কর্মক্ষেত্রে শীর্ষ ১০টি আগুনের ঝুঁকি | Top 10 Fire Hazards in Your Workplace
শীর্ষ ১০ ফায়ার হ্যাজার্ড
- বৈদ্যুতিক সংযোগ ও তারে ত্রুটি: পুরনো বা ক্ষতিগ্রস্ত বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম আগুনের প্রধান কারণ।
- ওভারলোডেড সার্কিট: অতিরিক্ত যন্ত্রপাতি সংযুক্ত করলে শর্ট সার্কিট বা আগুন হতে পারে।
- তেল, গ্রীস ও জ্বালানি পদার্থ: অনিরাপদভাবে রাখা তেল, পেইন্ট বা কেমিক্যাল আগুন ছড়াতে পারে।
- ধূমপান ও উন্মুক্ত আগুন: অনুমোদন ছাড়া ধূমপান বা আগুন ব্যবহার ঝুঁকিপূর্ণ।
- উত্তপ্ত যন্ত্রপাতি ও মেশিন: অতিরিক্ত গরম যন্ত্রপাতি আশেপাশের পদার্থে আগুন ধরাতে পারে।
- অগোছালো বা নোংরা স্থান: কাগজপত্র, কাপড়, প্যাকেজিং উপকরণ দ্রুত আগুন ছড়াতে সাহায্য করে।
- কেমিক্যাল স্টোরেজ ত্রুটি: অনিরাপদভাবে রাখা রাসায়নিক বিস্ফোরণ বা আগুন ঘটাতে পারে।
- অপর্যাপ্ত ফায়ার প্রোটেকশন সরঞ্জাম: ফায়ার এক্সটিংগুইশার, ডিটেক্টর বা অ্যালার্ম না থাকলে আগুন নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা।
- ত্রুটিপূর্ণ হিটিং সিস্টেম: পুরনো হিটার, বোয়েলর বা ফার্নেস আগুন লাগার কারণ।
- কর্মী অবহেলা ও প্রশিক্ষণ অভাব: নিয়ম না মানা, এক্সিট ব্লক করা বা প্রাথমিক সতর্কতা না জানা ঝুঁকি বাড়ায়।
ফায়ার প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা
- বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নিয়মিত পরীক্ষা করুন।
- সার্কিটে ওভারলোড এড়াতে সাবধানতা অবলম্বন করুন।
- দাহ্য পদার্থ নিরাপদ স্থানে সংরক্ষণ করুন।
- ফায়ার এক্সটিংগুইশার, স্প্রিঙ্কলার ও ডিটেক্টর ইনস্টল করুন।
- কর্মীদের নিয়মিত ফায়ার সেফটি প্রশিক্ষণ দিন।
- ধূমপান ও উন্মুক্ত আগুন নিষিদ্ধ করুন।
জরুরি এক্সিট রুট ও প্রোটোকল
- প্রতিটি ফ্লোরে স্পষ্ট ও আলোযুক্ত এক্সিট সাইন থাকা আবশ্যক।
- মেশিন ও সরঞ্জামের আশেপাশে পাথ ও এক্সিট ব্লক করা যাবে না।
- কর্মীরা ফায়ার ড্রিল ও ইমার্জেন্সি প্রোটোকল জানবে।
- জরুরি অবস্থায় লিফট ব্যবহার নিষিদ্ধ; সিঁড়ি ব্যবহার করুন।
- নিরাপদ এক্সিটে পৌঁছালে, মূল মিলনস্থলে একত্রিত হোন।
ইমার্জেন্সি প্রোটোকল
- আগুন লাগলে দ্রুত অ্যালার্ম বাজান।
- নিয়মিত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ফায়ার রেসপন্ডারদেরকে কল করুন।
- প্রাথমিক আগুন ছোট হলে এক্সটিংগুইশার ব্যবহার করুন।
- গ্যাস বা তেলের আগুনে জল ব্যবহার করবেন না; ফোম বা CO2 ব্যবহার করুন।
- কর্মী এবং দর্শককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিন।
সেফটি টিপস
- নিয়মিত ফায়ার রিস্ক মূল্যায়ন করুন।
- কাজের সময় সব সময় সতর্ক থাকুন।
- অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জামের অবস্থান ও ব্যবহার জানুন।
- কোনও নতুন সরঞ্জাম বা পদার্থ আনার আগে সেফটি চেক করুন।
- কর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত সেফটি আলোচনা করুন।
