14.অংশ ১৪- বকেয়া আদায়, প্রত্যর্পণ ও সমন্বয়
www.executiveassist.blogspot.com
All Parts [PDF] - 100 tk Only
Whatsapp - 01833732194
রচনামূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ১: দাবির নোটিশ কী এবং কিভাবে এটি করদাতাকে জারি করা হয়?
উত্তর: দাবির নোটিশ হলো একটি নোটিশ যা উপকর কমিশনার করদাতার প্রতি জারি করেন, যদি কোনো আয়কর আদেশ বা কার্যক্রমের পর কর প্রদেয় হয়। ধারা ২১৪ অনুযায়ী, এই নোটিশে করদাতাকে কর পরিশোধের সময়সীমা, পরিমাণ এবং পদ্ধতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়। নোটিশের সাথে কর নির্ধারণী আদেশের একটি কপি সংযুক্ত থাকে। করদাতার কর ফেরতযোগ্য হলে, নোটিশের মাধ্যমে সেই ফেরতযোগ্য করের পরিমাণ এবং ফেরত প্রদানের পদ্ধতি সম্পর্কে করদাতাকে অবহিত করা হয়।
প্রশ্ন ২: দাবির নোটিশের পর কর পরিশোধ না করলে করদাতাকে কোন পদক্ষেপের সম্মুখীন হতে হয়?
উত্তর: দাবির নোটিশ জারির পর নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে কর পরিশোধ না করলে করদাতাকে খেলাপি করদাতা হিসাবে গণ্য করা হয়। তবে, করদাতা নোটিশে বর্ণিত পরিশোধের সময় অতিবাহিত হওয়ার পূর্বে উপকর কমিশনারের নিকট আবেদন করলে এবং কমিশনার করদাতাকে কিস্তিতে পরিশোধের অনুমতি প্রদান করলে, তিনি বিলম্ব সুদসহ কিস্তিতে পরিশোধ করতে পারেন। কিন্তু, যদি কোনো কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হন তবে অবশিষ্ট সকল কিস্তি তাৎক্ষণিকভাবে পরিশোধযোগ্য হিসেবে গণ্য হবে।
প্রশ্ন ৩: বিদেশে আয়কর ফাঁকি এবং এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ কীভাবে নেওয়া হয়?
উত্তর: যদি কোনো করদাতার উপর বিদেশে অর্জিত আয়ের ওপর কর নির্ধারণ করা হয় এবং বিদেশি নিষেধাজ্ঞার কারণে সেই আয় বাংলাদেশে আনা সম্ভব না হয়, তবে এই নিষেধাজ্ঞা বা বিধিনিষেধ উঠে না যাওয়া পর্যন্ত করদাতাকে খেলাপি করদাতা হিসেবে গণ্য করা হবে না। তবে, যদি করদাতা বিদেশে আয় ব্যবহার করেন বা তা বাংলাদেশে পুঁজি আকারে আনয়ন করেন, তখন সেই আয় বাংলাদেশে আনয়ন হয়েছে বলে বিবেচিত হবে।
প্রশ্ন ৪: খেলাপি করদাতা কাকে বলা হয় এবং এর পরিণতি কী?
উত্তর: ধারা ২১৪ অনুযায়ী, দাবির নোটিশে উল্লিখিত কর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ না করলে করদাতাকে খেলাপি করদাতা হিসাবে গণ্য করা হয়। এর ফলে করদাতা আইনত কর পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়ার অধীনে আসেন এবং তার সম্পত্তি বা আয় থেকে কর আদায় করা হতে পারে। খেলাপি ঘোষণার পর উপকর কমিশনারের পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে কর পুনরুদ্ধার করা হয়।
প্রশ্ন ৫: কর ফেরতযোগ্য হলে করদাতাকে কীভাবে অবহিত করা হয়?
উত্তর: যদি কোনো আদেশের ফলে করদাতার কর ফেরতযোগ্য হয়, তবে উপকর কমিশনার দাবির নোটিশের মাধ্যমে করদাতাকে ফেরতযোগ্য করের পরিমাণ সম্পর্কে অবহিত করেন। কর ফেরত প্রদানের পদ্ধতি এবং সময়সীমা উল্লেখপূর্বক করদাতাকে ফেরত প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়, যদি না তা বকেয়া করের বিপরীতে সমন্বয় হয়
প্রশ্ন ১: দাবির নোটিশ কী?
উত্তর: দাবির নোটিশ হলো কর প্রদানের জন্য করদাতাকে কর নির্ধারণী আদেশসহ জারি করা একটি নোটিশ, যেখানে পরিশোধের সময়সীমা ও পদ্ধতি উল্লেখ থাকে।
প্রশ্ন ২: কর পরিশোধে ব্যর্থ হলে কী হয়?
উত্তর: কর পরিশোধে ব্যর্থ হলে করদাতাকে খেলাপি করদাতা হিসাবে গণ্য করা হয় এবং আইনত কর পুনরুদ্ধারের পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
প্রশ্ন ৩: কিস্তিতে কর পরিশোধের শর্ত কী?
উত্তর: করদাতা যদি উপকর কমিশনারের অনুমতি নিয়ে কিস্তিতে কর পরিশোধ করেন এবং কোনো কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হন, তবে বাকি সব কিস্তি অবিলম্বে পরিশোধযোগ্য হয়।
প্রশ্ন ৪: বিদেশি আয় বাংলাদেশের আনয়ন না করলে করদাতাকে খেলাপি কেন গণ্য করা হবে না?
উত্তর: বিদেশি নিষেধাজ্ঞার কারণে আয় বাংলাদেশে আনয়ন না হলে সেই আয় করযোগ্য নয় এবং করদাতাকে খেলাপি হিসেবে গণ্য করা হয় না।
প্রশ্ন ৫: কর ফেরতযোগ্য হলে কীভাবে করদাতাকে জানানো হয়?
উত্তর: কর ফেরতযোগ্য হলে উপকর কমিশনার দাবির নোটিশের মাধ্যমে করদাতাকে ফেরতযোগ্য করের পরিমাণ ও পদ্ধতি সম্পর্কে অবহিত করেন
প্রশ্ন ১: করদাতার নিকট থেকে সরাসরি কর কীভাবে আদায় করা যায়?
উত্তর: করদাতার ব্যাংক হিসাব থেকে সরাসরি সরকারের ব্যাংক হিসাবে ইলেকট্রনিক ট্রান্সফারের মাধ্যমে বকেয়া কর আদায় করা যায়।
প্রশ্ন ২: করদাতার পাওনা অর্থ কীভাবে ফেরত দেওয়া হয়?
উত্তর: করদাতার পাওনা অর্থ ইলেকট্রনিক ট্রান্সফারের মাধ্যমে তার ব্যাংক হিসাবে ফেরত প্রদান করা হয়।
প্রশ্ন ৩: স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিলের পর ফেরতযোগ্য কর কতদিনের মধ্যে প্রদান করতে হবে?
উত্তর: স্বনির্ধারণী রিটার্ন দাখিলের পর উপকর কমিশনারের প্রসেসিং সম্পন্ন হলে ৬০ দিনের মধ্যে করদাতার ব্যাংক হিসাবে ইলেকট্রনিক ট্রান্সফারের মাধ্যমে ফেরতযোগ্য কর প্রদান করতে হবে।
প্রশ্ন ৪: কর আদায় বা ফেরত প্রদানের পদ্ধতি কীভাবে নির্ধারিত হয়?
উত্তর: কর আদায় বা ফেরত প্রদানের পদ্ধতি, শর্ত, যোগ্যতা এবং সীমা নির্ধারণ করার জন্য বোর্ড বিধিমালা প্রণয়ন করতে পারে
প্রশ্ন ১: করদাতা খেলাপি হলে উপকর কমিশনার কী ব্যবস্থা নিতে পারেন?
উত্তর: করদাতা খেলাপি হলে বা খেলাপি হিসাবে গণ্য হলে উপকর কমিশনার ট্যাক্স রিকোভারি অফিসারের নিকট একটি সার্টিফিকেট প্রেরণ করতে পারেন, যেখানে বকেয়া করের পরিমাণ উল্লেখ থাকবে।
প্রশ্ন ২: ট্যাক্স রিকোভারি অফিসারের কাছে কোন কোন ক্ষেত্রে সার্টিফিকেট প্রেরণ করা হয়?
উত্তর: ট্যাক্স রিকোভারি অফিসারের কাছে নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে সার্টিফিকেট প্রেরণ করা হয়:
- করদাতার ব্যবসার প্রধান স্থানের অধিক্ষেত্রাধীন ট্যাক্স রিকোভারি অফিসারের কাছে।
- করদাতার স্থায়ী বা অস্থায়ী সম্পত্তি যেখানে অবস্থিত সেই অঞ্চলের ট্যাক্স রিকোভারি অফিসারের কাছে।
- সংশ্লিষ্ট ট্যাক্স রিকোভারি অফিসারের অধিক্ষেত্রাধীন এলাকায় কর নির্ধারণযোগ্য করদাতার ক্ষেত্রে।
প্রশ্ন ৩: সার্টিফিকেট ইস্যু করা কি অন্য কোনো কার্যক্রমের সঙ্গে প্রভাবিত হয়?
উত্তর: না, সার্টিফিকেট ইস্যু করা অন্য কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা সত্ত্বেও করা যেতে পারে
প্রশ্ন ১: ট্যাক্স রিকোভারি অফিসার কীভাবে কর আদায় করেন?
উত্তর: ট্যাক্স রিকোভারি অফিসার নিম্নবর্ণিত পদ্ধতিতে কর আদায় করতে পারেন:
- করদাতার স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত, অবরুদ্ধ বা ক্রোকপূর্বক বিক্রয় করা।
- করদাতাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে আটক রাখা।
- করদাতার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির জন্য রিসিভার নিয়োগ করা।
প্রশ্ন ২: ট্যাক্স রিকোভারি অফিসার কর আদায় করার সময় আর কী খরচ আদায় করতে পারেন?
উত্তর: ট্যাক্স রিকোভারি অফিসার বকেয়া কর আদায়ের সময় করদাতার নিকট হইতে নোটিশ বা গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির খরচ ও অন্যান্য খরচও আদায় করতে পারেন।
প্রশ্ন ৩: যদি ট্যাক্স রিকোভারি অফিসার সম্পূর্ণ অর্থ আদায় করতে না পারেন, তাহলে তিনি কী করবেন?
উত্তর: যদি ট্যাক্স রিকোভারি অফিসার করদাতার সম্পত্তি বিক্রয় করেও সম্পূর্ণ অর্থ আদায় করতে না পারেন এবং যদি অন্য অফিসারের অধিক্ষেত্রাধীন এলাকায় করদাতার সম্পত্তি থাকে, তবে তিনি সেই অফিসারের নিকট সার্টিফিকেট পাঠাতে পারেন, যিনি অবশিষ্ট অর্থ আদায়ের জন্য ব্যবস্থা নেবেন
প্রশ্ন ১: ধারা ২১৬ এর অধীনে ইস্যুকৃত সার্টিফিকেট প্রত্যাহারের ক্ষমতা কার রয়েছে?
উত্তর: ধারা ২১৬ এর অধীনে ইস্যুকৃত সার্টিফিকেট প্রত্যাহারের ক্ষমতা উপকর কমিশনারের রয়েছে।
প্রশ্ন ২: কী অবস্থায় উপকর কমিশনার সার্টিফিকেটে হ্রাসকৃত অর্থের আদায় স্থগিত রাখবেন?
উত্তর: আপিল বা অন্য কোনো আইনি কার্যক্রমের প্রেক্ষিতে করের দাবিকৃত পরিমাণ হ্রাস পেলে এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য আরো কার্যক্রম গ্রহণের প্রয়োজন থাকলে, উপকর কমিশনার হ্রাসকৃত অর্থের আদায় স্থগিত রাখতে পারেন যতক্ষণ না মামলাটি মীমাংসিত হয়।
প্রশ্ন ৩: যদি আপিল বা অন্য কোনো কার্যক্রমের পর দাবিকৃত করের পরিমাণ কমে যায়, তাহলে উপকর কমিশনার কী করবেন?
উত্তর: আপিল বা অন্য কোনো কার্যক্রমের পর করের পরিমাণ হ্রাস পেলে, এবং চূড়ান্ত আদেশ সমাপ্ত হলে, উপকর কমিশনার সার্টিফিকেটটি সংশোধন বা প্রয়োজনে প্রত্যাহার করবেন।
প্রশ্ন ৪: সার্টিফিকেট সংশোধন, বাতিল, বা প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে কী করা হয়?
উত্তর: সার্টিফিকেট সংশোধন, বাতিল, বা প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে উপকর কমিশনার আদায়কারী কর্মকর্তাকে সেই বিষয়ে অবহিত করবেন
প্রশ্ন ১: ধারা ২১৬ এর অধীনে উপকর কমিশনার কর্তৃক ইস্যুকৃত সার্টিফিকেটের বৈধতা কী বিবাদযোগ্য?
উত্তর: না, উপকর কমিশনার কর্তৃক ধারা ২১৬ এর অধীনে ইস্যুকৃত সার্টিফিকেটের বৈধতা ট্যাক্স রিকোভারি অফিসারের নিকট বিবাদযোগ্য নহে।
প্রশ্ন ২: ট্যাক্স রিকোভারি অফিসারের নিকট করদাতা কোন বিষয় নিয়ে আপত্তি তুলতে পারবেন না?
উত্তর: করদাতা কর নির্ধারণের সঠিকতার বিষয়ে ট্যাক্স রিকোভারি অফিসারের নিকট আপত্তি তুলতে পারবেন না।
প্রশ্ন ৩: ট্যাক্স রিকোভারি অফিসার সার্টিফিকেটের কোনো আপত্তি গ্রহণ করবেন কিনা?
উত্তর: না, ট্যাক্স রিকোভারি অফিসার সার্টিফিকেটের কোনো গ্রাউন্ডের বিষয়ে কোনো আপত্তি গ্রহণ করবেন না
প্রশ্ন ১: উপকর কমিশনার কোন পরিস্থিতিতে জেলা কালেক্টরের মাধ্যমে বকেয়া কর আদায়ের জন্য সার্টিফিকেট প্রেরণ করতে পারেন?
উত্তর: উপকর কমিশনার সেই জেলার কালেক্টরের বরাবর বকেয়া পাওনা অর্থের পরিমাণ উল্লেখ করে একটি সার্টিফিকেট প্রেরণ করতে পারেন, যেখানে তার অফিস অবস্থিত বা যেখানে করদাতা বসবাস করেন, সম্পত্তির মালিক হন, অথবা ব্যবসা পরিচালনা করেন।
প্রশ্ন ২: জেলা কালেক্টর কীভাবে বকেয়া কর আদায়ের ব্যবস্থা করবেন?
উত্তর: জেলা কালেক্টর বকেয়া করকে ভূমি রাজস্বের বকেয়ার ন্যায় বিবেচনা করে আদায়ের ব্যবস্থা করবেন।
প্রশ্ন ৩: জেলা কালেক্টরকে বকেয়া কর আদায়ের জন্য কী ধরনের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে?
উত্তর: জেলা কালেক্টরের কাছে দেওয়ানি আদালতের মতো ক্ষমতা থাকবে, যা Code of Civil Procedure, 1908 এর অধীনে অর্থ আদায়ের জন্য ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্ন ৪: উপকর কমিশনার সার্টিফিকেট প্রত্যাহার করলে কি হবে?
উত্তর: উপকর কমিশনার সার্টিফিকেট প্রত্যাহার করলে সার্টিফিকেট সংক্রান্ত সমস্ত কার্যক্রম বাতিল হবে, তবে কালেক্টরের পূর্বে আদায়কৃত অর্থ প্রভাবিত হবে না।
প্রশ্ন ৫: সার্টিফিকেট প্রত্যাহারের পর কি পুনরায় নতুন সার্টিফিকেট ইস্যু করা যাবে?
উত্তর: হ্যাঁ, সার্টিফিকেট প্রত্যাহারের পর পুনরায় নতুন করে সার্টিফিকেট ইস্যু করা যাবে, এবং এই সময়ের মধ্যে আদায়যোগ্য অর্থের জন্য কোনো বাধা থাকবে না
প্রশ্ন ১: উপকর কমিশনার কোন পদ্ধতিতে বকেয়া কর আদায় করতে পারেন?
উত্তর: উপকর কমিশনার বকেয়া কর আদায়ের জন্য করদাতার ব্যবসা স্থানান্তর বা বন্ধ করতে পারেন এবং ব্যবসার পণ্য বা সেবা নিষিদ্ধ করতে পারেন। এছাড়াও তিনি করদাতার সাথে সম্পর্কিত ব্যক্তিদের মাধ্যমে বকেয়া কর আদায় করতে পারেন।
প্রশ্ন ২: উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী কোন কোন ব্যক্তি করদাতার বকেয়া কর আদায়ে সাহায্য করতে বাধ্য?
উত্তর: যাদের কাছে করদাতার অর্থ বা পণ্য পাওনা রয়েছে, যারা করদাতার সম্পদ ধারণ বা নিয়ন্ত্রণ করে, করদাতার এজেন্ট, চাকরি বা ভাড়ার খাতে অর্থ প্রদানকারী ব্যক্তিরা করদাতার বকেয়া কর আদায়ে সাহায্য করতে বাধ্য।
প্রশ্ন ৩: করদাতার পক্ষে কোনো ব্যক্তি যদি উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী অর্থ পরিশোধ করেন তবে তার পরিণতি কী?
উত্তর: সেই অর্থ করদাতার পক্ষ থেকে পরিশোধ হয়েছে বলে গণ্য করা হবে এবং সেই ব্যক্তি ওই অর্থ পরিশোধের দায় থেকে মুক্তি পাবেন।
প্রশ্ন ৪: উপ-ধারা (৩) এর অধীনে নোটিশ পাওয়া সত্ত্বেও যদি কোনো ব্যক্তি অর্থ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হন তবে তার পরিণতি কী হবে?
উত্তর: সেই ব্যক্তিকে খেলাপি করদাতা হিসাবে গণ্য করা হবে এবং তার বিরুদ্ধে বকেয়া কর আদায়ের জন্য আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রশ্ন ৫: উপ-ধারা (৭) অনুযায়ী গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, বা অন্যান্য সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশ কিভাবে কার্যকর হবে?
উত্তর: উপকর কমিশনার সরবরাহের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে নোটিশ প্রদান করবেন, এবং তারা নোটিশ প্রাপ্তির ২১ দিনের মধ্যে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করবেন।
প্রশ্ন ৬: যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (৭) এর অধীনে নোটিশ অনুযায়ী সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করেন, তবে তার পরিণতি কী হবে?
উত্তর: সেই ব্যক্তিকে খেলাপি করদাতা হিসাবে গণ্য করা হবে এবং তিনি ব্যক্তিগতভাবে বকেয়া কর পরিশোধের জন্য দায়ী থাকবেন।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ১: সরাসরি আদায়ের পদ্ধতি কী?
উত্তর: করদাতা ব্যাংক হিসাব থেকে সরাসরি সরকারের ব্যাংক হিসাবে বকেয়া কর আদায় করা যাবে।
প্রশ্ন ২: করদাতার ব্যাংক হিসাব থেকে কতদিনের মধ্যে ফেরত প্রদান করতে হবে?
উত্তর: ৬০ দিনের মধ্যে ইলেক্ট্রনিক ট্রান্সফারের মাধ্যমে ফেরত দিতে হবে।
প্রশ্ন ৩: কর আদায়ের জন্য সার্টিফিকেট ইস্যু করার পদ্ধতি কী?
উত্তর: উপকর কমিশনার সার্টিফিকেট পাঠিয়ে ট্যাক্স রিকোভারি অফিসারকে আদায়ের নির্দেশ দিতে পারেন।
প্রশ্ন ৪: জেলা কালেক্টরের মাধ্যমে কর আদায়ের প্রক্রিয়া কী?
উত্তর: জেলা কালেক্টর সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে কর আদায় করবেন, যা ভূমি রাজস্বের বকেয়ার মতো বিবেচনা হবে।
প্রশ্ন ৫: বকেয়া কর আদায়ের জন্য উপকর কমিশনারের অন্য পদ্ধতি কী?
উত্তর: করদাতার ব্যবসার পণ্য স্থানান্তর নিষিদ্ধ করা এবং ব্যবসা বন্ধ করার মতো ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
প্রশ্ন ৬: যদি কোন ব্যক্তি নোটিশ অনুযায়ী অর্থ পরিশোধ না করেন, তাহলে কী হবে?
উত্তর: তাঁকে খেলাপি করদাতা হিসাবে গণ্য করা হবে এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর: কর আদায়ে যুগপৎ ব্যবস্থা গ্রহণ
প্রশ্ন ১: কর আদায়ে যুগপৎ ব্যবস্থা গ্রহণের মূল উদ্দেশ্য কী?
উত্তর: কর আদায়ের বিভিন্ন প্রক্রিয়া একসঙ্গে প্রয়োগ করে বকেয়া কর দ্রুত সংগ্রহ করা।
প্রশ্ন ২: এই ধারার অধীনে কর আদায় কার্যক্রম কি অন্য আইনের প্রক্রিয়াকে বাধা দেবে?
উত্তর: না, চলমান অন্য আইন বা বিধান অনুসারে কর আদায় কার্যক্রমে কোন বাধা নেই।
প্রশ্ন ৩: আইন অনুযায়ী চলমান কার্যক্রমের সঙ্গে যুগপৎ ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে কী করা হবে?
উত্তর: বিভিন্ন কর আদায় প্রক্রিয়াকে সমন্বয় করে একযোগে কার্যক্রম চালানো হবে।
প্রশ্ন ৪: ধারার উদ্দেশ্য কি বিশেষ কোনো আইনকে প্রভাবিত করা?
উত্তর: না, বরং এটি বিদ্যমান আইনগুলির সঙ্গে সমন্বয় রেখে কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দেয়।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর: সম্পত্তির অন্তর্বর্তীকালীন অবরুদ্ধকরণ বা ক্রোক
প্রশ্ন ১: সম্পত্তির অন্তর্বর্তীকালীন অবরুদ্ধকরণের উদ্দেশ্য কী?
উত্তর: আয় বা বিনিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য গোপনকারী ব্যক্তির সম্পত্তি অপসারণ বা হস্তান্তর রোধ করা।
প্রশ্ন ২: আদেশ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া সম্পত্তি কবে অপসারণ করা যাবে?
উত্তর: আদেশের অধীনে অনুমতি ছাড়া সম্পত্তি অপসারণ, হস্তান্তর বা বিলিব্যবস্থা করা যাবে না।
প্রশ্ন ৩: উপ-ধারা (১) অনুযায়ী আদেশের কার্যকারিতা কতদিন থাকবে?
উত্তর: আদেশের কার্যকারিতা আদেশের তারিখ থেকে এক বছর পর্যন্ত থাকবে।
প্রশ্ন ৪: মেয়াদ বৃদ্ধি করা সম্ভব কি?
উত্তর: হ্যাঁ, বোর্ডের অনুমোদন সাপেক্ষে মেয়াদ বৃদ্ধি করা যেতে পারে, তবে সর্বোচ্চ এক বছরের জন্য।
প্রশ্ন ৫: আদালতের স্থগিত আদেশের ক্ষেত্রে মেয়াদ গণনার ক্ষেত্রে কী হবে?
উত্তর: আদালত যদি কোনো মেয়াদের জন্য স্থগিত করে, তবে সেই মেয়াদ গণনায় বাদ যাবে।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর: প্রত্যর্পণের অধিকার
প্রশ্ন ১: প্রত্যর্পণের অধিকার কি?
উত্তর: কোনো ব্যক্তি অতিরিক্ত কর পরিশোধ করলে উক্ত অর্থ প্রত্যর্পণ পাওয়ার অধিকারী হন।
প্রশ্ন ২: কবে একজন ব্যক্তি অতিরিক্ত অর্থ প্রত্যর্পণের অধিকারী হন?
উত্তর: যখন তার দ্বারা বা তার পক্ষে পরিশোধিত করের পরিমাণ উক্ত বছরের দাবিকৃত করদায়ের চেয়ে বেশি হয়।
প্রশ্ন ৩: যদি কোনো ব্যক্তির আয় অন্য ব্যক্তির আয়তে অন্তর্ভুক্ত হয়, তবে কি প্রত্যর্পণের অধিকার থাকবে?
উত্তর: হ্যাঁ, সেই ক্ষেত্রে অন্য ব্যক্তি এককভাবে প্রত্যর্পণের অধিকারী হবেন।
প্রশ্ন ৪: প্রত্যর্পণ পাওয়ার জন্য কোন কর্তৃপক্ষকে সন্তুষ্ট করতে হবে?
উত্তর: উপকর কমিশনারকে সন্তুষ্ট করতে হবে।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর: দাবি সমন্বয় ও প্রত্যর্পণ
প্রশ্ন ১: দাবি সমন্বয় ও প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়া কী?
উত্তর: যদি কোনো করদাতার কাছে বিভিন্ন মেয়াদে বকেয়া অর্থ থাকে, তবে প্রত্যর্পণযোগ্য অর্থ পরিশোধের আগে উক্ত বকেয়া সমন্বয় করতে হবে।
প্রশ্ন ২: যদি বকেয়া পাওনার বিপরীতে প্রত্যর্পণযোগ্য অর্থ সমন্বয় করা হয়, তাহলে তা কীভাবে গণ্য হবে?
উত্তর: সমন্বয়কৃত অর্থ করদাতাকে পরিশোধ করা হয়েছে মর্মে গণ্য হবে।
প্রশ্ন ৩: উপকর কমিশনারের ভূমিকা কী?
উত্তর: উপকর কমিশনার এই সমন্বয়কৃত অর্থের তথ্য করদাতার কর রেকর্ডে যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ করবেন।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর: প্রত্যর্পণ দাবি
প্রশ্ন ১: প্রত্যর্পণ দাবি কী?
উত্তর: যখন এই আইনের অধীন কোনো আদেশ বা কার্যক্রমের ফলে কোনো অঙ্ক প্রত্যর্পণযোগ্য হয়, তখন করদাতা সেই প্রত্যর্পণযোগ্য পরিমাণের জন্য দাবি করতে পারে।
প্রশ্ন ২: করদাতাকে প্রত্যর্পণ দাবি করার জন্য কী করতে হবে?
উত্তর: যদি প্রত্যর্পণযোগ্য পরিমাণ করদাতার ব্যাংক হিসাবে ইলেক্ট্রনিক ট্রান্সফার না করা হয়, তাহলে করদাতা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত ফেরতের দাবি করতে পারবেন। সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর: মৃত বা অক্ষম ব্যক্তির পক্ষে প্রত্যর্পণ দাবি
প্রশ্ন ১: মৃত বা অক্ষম ব্যক্তির পক্ষে প্রত্যর্পণ দাবি করতে কে অধিকারী?
উত্তর: মৃত, অক্ষম, দেউলিয়া, অবসায়িত বা অন্য কোনো কারণে যে ব্যক্তি তাঁর পাওনা অর্থ ফেরৎ পেতে বা গ্রহণ করতে অক্ষম, তাঁর আইনানুগ প্রতিনিধি, ট্রাস্টি, অভিভাবক বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে রিসিভার এই ফেরত দাবি বা গ্রহণ করতে পারেন।
প্রশ্ন ২: কিভাবে এই প্রত্যর্পণ দাবি করা হবে?
উত্তর: আইনানুগ প্রতিনিধি বা অন্যান্য নির্ধারিত ব্যক্তির মাধ্যমে মৃত বা অক্ষম ব্যক্তির সুবিধার জন্য বর্ণিত ফেরত দাবি বা গ্রহণ করা হবে।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর: কর নির্ধারণের সঠিকতা
প্রশ্ন ১: এই অধ্যায়ের অধীনে ফেরত প্রাপ্তির দাবির ক্ষেত্রে কোন বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে?
উত্তর: এই অধ্যায়ের অধীনে ফেরত প্রাপ্তির দাবির ক্ষেত্রে কোনো দাবিদার কর নির্ধারণী আদেশের সঠিকতা বা বৈধতার বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারবেন না।
প্রশ্ন ২: কি কারণে একজন দাবিদার অন্য কোন প্রতিকার দাবি করতে পারবেন না?
উত্তর: দাবিদার অতিরিক্ত কর পরিশোধের কারণে অর্থ ফেরত পাওয়ার বাইরে অন্য কোনো বিষয়ে প্রতিকার দাবি করার অধিকারী হবেন না।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর: আপিল আদেশের ভিত্তিতে অর্থ ফেরত
প্রশ্ন ১: আপিল আদেশের ভিত্তিতে ফেরতযোগ্য অর্থ প্রদান করতে হবে কি শর্তে?
উত্তর: ফেরতযোগ্য অর্থ প্রদেয় করের বিপরীতে সমন্বয় করা না হলে বা ধারা ২২৫ এর বিধান মোতাবেক পরিশোধ বিবেচনা না হলে, অর্থ ফেরত প্রদান করতে হবে।
প্রশ্ন ২: করদাতা যদি কোনো দাবি উপস্থাপন না করেন, তবে কি হবে?
উত্তর: করদাতা যদি কোনো দাবি উপস্থাপন না করেন, তাহলেও যেই তারিখে কর ফেরতযোগ্য হয়, সেই তারিখ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে উপকর কমিশনার করদাতাকে অর্থ ফেরত প্রদান করবেন।
www.executiveassist.blogspot.com
