ধন করতে পারবেন?
উত্তর: নিবন্ধন করতে পারবেন:
1. যিনি করদাতা হন।
2. যিনি ধারা ১৬৬ এর অধীন রিটার্ন জমা দিতে বাধ্য হন।
3. যিনি ধারা ২৬৪ এর অধীন রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ উপস্থাপন করতে বাধ্য হন।
4. যিনি কর প্রদান বা রিটার্ন দাখিল করতে ইচ্ছুক হন।
প্রশ্ন ২: নিবন্ধিত করদাতাকে কী প্রদান করা হবে?
উত্তর: নিবন্ধিত করদাতাকে একটি করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) প্রদান করা হবে।
প্রশ্ন ৩: টিআইএন আপগ্রেডেশন বা পুনঃনিবন্ধনের জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে?
উত্তর: বোর্ড, সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, টিআইএনধারী ব্যক্তি বা ব্যক্তি শ্রেণিকে তথ্য বা দলিলাদি উপস্থাপনের নির্দেশ দিতে পারে।
প্রশ্ন ৪: নিবন্ধিত করদাতা হওয়ার যোগ্য কেউ নিবন্ধন না নিলে কী হবে?
উত্তর: আয়কর কর্তৃপক্ষ সেই ব্যক্তিকে নিবন্ধিত করে টিআইএন প্রদান করতে পারে। সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর: করদাতার নিবন্ধন বাতিল
প্রশ্ন ১: একজন ব্যক্তি কবে নিবন্ধন বাতিলের আবেদন করতে পারবেন?
উত্তর: নিবন্ধন বাতিলের আবেদন করা যাবে যদি ব্যক্তি:
1. রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ উপস্থাপন করতে বাধ্য না হন এবং:
- করদাতা হিসেবে সংজ্ঞায়িত না হন।
- বিগত ৩ বছর করযোগ্য আয় শূন্য থাকে এবং ভবিষ্যতে শূন্য থাকবে।
- রিটার্ন দাখিলের প্রয়োজন না থাকে।
2. মৃত্যু, অবসায়ন, অবলুপ্তি বা অনুরূপ কারণে অস্তিত্বহীন হন।
3. স্থায়ীভাবে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন।
4. ডুপ্লিকেট বা ভুল নিবন্ধন পান।
5. আইনি মর্যাদা পরিবর্তন করেন।
6. অন্য কোনো আইনানুগ কারণ প্রদর্শন করেন।
প্রশ্ন ২: নিবন্ধন বাতিলের আবেদন করার পর আয়কর কর্তৃপক্ষ কীভাবে কাজ করবে?
উত্তর: আবেদন পাওয়ার পর আয়কর কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাই করে নিবন্ধন বাতিল করবে যদি নিশ্চিত হন যে:
1. করদাতার বকেয়া দায় নেই।
2. করদাতার বিরুদ্ধে কোনো কর নির্ধারণ নিষ্পন্নাধীন নেই।
3. কোনো ফোরামে আয়কর সংক্রান্ত বিরোধ নেই।
4. আবেদনকারীর উল্লেখিত কারণের সত্যতা রয়েছে।
প্রশ্ন ৩: বোর্ড কী কারণে স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে নিবন্ধন বাতিল করতে পারে?
উত্তর: বোর্ড নিবন্ধন বাতিল করতে পারে যদি:
1. নিবন্ধন বাতিলের যুক্তি থাকে।
2. করদাতার প্রকৃত আয় নেই বলে বিশ্বাসের কারণ থাকে।
3. নিবন্ধন আর্থিক অপরাধ বা অর্থ পাচারের উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।
4. নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় প্রদত্ত তথ্য ভুল ও অসত্য।
প্রশ্ন ৪: নিবন্ধন বাতিলের পর তথ্য ও রেকর্ড সংরক্ষণে কী করা হবে?
উত্তর: বোর্ড নিবন্ধন বাতিলকৃত করদাতার তথ্য ও রেকর্ড নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে পারবে।
প্রশ্ন ৫: "নিবন্ধন বাতিল" বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: "নিবন্ধন বাতিল" মানে টিআইএন এর নিষ্ক্রিয়করণ, রহিতকরণ এবং সাধারণের ব্যবহারের জন্য অযোগ্য করা, তবে ইতিমধ্যে প্রাপ্ত তথ্যের বিলোপ বোঝায় না।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর: উইথহোল্ডার শনাক্তকরণ নম্বর (ডব্লিউআইএন)
প্রশ্ন ১: কোন ব্যক্তিকে উইথহোল্ডার শনাক্তকরণ নম্বর (ডব্লিউআইএন) গ্রহণ করতে হবে?
উত্তর: যেসব ব্যক্তি অংশ ৭ এর অধীন কর কর্তন বা আদায় করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তাদের ডব্লিউআইএন গ্রহণ করতে হবে।
প্রশ্ন ২: যদি কেউ ডব্লিউআইএন গ্রহণ না করে তবে কি হবে?
উত্তর: ডব্লিউআইএন গ্রহণ না করলেও ব্যক্তিগত দায় আরোপসহ ওই ব্যক্তির উপর কার্যক্রম গ্রহণে কোনো বাধা থাকবে না।
প্রশ্ন ৩: যদি কেউ ডব্লিউআইএন গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে কী হবে?
উত্তর: বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে ওই ব্যক্তিকে একটি অস্থায়ী উইথহোল্ডার নম্বর (টিডব্লিউআইএন) প্রদান করা হবে।
প্রশ্ন ৪: ডব্লিউআইএন এর উদ্দেশ্য কী?
উত্তর: ডব্লিউআইএন এর উদ্দেশ্য হলো কর কর্তন বা আদায়ের প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ ও সহজ করা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের শনাক্তকরণ।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর: করদাতা নিবন্ধন এবং রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ
প্রশ্ন ১: রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিলের বাধ্যবাধকতা কী?
উত্তর: উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত ক্ষেত্রসমূহে ব্যক্তিদের রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিল করতে হবে।
প্রশ্ন ২: "রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ" বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: এটি অন্তর্ভুক্ত করে:
- রিটার্ন দাখিলের প্রত্যয়ন বা প্রাপ্তি স্বীকার পত্র।
- করদাতার নাম, টিআইএন এবং করবর্ষ সংবলিত সিস্টেম জেনারেটেড সার্টিফিকেট।
- উপকর কমিশনার কর্তৃক ইস্যুকৃত প্রত্যয়ন।
প্রশ্ন ৩: কোন ক্ষেত্রসমূহে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিল করতে হবে?
উত্তর: উদাহরণস্বরূপ:
- ২০ লক্ষাধিক টাকার ঋণ গ্রহণে।
- কোম্পানির পরিচালক বা শেয়ারহোল্ডার হলে।
- আমদানি নিবন্ধন সনদ বা ট্রেড লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে।
প্রশ্ন ৪: যদি কেউ রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিল না করে তবে কী হবে?
উত্তর: সেই ক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি কোনো যাচাই-বাচাই, অনুমোদন, বা পেমেন্ট প্রদান থেকে বিরত থাকবেন।
প্রশ্ন ৫: জরিমানা আরোপের প্রক্রিয়া কী?
উত্তর: দাখিলকৃত রিটার্ন দাখিলের প্রমাণের সত্যতা যাচাইয়ে ব্যর্থ হলে উপকর কমিশনার ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা আরোপ করতে পারেন, তবে যুক্তিসঙ্গত শুনানির সুযোগ দিতে হবে।
প্রশ্ন ৬: নির্দিষ্ট ব্যক্তির জন্য রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিলের পরিবর্তে কী দাখিল করতে হবে?
উত্তর: নির্দিষ্ট ব্যক্তি নাম ও টিআইএন সংবলিত প্রত্যয়নপত্র দাখিল করবেন নিবন্ধন বা গঠনের বছর এবং পরের বছর।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর: করদাতা নিবন্ধন এবং রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ (ক্রমাগত)
প্রশ্ন ৭: রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিল না করায় কি ধরনের জরিমানা হতে পারে?
উত্তর: যদি দাখিলকৃত রিটার্নের প্রমাণের সত্যতা যাচাইয়ে ব্যর্থ হন, তাহলে উপকর কমিশনার ১০ লক্ষ টাকার জরিমানা আরোপ করতে পারেন।
প্রশ্ন ৮: বোর্ড কিভাবে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিলের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দিতে পারে?
উত্তর: বোর্ড সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা কোনো ব্যক্তিকে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিলের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দিতে পারে।
প্রশ্ন ৯: রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিল করতে না পারলে কি হবে?
উত্তর: সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে কোনো যাচাই-বাচাই, অনুমোদন, অথবা পেমেন্টের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিল করা হয়।
প্রশ্ন ১০: নিবন্ধিত এনজিও বা ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থার জন্য রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ কীভাবে প্রযোজ্য?
উত্তর: নিবন্ধিত এনজিও বা ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থাগুলোর জন্য বিদেশি অনুদানের অর্থ ছাড় করতে হলে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিল করা বাধ্যতামূলক।
প্রশ্ন ১১: একটি নতুন কোম্পানি প্রতিষ্ঠার পর কীভাবে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিল করতে হবে?
উত্তর: নতুন প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি নিবন্ধন বা গঠনের বছর এবং পরের বছরের মধ্যে টিআইএন সহ প্রত্যয়নপত্র দাখিল করবে।
প্রশ্ন ১২: করদাতার নাম, টিআইএন এবং করবর্ষ উল্লেখ করা সিস্টেম জেনারেটেড সার্টিফিকেট কোথা থেকে পাওয়া যাবে?
উত্তর: এই সার্টিফিকেটটি সাধারণত আয়কর বিভাগ বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে পাওয়া যায়।
প্রশ্ন ১৩: কি ধরনের পেশাজীবীদের রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিল করতে হবে?
উত্তর: চিকিৎসক, আইনজীবী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট, ইঞ্জিনিয়ার, স্থপতি এবং অন্যান্য স্বীকৃত পেশাজীবীদের এই প্রমাণ দাখিল করতে হবে।
প্রশ্ন ১৪: মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে কী প্রমাণ দাখিল করতে হবে?
উত্তর: মোবাইল ব্যাংকিং বা ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তর করার সময় রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিল করতে হবে।
প্রশ্ন ১৫: কিভাবে একজন ব্যক্তি যে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিল করেছে তার সঠিকতা যাচাই করবে?
উত্তর: ব্যক্তি বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে দাখিলকৃত রিটার্ন দাখিলের প্রমাণের সঠিকতা যাচাই করবেন।
রচনামূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ১: রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিলের প্রয়োজনীয়তা কেন অপরিহার্য?
উত্তর: রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিলের প্রয়োজনীয়তা মূলত স্বচ্ছতা ও যথাযথ কর প্রশাসনের জন্য অপরিহার্য। এটি নিশ্চিত করে যে করদাতারা তাদের আয়ের সঠিক তথ্য প্রদানের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব সংগ্রহে সহায়তা করছে। এর মাধ্যমে করদাতাদের মধ্যে জবাবদিহিতা ও দায়িত্বশীলতা প্রতিষ্ঠিত হয়, যা সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প এবং সেবা প্রদানেও সহায়ক।
প্রশ্ন ২: কোন ক্ষেত্রসমূহে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিল করা বাধ্যতামূলক?
উত্তর: রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিলের বাধ্যবাধকতা নিম্নোক্ত ক্ষেত্রসমূহে রয়েছে:
1. ২০ লক্ষাধিক টাকার ঋণ গ্রহণ।
2. কোম্পানির পরিচালক বা শেয়ারহোল্ডার হওয়া।
3. আমদানি/রপ্তানি নিবন্ধন প্রাপ্তি।
4. সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভায় ট্রেড লাইসেন্স।
5. চিকিৎসক, আইনজীবী, এবং অন্যান্য পেশাজীবীদের পেশাগত সদস্যপদ।
প্রশ্ন ৩: রিটার্ন দাখিলের প্রমাণের বিভিন্ন ধরণ কী কী?
উত্তর: রিটার্ন দাখিলের প্রমাণের তিনটি প্রধান ধরণ রয়েছে:
1. রিটার্ন দাখিলের প্রত্যয়ন বা প্রাপ্তি স্বীকারপত্র।
2. টিআইএন এবং করবর্ষ উল্লেখিত সিস্টেম জেনারেটেড সার্টিফিকেট।
3. উপকর কমিশনার কর্তৃক ইস্যুকৃত প্রত্যয়ন।
প্রশ্ন ৪: যদি একজন করদাতা রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিল করতে ব্যর্থ হন, তাহলে তার কী ধরনের শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে?
উত্তর: যদি একজন করদাতা রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিল করতে ব্যর্থ হন, তাহলে উপকর কমিশনার ১০ লক্ষ টাকার জরিমানা আরোপ করতে পারেন। এছাড়া, তার অন্যান্য আবেদন বা লাইসেন্সের কার্যক্রম আটকে যেতে পারে।
প্রশ্ন ৫: কোন ব্যক্তিরা রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিল থেকে অব্যাহতি পেতে পারেন?
উত্তর: বোর্ডের সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা কোনো ব্যক্তিকে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিল থেকে অব্যাহতি দেয়া হতে পারে। তবে, এই অব্যাহতির জন্য নির্দিষ্ট শর্তাবলী থাকতে পারে।
প্রশ্ন ৬: নতুন প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি প্রতিষ্ঠার পর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ কীভাবে উপস্থাপন করবে?
উত্তর: নতুন প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির জন্য প্রতিষ্ঠার বছরে এবং পরবর্তী বছরে টিআইএন সহ প্রত্যয়নপত্র দাখিল করা বাধ্যতামূলক। এটি বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতির মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে।
প্রশ্ন ৭: মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ কেন প্রযোজ্য?
উত্তর: মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ প্রযোজ্য, কারণ এটি সরকারের রাজস্বে স্বচ্ছতা ও তথ্য সঠিকতার নিশ্চয়তা দেয়, যা অর্থনৈতিক লেনদেনে জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করে।
প্রশ্ন ৮: রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিল করার প্রক্রিয়া কী?
উত্তর: রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিলের জন্য করদাতাকে টিআইএন নম্বর সহ প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টেশন তৈরি করতে হবে এবং সেটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনলাইনে অথবা শারীরিকভাবে জমা দিতে হবে।
প্রশ্ন ১: রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ প্রদর্শনের গুরুত্ব কী?
উত্তর: রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ প্রদর্শনের গুরুত্ব হলো এটি ব্যবসার স্বচ্ছতা এবং সরকারী কর্তৃপক্ষের সাথে করদাতার সম্পর্ককে দৃঢ় করে। প্রমাণ প্রদর্শন করলে সরকারী কর্তৃপক্ষ সহজে নিশ্চিত হতে পারে যে করদাতা তাদের ব্যবসার আয় সঠিকভাবে রিপোর্ট করছে এবং দেশের কর ব্যবস্থাকে সহযোগিতা করছে।
প্রশ্ন ২: করদাতাকে কোথায় রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ প্রদর্শন করতে হবে?
উত্তর: করদাতাকে তার ব্যবসার স্থানে সহজে দৃষ্টিগোচর হয় এমন স্থানে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ প্রদর্শন করতে হবে। এটি সাধারণত অফিসের প্রবেশপথে বা কর্মচারীদের জন্য উন্মুক্ত স্থানে হতে পারে।
প্রশ্ন ৩: যদি কোনো করদাতা রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ প্রদর্শনে ব্যর্থ হন, তাহলে তার শাস্তি কী?
উত্তর: যদি কোনো করদাতা রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ প্রদর্শনে ব্যর্থ হন, তাহলে উপকর কমিশনার তাকে ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা আরোপ করতে পারবেন।
প্রশ্ন ৪: করদাতাদের জন্য রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ প্রদর্শন করার প্রক্রিয়া কী?
উত্তর: করদাতাদের জন্য রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ প্রদর্শনের প্রক্রিয়া হলো, তাদের রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ (যেমন সার্টিফিকেট বা প্রত্যয়নপত্র) প্রস্তুত করে সেটি তাদের ব্যবসার স্থানে প্রদর্শন করা। এ কাজটি নিয়মিতভাবে করতে হবে, যাতে সরকারী কর্তৃপক্ষ সহজেই যাচাই করতে পারে।
প্রশ্ন ৫: কেন ব্যবসার স্থানে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ প্রদর্শন করা উচিত?
উত্তর: ব্যবসার স্থানে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ প্রদর্শন করা উচিত, কারণ এটি কেবল আইনগত বাধ্যবাধকতা নয়, বরং এটি ব্যবসায়িক স্বচ্ছতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। এটি গ্রাহকদের এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে আস্থা তৈরি করে।
www.executiveassist.blogspot.com
