15.অংশ ১৫ - কর পরিহার রোধ
www.executiveassist.blogspot.com
All Parts [PDF] - 100 tk Only
Whatsapp : 01833732194
প্রশ্ন ও উত্তর: কর সুবিধা ও এর অপব্যবহার
প্রশ্ন ১: "কর সুবিধা" এর মধ্যে কি কি বিষয় অন্তর্ভুক্ত?
উত্তর:
(ক) আয়কর পরিহার বা হ্রাস করা।
(খ) আয়কর পরিশোধের দায় থেকে মুক্তি পাওয়া।
(গ) করদায় পরিহার, স্থগিত বা হ্রাসকরণ।
(ঘ) আয়কর পরিশোধে বিলম্ব করা।
(ঙ) উৎসে কর কর্তন বা সংগ্রহ থেকে মুক্তি পাওয়া।
প্রশ্ন ২: "ব্যবস্থা" শব্দের অর্থ কি?
উত্তর: "ব্যবস্থা" বলতে বলবৎযোগ্য বা অবলবৎযোগ্য সম্মতি, চুক্তি, পরিকল্পনা বা সমঝোতা বোঝানো হয় যা কার্যকর হয়।
প্রশ্ন ৩: "কর ব্যবস্থার অপব্যবহার" কি?
উত্তর: কর ব্যবস্থার অপব্যবহার হল কোন ব্যবস্থা যা সরাসরি বা পরোক্ষভাবে কর সুবিধা সৃষ্টি করে, যদি না তা অন্য কোনো সরল উদ্দেশ্যে গৃহীত হয়।
প্রশ্ন ৪: কর ব্যবস্থার অপব্যবহারের ক্ষেত্রে কি শর্ত থাকতে হবে?
উত্তর: যদি ব্যবস্থা যুক্তিসঙ্গতভাবে কোনো কর সুবিধা অর্জনের উদ্দেশ্য ব্যতীত গৃহীত না হয়।
প্রশ্ন ও উত্তর: কর সুবিধা সমন্বয় ও কর পরিহার রোধ
প্রশ্ন ১: উপকর কমিশনার কর সুবিধার অপব্যবহার দেখতে পেলে কি ব্যবস্থা নিতে পারেন?
উত্তর: উপকর কমিশনার প্রয়োজনীয় সমন্বয়ের মাধ্যমে কর সুবিধার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন।
প্রশ্ন ২: কর সুবিধার সমন্বয়ের মধ্যে কি কি বিষয় অন্তর্ভুক্ত?
উত্তর:
(ক) আয় বৃদ্ধিকরণ।
(খ) করদায় সংশোধন।
(গ) কর প্রত্যর্পণের সমন্বয়।
(ঘ) ভাতাদি, রেয়াত ইত্যাদির সংশোধন।
(ঙ) কর সুবিধা প্রত্যাহারের জন্য অন্য কোনো আদেশ।
প্রশ্ন ৩: এই ধারার অধীনে যেকোনো সমন্বয় কিভাবে কার্যকর হবে?
উত্তর: এই ধারার অধীন যেকোনো সমন্বয় আইনটির সকল উদ্দেশ্য পূরণের জন্য কার্যকর হবে।
প্রশ্ন ও উত্তর: সমন্বয়ের পদ্ধতি
প্রশ্ন ১: কর সুবিধার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপকর কমিশনার কি ধরনের নোটিশ জারি করবেন?
উত্তর: উপকর কমিশনার নোটিশে নিম্নলিখিত বিষয় উল্লেখ করবেন:
(ক) করদাতা কর ব্যবস্থার অপব্যবহার করে কর সুবিধা গ্রহণ করেছে বলে কমিশনারের বিশ্বাসের কারণ।
(খ) প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, সমন্বয়ের উদ্দেশ্য এবং গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থা।
(গ) করদাতাকে নির্দিষ্ট তারিখে কমিশনারের কাছে হাজির হওয়ার জন্য।
(ঘ) কর সুবিধা গ্রহণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় দলিলাদি ও তথ্য উপস্থাপনের জন্য।
প্রশ্ন ২: করদাতাকে শুনানির জন্য কি ধরনের সময়সীমা প্রদান করতে হবে?
উত্তর: করদাতাকে শুনানির জন্য নোটিশ অবহিতকরণের তারিখ থেকে শুনানির দিন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩০ দিন সময় প্রদান করতে হবে।
প্রশ্ন ৩: উপকর কমিশনার সমন্বয়ের আদেশ কিভাবে প্রদান করবেন?
উত্তর: উপকর কমিশনার, রেকর্ড এবং করদাতার দাখিলকৃত ও শুনানির সময়ে উপস্থাপিত দলিলাদির ভিত্তিতে সব তথ্য বিবেচনা করে কর কমিশনারের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে সমন্বয়ের আদেশ প্রদান করবেন এবং আদেশের তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে করদাতাকে অবহিত করবেন।
প্রশ্ন ও উত্তর: কর পরিহার রোধ এবং সমন্বয়
প্রশ্ন ১: “আর্মস লেংথ প্রাইস” কী?
উত্তর: আর্মস লেংথ প্রাইস হল সেই লেনদেনের মূল্য, যা স্বাধীন সত্তাসমূহের মধ্যে পরিচালিত তুলনীয় অনিয়ন্ত্রিত লেনদেনের শর্তাবলীর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
প্রশ্ন ২: “সহযোগী প্রতিষ্ঠান” কাকে বলা হয়?
উত্তর: সহযোগী প্রতিষ্ঠান হল এমন প্রতিষ্ঠান, যা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা, নিয়ন্ত্রণ বা মূলধনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে সম্পর্কিত এবং যাদের মধ্যে নির্দিষ্ট সম্পর্ক বিদ্যমান থাকে, যেমন একই ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের নিয়ন্ত্রণে থাকা।
প্রশ্ন ৩: “স্বাধীন প্রতিষ্ঠান” কাকে বোঝায়?
উত্তর: স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হল সেই প্রতিষ্ঠান, যা সহযোগী প্রতিষ্ঠান নয় এবং অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণাধীন নয়।
প্রশ্ন ৪: “আন্তর্জাতিক লেনদেন” বলতে কী বোঝানো হয়?
উত্তর: আন্তর্জাতিক লেনদেন হল সহযোগী প্রতিষ্ঠানদ্বয়ের মধ্যে, যেখানে এক বা উভয় প্রতিষ্ঠান অনিবাসী, ট্যানজিবল বা স্পর্শাতীত সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়, সেবা বিনিময়, বা অর্থ ধার দেওয়া নেওয়ার মাধ্যমে সৃষ্ট লেনদেন।
প্রশ্ন ৫: “অনিয়ন্ত্রিত লেনদেন” কী?
উত্তর: অনিয়ন্ত্রিত লেনদেন হল সহযোগী প্রতিষ্ঠান ব্যতীত অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সংঘটিত লেনদেন।
প্রশ্ন ও উত্তর: আর্মস লেংথ প্রাইস ও আন্তর্জাতিক লেনদেন
প্রশ্ন ১: আন্তর্জাতিক লেনদেন থেকে আয় নির্ধারণে আর্মস লেংথ প্রাইসের ভূমিকা কী?
উত্তর: আন্তর্জাতিক লেনদেন থেকে উদ্ভূত আয় বা ব্যয়ের পরিমাণ আর্মস লেংথ প্রাইস বিবেচনাপূর্বক নির্ধারণ করতে হয়, অর্থাৎ, লেনদেনের মূল্য স্বাধীন সত্তাসমূহের মধ্যে পরিচালিত তুলনীয় লেনদেনের শর্তাবলীর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। প্রশ্ন ও উত্তর: আর্মস লেংথ প্রাইস পরিগণনা
প্রশ্ন ১: আর্মস লেংথ প্রাইস নির্ধারণের জন্য কোন পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: আর্মস লেংথ প্রাইস নির্ধারণের জন্য নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করা হয়:
1. কমপারেবল আনকন্ট্রোলড প্রাইস মেথড
2. রিসেল প্রাইস মেথড
3. কস্ট প্লাস মেথড
4. প্রফিট স্প্লিট মেথড
5. ট্রানজেকশনাল নেট মার্জিন মেথড
6. অন্যান্য যুক্তিসঙ্গত পদ্ধতি।
প্রশ্ন ২: যদি আর্মস লেংথ প্রাইসের ডাটাসেটে ৬ বা ততোধিক এন্ট্রি থাকে, তবে আর্মস লেংথ প্রাইস কীভাবে নির্ধারণ করা হবে?
উত্তর: যদি ৬ বা তার বেশি এন্ট্রি থাকে, তাহলে ৩০% থেকে ৭০% পার্সেন্টাইলের মধ্যে ডাটা নিয়ে একটি আর্মস লেংথ রেঞ্জ গঠন করা হবে।
- যদি প্রকৃত লেনদেনের মূল্য এই রেঞ্জের মধ্যে থাকে, তবে সেটাই আর্মস লেংথ প্রাইস হবে।
- অন্যথায়, মধ্যমা ব্যবহার করা হবে।
প্রশ্ন ৩: উপকর কমিশনার কিভাবে আর্মস লেংথ প্রাইস নির্ধারণ করবে?
উত্তর: যদি উপকর কমিশনার মনে করেন যে করদাতার দ্বারা নির্ধারিত মূল্য সঠিক নয়, তাহলে তিনি তার প্রাপ্য তথ্যের ভিত্তিতে আর্মস লেংথ প্রাইস নির্ধারণ করবেন এবং করদাতাকে কারণ দর্শানোর সুযোগ দেবেন।
প্রশ্ন ৪: আর্মস লেংথ প্রাইসের জন্য পদ্ধতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রধান শর্ত কী?
উত্তর: আর্মস লেংথ প্রাইসের ফলস্বরূপ প্রাপ্ত মোট আয় কখনোই প্রকৃত মূল্যের ভিত্তিতে প্রাপ্ত আয় থেকে কম হবে না।
প্রশ্ন ৫: যদি করদাতা নির্ভরযোগ্য তথ্য না দেয়, তাহলে কি হবে?
উত্তর: এমন পরিস্থিতিতে উপকর কমিশনার তথ্যের ভিত্তিতে নিজেই আর্মস লেংথ প্রাইস নির্ধারণ করবেন এবং প্রয়োজনীয় নোটিশ প্রদান করবেন। প্রশ্ন ও উত্তর: ট্রান্সফার প্রাইসিং কর্মচারীর নিকট প্রেরণ
প্রশ্ন ১: ট্রান্সফার প্রাইসিং কর্মকর্তার কী কাজ?
উত্তর: ট্রান্সফার প্রাইসিং কর্মকর্তা আন্তর্জাতিক লেনদেনের আর্মস লেংথ প্রাইস নির্ধারণের কার্যক্রম পরিচালনা করেন এবং করদাতার প্রদত্ত প্রমাণাদি বিবেচনা করে লিখিত আদেশ প্রদান করেন।
প্রশ্ন ২: উপকর কমিশনার ট্রান্সফার প্রাইসিং কর্মকর্তার মাধ্যমে কীভাবে আর্মস লেংথ প্রাইস নির্ধারণ করতে পারেন?
উত্তর: উপকর কমিশনার বোর্ডের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে ট্রান্সফার প্রাইসিং কর্মকর্তার কাছে আর্মস লেংথ প্রাইস নির্ধারণের বিষয়টি প্রেরণ করতে পারেন।
প্রশ্ন ৩: ট্রান্সফার প্রাইসিং কর্মকর্তা করদাতাকে কীভাবে নোটিশ প্রদান করবেন?
উত্তর: ট্রান্সফার প্রাইসিং কর্মকর্তা করদাতাকে নোটিশ প্রদান করবেন যাতে তিনি বিচারাধীন আন্তর্জাতিক লেনদেনের জন্য যে প্রমাণাদি উপস্থাপন করেছেন তা নির্ধারিত তারিখে উপস্থাপন করতে পারেন।
প্রশ্ন ৪: ট্রান্সফার প্রাইসিং কর্মকর্তার আদেশের পর করদাতার মোট আয় কীভাবে পরিগণনা করা হবে?
উত্তর: ট্রান্সফার প্রাইসিং কর্মকর্তার আদেশ প্রাপ্তির পর উপকর কমিশনার করদাতার মোট আয় পরিগণনা শুরু করবেন। আর্মস লেংথ প্রাইসের ভিত্তিতে কোনো সমন্বয় পাওয়া গেলে তা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির আয় হিসাবে বিবেচিত হবে এবং কর আরোপিত হবে।
প্রশ্ন ৫: যদি ট্রান্সফার প্রাইসিং কর্মকর্তার আদেশে ভুল থাকে, তবে কী হবে?
উত্তর: ট্রান্সফার প্রাইসিং কর্মকর্তা তার নজরে আসা ভুল সংশোধন করতে পারবেন এবং সংশোধন করা আদেশের একটি অনুলিপি উপকর কমিশনারের কাছে পাঠাবেন।
প্রশ্ন ৬: সংশোধন আদেশের পর কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে?
উত্তর: সংশোধন আদেশের পর উপকর কমিশনার কর নির্ধারণী আদেশ সংশোধন করবেন যাতে সংশোধিত আর্মস লেংথ প্রাইস অনুযায়ী করের পরিমাণ সঠিকভাবে নির্ধারণ করা যায়।
তথ্য, দলিলাদি ও রেকর্ড সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ
প্রশ্ন ১: কোন ব্যক্তি আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে তথ্য, দলিলাদি ও রেকর্ড সংরক্ষণ করবে?
উত্তর: আন্তর্জাতিক লেনদেন সংশ্লিষ্ট প্রত্যেক ব্যক্তি আইন অনুযায়ী নির্ধারিত তথ্য, দলিলাদি ও রেকর্ড সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করবে।
প্রশ্ন ২: তথ্য, দলিলাদি ও রেকর্ড সংরক্ষণের মেয়াদ কিভাবে নির্ধারণ করা হবে?
উত্তর: তথ্য, দলিলাদি ও রেকর্ড সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের মেয়াদ বোর্ড বিধি দ্বারা নির্ধারণ করতে পারবে, তবে এটি উপ-ধারা (১) এর বিধানাবলিকে ক্ষুণ্ন করবে না।
প্রশ্ন ৩: উপকর কমিশনার কিভাবে তথ্য, দলিলাদি ও রেকর্ড সরবরাহের নির্দেশ দিতে পারেন?
উত্তর: উপকর কমিশনার লিখিত নোটিশের মাধ্যমে কোনো ব্যক্তিকে নোটিশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে উপ-ধারা (১) এর অধীন বিধি দ্বারা নির্ধারিত তথ্য, দলিলাদি ও রেকর্ড সরবরাহের নির্দেশ প্রদান করতে পারেন।
প্রশ্ন ৪: তথ্য ও রেকর্ড সংরক্ষণের ক্ষেত্রে কার কি দায়িত্ব?
উত্তর: আন্তর্জাতিক লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তির দায়িত্ব হচ্ছে নির্ধারিত তথ্য, দলিলাদি ও রেকর্ড সঠিকভাবে সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করা।
প্রশ্ন ৫: যদি কেউ তথ্য সরবরাহ না করে, তাহলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে?
উত্তর: যদি কেউ তথ্য সরবরাহের নির্দেশনা অনুসরণ না করে, তাহলে উপকর কমিশনার অন্যান্য আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারেন, যা প্রযোজ্য। আন্তর্জাতিক লেনদেন সম্পর্কিত বিবরণী দাখিল
প্রশ্ন ১: আন্তর্জাতিক লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তির কি দায়িত্ব আছে?
উত্তর: আন্তর্জাতিক লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তি তার রিটার্নের সঙ্গে বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফরমে ও পদ্ধতিতে একটি আন্তর্জাতিক লেনদেন সম্পর্কিত বিবরণী দাখিল করবে।
প্রশ্ন ২: এই বিবরণী দাখিলের পদ্ধতি কি?
উত্তর: বিবরণী দাখিলের পদ্ধতি এবং ফরম বোর্ডের নির্ধারিত বিধি অনুযায়ী হবে।
প্রশ্ন ৩: যদি কেউ বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তার জন্য কি শাস্তি রয়েছে?
উত্তর: যদি কেউ নির্ধারিত সময়ে বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে, যেমন জরিমানা বা অন্যান্য শাস্তি।
প্রশ্ন ৪: এই বিবরণী কিসের জন্য ব্যবহৃত হয়?
উত্তর: আন্তর্জাতিক লেনদেন সম্পর্কিত বিবরণী কর্তৃপক্ষকে লেনদেনের স্বচ্ছতা এবং করের যথাযথ হিসাবের নিশ্চয়তা প্রদান করতে সহায়তা করে।
প্রশ্ন ৫: কোন তথ্য এই বিবরণীতে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে?
উত্তর: এই বিবরণীতে লেনদেনের ধরন, পরিমাণ, পক্ষগুলোর নাম, এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
অ্যাকাউন্টেন্ট হইতে প্রাপ্ত প্রতিবেদন দাখিল
প্রশ্ন ১: উপকর কমিশনার কাকে নোটিশ প্রদান করতে পারে?
উত্তর: উপকর কমিশনার আন্তর্জাতিক লেনদেন রয়েছে এমন কোনো ব্যক্তি অথবা যে ব্যক্তি কোনো আয়বর্ষের হিসাব বহিতে ৩ (তিন) কোটি টাকার অধিক লেনদেন করেছে, তাদেরকে নোটিশ প্রদান করতে পারে।
প্রশ্ন ২: নোটিশে কি নির্দেশনা থাকতে পারে?
উত্তর: নোটিশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে ও বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফরমে এবং পদ্ধতিতে তথ্য, দলিলাদি ও রেকর্ড বা তার অংশবিশেষ সম্পর্কিত চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট বা কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টের একটি প্রতিবেদন সরবরাহ করার নির্দেশনা থাকতে পারে।
প্রশ্ন ৩: প্রতিবেদনটি কেন প্রয়োজন?
উত্তর: প্রতিবেদনটি নিশ্চিত করে যে, দাখিলকৃত তথ্য, দলিলাদি ও রেকর্ড সঠিক এবং সুশৃঙ্খলভাবে সংরক্ষিত হয়েছে, যা করের নির্ধারণে সহায়তা করে।
প্রশ্ন ৪: প্রতিবেদন দাখিলের সময়সীমা কিভাবে নির্ধারণ করা হবে?
উত্তর: প্রতিবেদন দাখিলের সময়সীমা উপকর কমিশনারের নোটিশে উল্লেখিত তারিখ অনুযায়ী নির্ধারণ করা হবে।
প্রশ্ন ৫: যদি প্রতিবেদন সময়মত দাখিল না করা হয়, তাহলে কি হতে পারে?
উত্তর: সময়মত প্রতিবেদন দাখিল না করলে আইন অনুযায়ী শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে, যেমন জরিমানা বা অন্যান্য প্রশাসনিক পদক্ষেপ।
অনিবাসীর সহিত লেনদেনের মাধ্যমে কর পরিহার
প্রশ্ন ১: এই ধারার উদ্দেশ্য কি?
উত্তর: এই ধারার উদ্দেশ্য হলো নিবাসী এবং অনিবাসীর মধ্যে ব্যবসায়িক লেনদেনের মাধ্যমে কর পরিহার প্রতিরোধ করা।
প্রশ্ন ২: কিভাবে উপকর কমিশনার লেনদেনের প্রকৃত অবস্থা নির্ধারণ করবেন?
উত্তর: উপকর কমিশনার যখন উপলব্ধি করবেন যে, নিবাসী ও অনিবাসীর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে ব্যবসার কার্যক্রম এভাবে বিন্যস্ত হয়েছে যে, নিবাসী ব্যক্তির লাভ কম হয়েছে বা লাভ হয়নি, তখন তিনি যুক্তিসঙ্গত আয়ের পরিমাণ নির্ধারণ করবেন।
প্রশ্ন ৩: কী ধরনের লাভ পরিমাপ করা হবে?
উত্তর: নিবাসীর যে মুনাফা অর্জিত হয়েছে, তা যদি ব্যবসার স্বাভাবিক মুনাফার তুলনায় কম হয়, তাহলে কমিশনার সেই পরিমাণ আয়ের ভিত্তিতে হিসাব করবেন।
প্রশ্ন ৪: উক্ত আয়ের কী হবে?
উত্তর: নির্ধারিত যুক্তিসঙ্গত আয়ের পরিমাণ নিবাসীর মোট আয়ের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হবে, যাতে তারা সঠিকভাবে কর দিতে পারে।
প্রশ্ন ৫: এই প্রক্রিয়া কেন গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর: এই প্রক্রিয়া নিশ্চিত করে যে, নিবাসী ব্যবসায়ীরা তাদের যথাযথ আয় এবং কর পরিশোধের দায়িত্ব পালন করছে এবং কর পরিহারের সুযোগ কমে যায়।
সম্পদ হস্তান্তরের মাধ্যমে কর পরিহার
প্রশ্ন ১: এই ধারার মূল উদ্দেশ্য কী?
উত্তর: এই ধারার উদ্দেশ্য হলো সম্পদ হস্তান্তরের মাধ্যমে অনিবাসীদের কর পরিহার প্রতিরোধ করা এবং নিশ্চিত করা যে, কোনও ব্যক্তির উপার্জিত আয় সঠিকভাবে নির্ধারণ ও করযুক্ত হচ্ছে।
প্রশ্ন ২: কোন পরিস্থিতিতে অনিবাসীকে প্রদেয় আয় অন্য ব্যক্তির আয় হিসেবে গণ্য হবে?
উত্তর: যদি কেউ সম্পদ হস্তান্তর বা সহযোগী কার্যক্রমের মাধ্যমে অনিবাসীকে প্রদেয় আয় ভোগ করার ক্ষমতা অর্জন করেন, তবে সেই আয় ওই ব্যক্তির আয় হিসেবে গণ্য হবে।
প্রশ্ন ৩: কিভাবে আয় গণনার পদ্ধতি নির্ধারণ করা হবে?
উত্তর: আয় গণনা হবে সেই পরিস্থিতিতে যেখানে ব্যক্তি ঋণ বা অন্য কোনও অর্থ গ্রহণের অধিকার পাবে, তবে এটি আয় হিসাবে গণ্য হবে না।
প্রশ্ন ৪: কোন পরিস্থিতিতে এই ধারার বিধান প্রযোজ্য হবে না?
উত্তর: যদি উপকর কমিশনার সন্তুষ্ট হন যে, হস্তান্তর বা সহযোগী কার্যক্রমের মধ্যে কর পরিহারের উদ্দেশ্য নেই, অথবা এটি একটি প্রকৃত ব্যবসায়িক লেনদেন, তাহলে এই ধারার বিধান প্রযোজ্য হবে না।
প্রশ্ন ৫: এই ধারার আওতাধীন আয় পুনর্বার করযোগ্য হবে কি?
উত্তর: না, একবার যদি আয় হিসাবে গণ্য হয়ে কর আরোপিত হয়, তবে তা পুনর্বার অন্য ব্যক্তির আয় হিসেবে গণ্য করে কর আরোপ করা হবে না।
প্রশ্ন ৬: আয় ভোগের ক্ষমতা কিভাবে নির্ধারণ করা হবে?
উত্তর: যদি ব্যক্তি অন্য কারো কাছে উপার্জিত আয় ভোগের ক্ষমতা রাখে, তাহলে তা ভোগের ক্ষমতা হিসেবে বিবেচিত হবে। যেমন, আয় ব্যক্তি বা অন্য কারোর সুবিধার জন্য হিসাব করা হলে বা ব্যক্তির দখলে বা সুবিধায় সম্পদের মূল্যবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখলে।
প্রশ্ন ৭: "হস্তান্তরিত সম্পদ" এবং "সহযোগী কর্মকাণ্ড" কী?
উত্তর: "হস্তান্তরিত সম্পদ" বলতে যেকোনো ধরনের সম্পত্তি বা অধিকারকে বোঝায়, এবং "সহযোগী কর্মকাণ্ড" বলতে সম্পদ হস্তান্তরের প্রক্রিয়ায় সম্পাদিত কার্যক্রম বোঝায়।
প্রশ্ন ৮: এই ধারার মধ্যে "সুবিধা" কীভাবে সংজ্ঞায়িত করা হবে?
উত্তর: "সুবিধা" বলতে যেকোনো ধরনের পরিশোধকে বোঝানো হবে, যা সম্পদ বা আয় হস্তান্তরের মাধ্যমে ঘটে।
প্রশ্ন ৯: বাংলাদেশের বাইরে নিগমিত সংস্থা কিভাবে গণ্য হবে?
উত্তর: বাংলাদেশে অবস্থিত কোনও সংস্থা, যদি বাংলাদেশে নিবাসী না হয় তবে তাকে অনিবাসী হিসাবে গণ্য করা হবে।
সিকিউরিটিজ লেনদেনের মাধ্যমে কর পরিহার
প্রশ্ন ১: এই ধারার মূল উদ্দেশ্য কী?
উত্তর: এই ধারার উদ্দেশ্য হলো সিকিউরিটিজ লেনদেনের মাধ্যমে কর পরিহার প্রতিরোধ করা এবং নিশ্চিত করা যে, সিকিউরিটিজের মালিক কর্তৃক প্রদেয় সুদ সঠিকভাবে গণনা ও করযুক্ত হচ্ছে।
প্রশ্ন ২: সিকিউরিটিজ বিক্রয়ের পর পুনরায় ক্রয়ের ফলে কি হয়?
উত্তর: যদি সিকিউরিটিজের মালিক বিক্রয় বা হস্তান্তরের পর পুনরায় সেই সিকিউরিটিজ ক্রয় করেন এবং এর ফলে প্রদেয় সুদ প্রাপ্ত না হয়, তাহলে ওই সুদ তার আয় হিসেবে গণ্য হবে।
প্রশ্ন ৩: কোন পরিস্থিতিতে সিকিউরিটিজ থেকে উদ্ভূত আয় হিসাব করা হবে?
উত্তর: যদি সিকিউরিটিজের মালিক উক্ত বছরে কোনো আয় প্রাপ্ত না হন অথবা আয়ের পরিমাণ সিকিউরিটিজ থেকে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে পুঞ্জিভূত আয়ের তুলনায় কম হয়, তবে সে সময়ের জন্য সব আয় তার আয় হিসেবে গণ্য হবে।
প্রশ্ন ৪: সিকিউরিটিজ লেনদেনের মাধ্যমে আয় বা লোকসান কিভাবে গণ্য হবে?
উত্তর: যদি কোনো ব্যক্তি অন্যের কাছে সিকিউরিটিজ ক্রয় করেন এবং পরে তা পুনরায় বিক্রি করেন, তবে ওই লেনদেন থেকে উদ্ভূত আয় বা লোকসান এই ধারার বিধান অনুযায়ী গণ্য হবে না।
প্রশ্ন ৫: উপকর কমিশনারের নোটিশ কিভাবে কার্যকর হবে?
উত্তর: উপকর কমিশনার লিখিত নোটিশের মাধ্যমে একজন ব্যক্তিকে তার মালিকানাধীন সকল সিকিউরিটিজের বিবরণ সরবরাহের জন্য ২৮ দিনের মধ্যে নির্দেশ দিতে পারেন।
প্রশ্ন ৬: এই ধারায় "সুদ" কি বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: "সুদ" বলতে লভ্যাংশও অন্তর্ভুক্ত, অর্থাৎ সিকিউরিটিজের মাধ্যমে অর্জিত লাভ বা আয়ের বিভিন্ন ধরণ।
প্রশ্ন ৭: সিকিউরিটিজের মধ্যে কি ধরনের পার্থক্য থাকতে পারে?
উত্তর: সংশ্লিষ্ট সিকিউরিটিজের মোট নামমাত্র মূল্য বা হস্তান্তরের পদ্ধতির মধ্যে পার্থক্য থাকতে পারে, তবে সব সিকিউরিটিজকে একই ধরনের অধিকার ও সুযোগ প্রদানকারী হিসেবে গণ্য করা হবে।
প্রশ্ন ৮: সিকিউরিটিজের মালিকানা সম্পর্কিত কি তথ্য উপকর কমিশনারের কাছে দাখিল করতে হবে?
উত্তর: মালিকের কাছে থাকা সকল সিকিউরিটিজের বিবরণ, সেই সঙ্গে যে সিকিউরিটিজে তার স্বার্থ সংশ্লিষ্টতা রয়েছে তার বিস্তারিত তথ্য দাখিল করতে হবে।
বাংলাদেশ ত্যাগকারী ব্যক্তির কর পরিশোধের সার্টিফিকেটের আবশ্যকতা
প্রশ্ন ১: বাংলাদেশ ত্যাগের জন্য সার্টিফিকেটের প্রয়োজনীয়তা কিসে নির্ধারিত?
উত্তর: বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ব্যতিক্রম ছাড়া, যেসব ব্যক্তি বাংলাদেশে ডমিসাইল নন বা যারা বাংলাদেশে ডমিসাইল কিন্তু বাংলাদেশ ত্যাগের সময় আয়কর কর্তৃপক্ষের অভিমত অনুযায়ী ফিরে আসবেন না, তাদের কর পরিশোধের সার্টিফিকেট ছাড়া বাংলাদেশ ত্যাগ করার অনুমতি নেই।
প্রশ্ন ২: কোন দুটি সার্টিফিকেটের মধ্যে একজন ত্যাগকারী ব্যক্তি নির্বাচন করতে পারে?
উত্তর:
(ক) কর পরিশোধের সার্টিফিকেট
(খ) অব্যাহতি সার্টিফিকেট - যা তখনই ইস্যু করা হবে যখন উপকর কমিশনার সন্তুষ্ট হন যে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ফিরে আসার ইচ্ছা আছে।
প্রশ্ন ৩: বিমান বা জাহাজের মালিক বা চার্টারারকে কি দায়বদ্ধতা পালন করতে হবে?
উত্তর: যদি তারা উপ-ধারা (১) এর অধীন উল্লেখিত সার্টিফিকেট ছাড়া কাউকে ভ্রমণের অনুমতি দেন, তবে তাদেরকে উক্ত ব্যক্তির নিকট পাওনা কর পরিশোধ করতে হবে এবং সর্বোচ্চ ২০,০০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে।
প্রশ্ন ৪: "অব্যাহতি সার্টিফিকেট" বলতে কি বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: এটি এমন একটি সার্টিফিকেট, যা উক্ত ব্যক্তিকে এক বা একাধিকবার ভ্রমণের জন্য কর পরিশোধ সার্টিফিকেট থেকে অব্যাহতি দেয়।
প্রশ্ন ৫: "কর পরিশোধ সার্টিফিকেট" কি বোঝায়?
উত্তর: এটি এমন একটি সার্টিফিকেট, যা নিশ্চিত করে যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কোনো করের জন্য দায়ী নয় বা তার দ্বারা প্রদেয় সকল প্রকার কর পরিশোধের জন্য সন্তোষজনক ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে।
প্রশ্ন ৬: মালিক বা চার্টারার কিভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে?
উত্তর: মালিক বা চার্টারার বলতে যেকোনো জাহাজ বা বিমানের মালিক বা প্রতিনিধি, এজেন্ট বা কর্মচারী বোঝানো হয়েছে, যিনি উক্ত জাহাজ বা বিমানে ভ্রমণের অধিকার ইস্যু করার ক্ষমতা রাখেন।
www.executiveassist.blogspot.com
