প্রশ্ন ১: বোর্ড কি রিটার্ন নির্ধারণ করতে পারে?

উত্তর: হ্যাঁ, বোর্ড করদাতাদের জন্য শ্রেণিভিত্তিক রিটার্ন নির্ধারণ করতে পারে।

প্রশ্ন ২: স্বাভাবিক ব্যক্তির রিটার্নে কোন বিবরণী থাকতে হবে?

উত্তর: স্বাভাবিক ব্যক্তির রিটার্নে আয়ের বিবরণী, বাংলাদেশের এবং বাহিরের পরিসম্পদ ও দায়ের বিবরণী, এবং ক্ষেত্রমত জীবনযাপন সংশ্লিষ্ট ব্যয়ের বিবরণী থাকতে হবে

প্রশ্ন ১: রিটার্ন নির্ধারণের ক্ষেত্রে বোর্ড কি করতে পারে?

উত্তর: বোর্ড করদাতাদের জন্য শ্রেণিভিত্তিক এবং যেটা উপযুক্ত মনে করে সেই অনুযায়ী রিটার্ন নির্ধারণ করতে পারে।

প্রশ্ন ২: স্বাভাবিক ব্যক্তির রিটার্নে কোন কোন বিবরণ থাকতে হবে?

উত্তর: স্বাভাবিক ব্যক্তির রিটার্নে তার সকল আয়ের বিবরণী, বাংলাদেশে ও বিদেশে থাকা সকল সম্পদ ও দায়ের বিবরণী এবং ক্ষেত্রমতে, জীবনযাপনের সব ধরনের ব্যয়ের বিবরণী থাকতে হবেপ্রশ্ন ১: কাদের রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক?

উত্তর: রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক যদি ব্যক্তি করমুক্ত আয়ের সীমা অতিক্রম করেন, পূর্ববর্তী ৩ বছরে কোনো বছরে কর নির্ধারণ করা হয়, কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার, ব্যবসায়ী বা সরকারি কর্মচারী হন, অথবা দাতব্য প্রতিষ্ঠানের বাইরে আয় থাকলে।

প্রশ্ন ২: কোন ক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক নয়?

উত্তর: বাংলা ভাষার প্রাথমিক/মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, সরকারি ফান্ড দ্বারা পরিচালিত সত্ত্বা, এবং নির্দিষ্ট শর্তে অনিবাসী ব্যক্তিদের জন্য রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক নয়।

প্রশ্ন ৩: কোন ক্ষেত্রে সম্পদ ও দায়ের বিবরণী দাখিল করতে হবে?

উত্তর: ব্যক্তির ৫০ লক্ষ টাকার অধিক সম্পত্তি থাকলে, গাড়ির মালিক হলে, সিটি কর্পোরেশনের গৃহ বা অ্যাপার্টমেন্টে বিনিয়োগ করলে, বা বিদেশে সম্পত্তি থাকলে সম্পদ ও দায়ের বিবরণী দাখিল বাধ্যতামূলক

প্রশ্ন ১: কোন ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তিকে পরিসম্পদ ও দায়ের বিবরণী দাখিল করতে হবে?

উত্তর: যদি ব্যক্তির আয়বর্ষের শেষ তারিখে ৫০ লক্ষ টাকার অধিক সম্পত্তি থাকে, মোটরযান মালিক হন, সিটি কর্পোরেশনের গৃহ বা অ্যাপার্টমেন্টে বিনিয়োগ করেন, বিদেশে সম্পত্তি থাকে, অথবা কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার পরিচালক হন, তবে পরিসম্পদ ও দায়ের বিবরণী দাখিল করতে হবে।

প্রশ্ন ২: কোন ব্যক্তির জন্য পরিসম্পদ ও দায়ের বিবরণী রিটার্নে উল্লেখ করা আবশ্যক?

উত্তর: প্রত্যেক নিবাসী বাংলাদেশি ব্যক্তিকে বাংলাদেশে ও দেশের বাইরে অবস্থিত সকল সম্পত্তি এবং অনিবাসী ব্যক্তিকে বাংলাদেশে অবস্থিত সকল সম্পত্তির বিবরণী রিটার্নে দাখিল করতে হবে। বিদেশি ব্যক্তিদেরও বাংলাদেশে অবস্থিত সম্পত্তির বিবরণী দিতে হবে।

প্রশ্ন ৩: কোন ক্ষেত্রে উপকর কমিশনার সম্পদ ও দায়ের বিবরণী দাখিল করতে বলবেন?

উত্তর: যদি করদাতা নির্ধারিত আয়বর্ষে সম্পদ ও দায়ের বিবরণী দাখিল না করেন অথবা কর নির্ধারণের জন্য বিবরণী প্রয়োজনীয় হয়, তবে উপকর কমিশনার নোটিশ প্রদান করে তা দাখিলের নির্দেশ দিতে পারেনপ্রশ্ন ১: কোন ক্ষেত্রে একজন করদাতাকে জীবনযাপন সংশ্লিষ্ট ব্যয়ের বিবরণী দাখিল করতে হবে?

উত্তর: করদাতাকে জীবনযাপন সংশ্লিষ্ট ব্যয়ের বিবরণী দাখিল করতে হবে যদি:

- আয়বর্ষে তার আয় ৫ লক্ষ টাকার বেশি হয়,

- মোটরযানের মালিক হন,

- ব্যবসা থেকে আয় করেন,

- কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার পরিচালক হন,

- অথবা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় গৃহ সম্পত্তি বা অ্যাপার্টমেন্টে বিনিয়োগ করেন।

প্রশ্ন ২: কোন ক্ষেত্রে উপকর কমিশনার জীবনযাপন ব্যয়ের বিবরণী দাখিল করতে নির্দেশ দিতে পারেন?

উত্তর: যদি করদাতা নির্ধারিত আয়বর্ষে ব্যয়ের বিবরণী দাখিল না করেন অথবা কর নির্ধারণের জন্য উক্ত বিবরণী প্রয়োজনীয় হয়, তবে উপকর কমিশনার নোটিশ প্রদান করে তা দাখিলের নির্দেশ দিতে পারেন

প্রশ্ন ১: রিটার্ন দাখিল করার জন্য কি ধরনের তথ্য ও দস্তাবেজ প্রয়োজন?

উত্তর: রিটার্ন দাখিলের জন্য বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে প্রয়োজনীয় বিবরণ ও তথ্যাদি প্রদান করতে হবে, যা নিম্নলিখিত দলিলাদি অন্তর্ভুক্ত করবে:

- নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী,

- বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত মানদণ্ড অনুসরণের প্রমাণ,

- আর্থিক বিবরণীতে প্রদর্শিত লাভ-ক্ষতি এবং রিটার্নে প্রদর্শিত আয়ের পার্থক্যের ব্যাখ্যাসহ পৃথক পরিগণনা পত্র।

প্রশ্ন ২: কোম্পানি বা দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি থেকে আয়প্রাপ্ত ব্যক্তির জন্য রিটার্নের সাথে কি দস্তাবেজ সংযুক্ত করতে হবে?

উত্তর: তাদের রিটার্নের সাথে নিম্নলিখিত দলিলাদি সংযুক্ত করতে হবে:

- নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী,

- যাচাইয়ের জন্য বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত মানদণ্ডের প্রমাণ,

- আর্থিক বিবরণীতে লাভ-ক্ষতির প্রদর্শিত তথ্য এবং রিটার্নে আয়ের মধ্যে পার্থক্যের ব্যাখ্যা।

প্রশ্ন ৩: আন্তর্জাতিক লেনদেনযুক্ত সত্তার জন্য কীভাবে রিটার্ন দাখিল করতে হবে?

উত্তর: আন্তর্জাতিক লেনদেন রহিয়াছে এমন সত্তার জন্য ধারা ২৩৮ এর অধীন আন্তর্জাতিক লেনদেন সম্পর্কিত একটি বিবরণী রিটার্নের সহিত দাখিল করতে হবে।

প্রশ্ন ৪: অনিবাসী বাংলাদেশি কিভাবে রিটার্ন দাখিল করবেন?

উত্তর: অনিবাসী বাংলাদেশি তার রিটার্নের ভিত্তিতে করদায়ের পরিশোধের প্রমাণাদিসহ রিটার্ন নিকটস্থ বাংলাদেশ মিশনে দাখিল করতে পারবেন। মিশন তা দাপ্তরিক সিলসহ প্রাপ্তি স্বীকারপত্র প্রদান করবে এবং রিটার্নটি বোর্ডের নিকট প্রেরণ করবে।

৫: রিটার্নে স্বাক্ষরের প্রয়োজনীয়তা কি?

উত্তর: রিটার্ন নিম্নলিখিত ব্যক্তিদের দ্বারা স্বাক্ষরিত ও প্রতিপাদিত হতে হবে:

- স্বাভাবিক ব্যক্তির ক্ষেত্রে, করদাতা স্বয়ং অথবা তার পক্ষ থেকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি;

- হিন্দু অবিভক্ত পরিবারের ক্ষেত্রে, পরিবারের কর্তা অথবা অন্য প্রাপ্তবয়স্ক সদস্য;

- কোম্পানি বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের ক্ষেত্রে, প্রধান কর্মকর্তা;

- ফার্মের ক্ষেত্রে, যেকোনো অংশীদার;

- অন্য সংঘের ক্ষেত্রে, সংঘের সদস্য বা মুখ্য কর্মকর্তা

প্রশ্ন ১: স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিল কী?

উত্তর: স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিল হলো এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে করদাতারা নিজে থেকেই তাদের আয়, ব্যয় এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক তথ্য জমা দেন। এটি আইনানুগ বাধ্যবাধকতার অধীনে সম্পন্ন হয়।

প্রশ্ন ২: কাদের জন্য স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক?

উত্তর: ধারা ১৬৬ এর অধীন রিটার্ন দাখিলের আইনানুগ বাধ্যবাধকতা রহিয়াছে এমন সকল ব্যক্তি ধারা ১৮০ এর অধীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিল করবেন।

প্রশ্ন ৩: ধারা ১৮০ অনুযায়ী স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিলের প্রক্রিয়া কেমন?

উত্তর: ধারা ১৮০ অনুযায়ী, করদাতারা নির্ধারিত ফরমে প্রয়োজনীয় তথ্য ও দস্তাবেজসহ রিটার্ন দাখিল করবেন, যা তাদের আয় ও দায়ের সঠিক বিবরণ প্রদান করবে

প্রশ্ন ১: রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা কী?

উত্তর: প্রত্যেক করদাতাকে করদিবস বা তার পূর্বে রিটার্ন দাখিল করতে হবে।

প্রশ্ন ২: করদিবসের পূর্বে রিটার্ন দাখিলের জন্য কী করতে হবে?

উত্তর: করদিবস বা তার পূর্বে রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে ধারা ১৭৩ অনুযায়ী আয়কর পরিশোধপূর্বক রিটার্ন দাখিল করতে হবে।

প্রশ্ন ৩: করদিবসের পরে রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে কীভাবে আয়কর পরিশোধ করতে হবে?

উত্তর: করদিবসের পরে রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে ধারা ১৭৪ অনুযায়ী আয়কর পরিশোধপূর্বক রিটার্ন দাখিল করতে হবেপ্রশ্ন ১: রিটার্ন দাখিলের জন্য নোটিশ কখন জারি করা হয়?

উত্তর: উপকর কমিশনার ধারা ১৭১ অনুযায়ী মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর যেকোনো সময়, যদি কোনো ব্যক্তির রিটার্ন দাখিল করা আবশ্যক হয় বা তার মোট আয় সংশ্লিষ্ট আয়বর্ষে কর আরোপযোগ্য হয়, তখন লিখিত নোটিশ প্রদান করতে পারেন।

প্রশ্ন ২: নোটিশে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দাখিলের জন্য কতদিন সময় থাকতে হবে?

উত্তর: নোটিশে উল্লিখিত সময় ২১ (একুশ) দিনের কম হবে না, অথবা উপকর কমিশনার কর্তৃক অনুমোদিত যে কোন বর্ধিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দাখিল করতে হবে

প্রশ্ন ১: রিটার্ন দাখিলের জন্য আয়কর ও সারচার্জ কখন পরিশোধ করতে হবে?

উত্তর: রিটার্ন দাখিলের তারিখে বা তার পূর্বে পরিশোধযোগ্য কর পরিশোধ করতে হবে।

প্রশ্ন ২: পরিশোধযোগ্য কর কিভাবে গণনা করা হবে?

উত্তর: পরিশোধযোগ্য কর ক-খ নিয়মে পরিগণনা করা হবে:

- ক: রিটার্নের ভিত্তিতে করদাতা কর্তৃক প্রদেয় কর, যা অধিক হয়।

- খ: উৎসে পরিশোধিত কর বা অগ্রিম কর।

প্রশ্ন ৩: যদি কোনো ব্যক্তি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কর পরিশোধে ব্যর্থ হয়, তবে তার পরিণতি কি হবে?

উত্তর: যদি কোনো ব্যক্তি যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া কর পরিশোধে ব্যর্থ হয়, তবে তাকে খেলাপি করদাতা হিসাবে গণ্য করা হবে।

প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১: করদাতা যদি করদিবসের মধ্যে রিটার্ন দাখিলে ব্যর্থ হন, তাহলে তার কর কিভাবে নির্ধারণ করা হবে?

উত্তর: তার কর নির্ধারণ হবে সূত্র অনুসারে: মোট প্রদেয় কর = করদাতার নির্ধারিত কর + (নির্ধারিত কর - পরিশোধিত অগ্রিম কর) × মাসের সংখ্যা × 0.02।

প্রশ্ন ২: করদাতার মোট প্রদেয় করের পরিমাণ নির্ধারণে কি কি বিষয় বিবেচনা করতে হবে?

উত্তর: মোট প্রদেয় কর নির্ধারণে কর অব্যাহতি, ন্যূনতম কর, সারচার্জ এবং অন্যান্য জরিমানা বাদ দিতে হবে।

প্রশ্ন ৩: মাসের সংখ্যা কিভাবে গণনা করা হবে?

উত্তর: করদিবস অতিক্রান্ত হওয়ার পর মাসের সংখ্যা সর্বোচ্চ ২৪ হবে এবং কোনো মাসের ভগ্নাংশ পূর্ণ মাস হিসাবে গণ্য হবে।

প্রশ্ন ৪: পরিশোধিত অগ্রিম কর কি?

উত্তর: পরিশোধিত অগ্রিম কর হল উক্ত আয়বর্ষে করদাতা কর্তৃক পূর্বে পরিশোধিত করের সমষ্টি।

প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১: সাধারণ রিটার্ন কি কি ধরনের রিটার্নকে বলা হবে?

উত্তর: সাধারণ রিটার্নে অন্তর্ভুক্ত হবে:

- সংশোধিত রিটার্ন, যা ধারা 182 এর উপ-ধারা (10) অনুসারে দাখিল করা হয়েছে।

- নোটিশ জারির প্রেক্ষিতে দাখিলকৃত রিটার্ন, যা ধারা 212 এর উপ-ধারা (3) অনুসারে।

প্রশ্ন ২: করদিবসের মধ্যে সংশোধিত রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে কর পরিশোধের প্রক্রিয়া কি?

উত্তর: করদাতা কর্তৃক করদিবসের মধ্যে সংশোধিত রিটার্ন দাখিল করলে ধারা 173 অনুযায়ী কর পরিশোধ করতে হবে।

প্রশ্ন ৩: করদিবসের পরে সংশোধিত রিটার্ন দাখিল করার সময় কি বিশেষ বিধান রয়েছে?

উত্তর: করদিবসের পরে সংশোধিত রিটার্ন দাখিলে এমন কোনো কর অব্যাহতি দাবি করা যাবে না, যা মূল রিটার্নে দাবি করা হয়নি। নতুন কর অব্যাহতি দাবি করা হলে তা বাতিল করে নিয়মিত হারে করারোপিত হবে।

প্রশ্ন ৪: আপিল বা ট্রাইব্যুনালের আদেশের ভিত্তিতে রিটার্ন দাখিলের বিধান কি?

উত্তর: আপিল বা ট্রাইব্যুনালের আদেশের ভিত্তিতে কর নির্ধারণকালে রিটার্ন বা সংশোধিত রিটার্ন দাখিল করা যাবে না। তবে, যদি করদাতা কোনো রিটার্ন দাখিল না করে থাকেন, তবে আপিল বা ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত আদেশের ভিত্তিতে রিটার্ন দাখিল করা যাবে।

প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১: অসম্পূর্ণ রিটার্নের সংজ্ঞা কি?

উত্তর: কোনো রিটার্ন বা সংশোধিত রিটার্ন ধারা 169 এর বিধান বা বোর্ড কর্তৃক জারীকৃত নির্দেশনা অনুসরণ না করলে উক্ত রিটার্ন বা সংশোধিত রিটার্ন অসম্পূর্ণ বলে বিবেচিত হবে।

প্রশ্ন ২: অসম্পূর্ণ রিটার্ন বিবেচিত হলে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়?

উত্তর: উপকর কমিশনার, কারণ উল্লেখপূর্বক, করদাতার নিকট সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি, যাচাইকরণ, বিবৃতি বা দলিলাদি দাখিল করার জন্য নোটিশ প্রেরণ করবেন।

প্রশ্ন ৩: নোটিশ অনুসরণ না করলে কি হয়?

উত্তর: যদি করদাতা উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রদত্ত নোটিশ অনুসরণ করতে ব্যর্থ হন, তাহলে রিটার্ন বা সংশোধিত রিটার্ন বাতিল বা অকার্যকর হিসেবে গণ্য হবে, যেন তা দাখিল করা হয়নি। এই ক্ষেত্রে উপকর কমিশনার নিম্নোক্ত পদক্ষেপ নেবেন:

- দাখিলকৃত রিটার্ন বাতিল বা অকার্যকর করার নোটিশ প্রেরণ।

- পরিদর্শী অতিরিক্ত কর কমিশনারকে অবহিতকরণ।

- অন্যান্য ক্ষেত্রে ধারা 182 এর অডিটের জন্য নির্বাচন।

প্রশ্ন ৪: যদি করদাতা নোটিশের বিষয়বস্তু সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন করেন, তাহলে কি হয়?

উত্তর: নোটিশের বিষয়বস্তু সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন করলে রিটার্ন বা সংশোধিত রিটার্ন দাখিলের তারিখে সম্পূর্ণ হয়েছে বলে বিবেচিত হবে।

প্রশ্ন ৫: কেবল প্রাপ্তি স্বীকারের ভিত্তিতে রিটার্নটি কি সম্পূর্ণ বিবেচিত হবে?

উত্তর: কেবল প্রাপ্তি স্বীকারের কারণে রিটার্নটি সম্পূর্ণ বলে বিবেচিত হবে না।

প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১: কে কে উৎসে করের রিটার্ন দাখিল করবে?

উত্তর: নিম্নলিখিত ব্যক্তিগণ উৎসে করের রিটার্ন দাখিল করবেন:

- স্থানীয় কর্তৃপক্ষ

- স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা

- সরকারের কোনো কর্তৃপক্ষ

- বাংলা ভাষায় পাঠদানকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (কেবল প্রাথমিক বা প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়, সরকারি মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়)

- ফার্ম

- ব্যক্তিসংঘ

- বেসরকারি হাসপাতাল

- ক্লিনিক

- ডায়াগনস্টিক সেন্টার

প্রশ্ন ২: উৎসে করের রিটার্ন কিভাবে দাখিল করতে হবে?

উত্তর: রিটার্ন নিম্নলিখিতভাবে দাখিল করতে হবে:

- করদাতা যে উপকর কমিশনারের অধিক্ষেত্রের আওতাধীন, তার নিকট দাখিল করতে হবে।

- নির্ধারিত ফরমে সংশ্লিষ্ট বিবরণ ও তথ্যাদি এবং তফসিল, বিবৃতি, হিসাব, পরিশিষ্ট বা দলিলাদি সহযোগে দাখিল করতে হবে।

- ধারা 169 এর উপ-ধারা (৫) অনুযায়ী স্বাক্ষরিত ও প্রতিপাদিত হতে হবে।

প্রশ্ন ৩: রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা কি?

উত্তর: রিটার্ন প্রতি মাসের ২৫ তারিখের মধ্যে পূর্ববর্তী মাসের জন্য দাখিল করতে হবে। যদি ২৫ তারিখটি সাপ্তাহিক বা সরকারি কোনো ছুটির দিন হয়, তাহলে পরবর্তী অফিস খোলার দিন রিটার্ন দাখিল করা যাবে।

প্রশ্ন ৪: ইলেকট্রনিক রিটার্ন দাখিলের বিষয়টি কি?

উত্তর: বোর্ড সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা ইলেকট্রনিক, যন্ত্রে পাঠযোগ্য বা কম্পিউটারে পাঠযোগ্য মাধ্যমে রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে ফরম ও পদ্ধতি নির্ধারণ করতে পারবে।

যৌথ এখতিয়ার সংক্রান্ত প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১: যৌথ এখতিয়ার কি?

উত্তর: যৌথ এখতিয়ার হলো রিটার্ন বা সংশোধিত রিটার্ন গ্রহণ এবং এর প্রাপ্তি স্বীকার রসিদ ইস্যুকরণের ক্ষমতা ও কার্যাবলি, যা আয়কর কর্তৃপক্ষ দ্বারা প্রয়োগ করা যায়।

প্রশ্ন ২: যৌথ এখতিয়ার কার্যকর করতে কি করতে হবে?

উত্তর: বোর্ড সাধারণ বা বিশেষ আদেশ জারি করে যেকোনো আয়কর কর্তৃপক্ষকে যৌথ এখতিয়ার প্রয়োগ বা সম্পাদনের জন্য নির্দেশ দিতে পারে।

প্রশ্ন ৩: আয়কর কর্তৃপক্ষের মধ্যে যৌথ এখতিয়ার কিভাবে কাজ করে?

উত্তর: আয়কর কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে রিটার্ন গ্রহণ ও এর প্রাপ্তি স্বীকার করতে পারে, যার ফলে রিটার্নের প্রক্রিয়া কার্যকরী ও সুসংহত হয়।

www.executiveassist.blogspot.com