12.অংশ ১২ - তথ্য সংগ্রহ
www.executiveassist.blogspot.com
All Parts [PDF] - 100 tk Only
Whatsapp : 01833732194
প্রশ্ন ১ তদন্তকারী আয়কর কর্তৃপক্ষ কে কে?
উত্তর: মহাপরিচালক (পরিদর্শন), মহাপরিচালক (কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল), কর কমিশনার, পরিদর্শী অতিরিক্ত কর কমিশনার বা উপকর কমিশনার।
প্রশ্ন ২: আয় সম্পর্কিত রেকর্ড বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: হিসাব বহি, দলিলাদি, ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড ও সিস্টেম।
প্রশ্ন: আয়কর কর্তৃপক্ষ তথ্য সংগ্রহে কোন বিধানাবলির প্রয়োগ করতে পারে?
উত্তর: আয়কর কর্তৃপক্ষ এই অধ্যায়ে বর্ণিত বিধানাবলির প্রয়োগ করতে পারে, তবে অন্যান্য বিধানাবলির প্রয়োগ ক্ষুণ্ন না করিয়া
প্রশ্ন: আয়কর কর্তৃপক্ষ কিভাবে তথ্য সংগ্রহ করতে পারে?
উত্তর: আয়কর কর্তৃপক্ষ লিখিত নোটিশ দ্বারা, নোটিশে উল্লেখিত পদ্ধতি ও সময়ের মধ্যে তথ্য তলব করতে পারে। তবে, কর কমিশনারের অধস্তন কর্তৃপক্ষ ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য তলব করতে চাইলে কর কমিশনারের অনুমোদন প্রয়োজন
প্রশ্ন: স্বয়ংক্রিয়ভাবে তথ্য প্রদান সম্পর্কিত বিধান কী?
উত্তর: বোর্ড সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা যেকোনো কর্তৃপক্ষ, ব্যক্তি বা সত্তাকে তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা সম্পদ, দায়, আয়, ব্যয় এবং লেনদেনের তথ্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে বোর্ড বা অন্য কোনো আয়কর কর্তৃপক্ষকে প্রদানের নির্দেশ দিতে পারে। ডিজিটাল তথ্য প্রদানে অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলো হলো: (ক) বোর্ডের সিস্টেমে ডেটা আপলোড করা, (খ) বোর্ডের ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক সিস্টেমে ডেটা শেয়ার করা, এবং (গ) প্রয়োজনীয় ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক তথ্য সিস্টেমে প্রবেশের কর্তৃত্ব প্রদান করা
: ব্যবসায়িক রেকর্ড পরিদর্শন সম্পর্কিত বিধান কী?
উত্তর: যেকোনো আয়কর কর্তৃপক্ষ অনিষ্পন্ন তদন্ত বা চলমান কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজনীয় বা প্রাসঙ্গিক তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক রেকর্ড পরিদর্শন করতে পারে এবং প্রয়োজনে তাদের রেকর্ডের কপি সংগ্রহ বা প্রদান করতে বাধ্য করতে পারে
প্রশ্ন: আয়ের উৎস অনুসন্ধানের জন্য আয়কর কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা কী?
উত্তর: আয়কর কর্তৃপক্ষ যদি অনিষ্পন্ন কার্যক্রম তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় মনে করে, তাহলে তারা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির আয়ের উৎস সম্পর্কিত তথ্য অনুসন্ধান করতে পারে এবং সেই তথ্য ও রেকর্ডের কপি সংগ্রহ বা প্রদান করতে বাধ্য করতে পারে
প্রশ্ন: তদন্তকারী আয়কর কর্তৃপক্ষের অনুসন্ধান ও তদন্ত করার ক্ষমতা কী?
উত্তর: তদন্তকারী আয়কর কর্তৃপক্ষ যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে প্রয়োজনীয় মনে করলে অনুসন্ধান ও তদন্ত করতে পারে এবং সংশ্লিষ্ট তথ্য বা আয়ের সাথে সম্পর্কিত দলিলাদি সরবরাহ করতে নির্দেশ দিতে পারে।
প্রশ্ন: বোর্ড কী ধরনের ম্যানুয়াল প্রস্তুত করবে?
উত্তর: বোর্ড অনুসন্ধান ও তদন্তের লক্ষ্যে একটি পরিপালনীয় ম্যানুয়াল প্রস্তুত করবে
প্রশ্ন: জরিপের উদ্দেশ্যে আয়কর কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা কী?
উত্তর: বোর্ড বা কর কমিশনার কোনো আয়কর কর্তৃপক্ষকে ব্যবসা পরিচালিত স্থান বা ভাড়া প্রদানের স্থানে গমনের এবং জরিপের ক্ষমতা প্রদান করতে পারে।
প্রশ্ন: আয়কর কর্তৃপক্ষ কিভাবে জরিপ করবে?
উত্তর: আয়কর কর্তৃপক্ষ ব্যবসার সময়কালে বা সূর্যোদয়ের পরে এবং সূর্যাস্তের পূর্বে উল্লিখিত স্থানে প্রবেশ করবে এবং আয়, পরিসম্পদ ও দায় সম্পর্কিত রেকর্ড পরিদর্শন, নগদ ও মূল্যবান সামগ্রী তালিকা প্রস্তুত, এবং প্রাসঙ্গিক তথ্য সংগ্রহ করবে।
প্রশ্ন: ব্যবসা পরিচালনাকারীদের জন্য কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করার দায়বদ্ধতা কী?
উত্তর: ব্যবসার মালিক বা কর্মচারী কর্তৃপক্ষকে রেকর্ড পরিদর্শন করতে, নগদ ও স্টক যাচাই করতে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করতে সহায়তা করবে।
প্রশ্ন: আয়কর কর্তৃপক্ষ হেফাজতে জব্দকৃত রেকর্ড কতদিন রাখবে?
উত্তর: কর কমিশনারের অনুমোদন ব্যতিরেকে আয়কর কর্তৃপক্ষ হেফাজতে জব্দকৃত রেকর্ড ১ মাসের অধিক সময় ধরে রাখবে না
প্রশ্ন: তল্লাশি ও জব্দের জন্য আয়কর কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা কী?
উত্তর: তদন্তকারী আয়কর কর্তৃপক্ষের কাছে তথ্য থাকলে, যদি তারা বিশ্বাস করে যে কোনো ব্যক্তি রেকর্ড সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়েছে, তবে তারা সেই ব্যক্তির তথ্য তল্লাশি এবং জব্দ করতে পারবে।
প্রশ্ন: কে তল্লাশি ও জব্দ পরিচালনার দায়িত্ব নিতে পারে?
উত্তর: সহকারী কর কমিশনারের পদবির নিচে থাকা কর্মকর্তাকে (ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) এই দায়িত্ব দেওয়া হবে।
প্রশ্ন: আয়কর কর্তৃপক্ষ কোন স্থানে প্রবেশ করতে পারে?
উত্তর: কর্তৃপক্ষ ভবন, স্থান, যানবাহন, জাহাজ বা বিমানে প্রবেশ করতে পারবে যেখানে সন্দেহের কারণ রয়েছে এবং তা তল্লাশি করতে পারবে।
প্রশ্ন: জব্দ করা মালামাল ও রেকর্ড কীভাবে পরিচালনা করা হবে?
উত্তর: যদি জব্দ করা সম্ভব না হয়, তাহলে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিখিত আদেশের মাধ্যমে মালিককে নির্দেশ দিতে পারবেন যে, অনুমতি ছাড়া এটি অপসারণ করা যাবে না।
প্রশ্ন: আয়কর কর্তৃপক্ষের কাছে কোন তথ্য বা রেকর্ড তল্লাশি করার ক্ষমতা আছে?
উত্তর: তারা আয় সম্পর্কিত রেকর্ড, নগদ, মূল্যবান ধাতু, গহনা এবং অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী তল্লাশি করতে পারে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে পারে।
প্রশ্ন: যে ব্যক্তি রেকর্ড, নগদ বা মূল্যবান সামগ্রী জব্দ করার সময় শপথ গ্রহণ করেছে, তার দেওয়া বিবৃতি কীভাবে ব্যবহার হবে?
উত্তর: তার দেওয়া বিবৃতি এই আইনের অধীন কার্যধারায় প্রমাণ হিসাবে ব্যবহার করা যাবে
প্রশ্ন: তদন্তকারী আয়কর কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কীভাবে সহায়তা প্রদান করতে হবে?
উত্তর: মালিক, কর্মচারী বা অন্য ব্যক্তি আয়কর কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় রেকর্ড পরিদর্শন, নগদ বা অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী যাচাই এবং তথ্য সরবরাহ করতে বাধ্য থাকবে।
প্রশ্ন: যদি কোনো ব্যক্তি তথ্য সরবরাহে ব্যর্থ হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে?
উত্তর: যদি কোনো ব্যক্তি তথ্য সরবরাহে ব্যর্থ হয়, তাহলে আয়কর কর্তৃপক্ষ সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত ও কার্যক্রম শুরু করতে পারে এবং তাকে করখেলাপি হিসেবে গণ্য করা হবে।
প্রশ্ন: আয়কর কর্তৃপক্ষের প্রবেশের সময় কোন নিয়মাবলী পালন করতে হবে?
উত্তর: কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র ব্যবসার জন্য উন্মুক্ত সময় বা সূর্যোদয়ের পরে এবং সূর্যাস্তের পূর্বে প্রবেশ করতে পারবে।
প্রশ্ন: জব্দকৃত মালামালের নিরাপত্তা কিভাবে নিশ্চিত করা হবে?
উত্তর: বোর্ড নিয়ম প্রণয়ন করবে যাতে জব্দকৃত মালামালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় এবং অনুসন্ধানের জন্য প্রক্রিয়াগত পদক্ষেপগুলো উল্লেখ থাকবে।
প্রশ্ন: তল্লাশি ও জব্দের সময় কিভাবে কার্যক্রম পরিচালিত হবে?
উত্তর: আইন অনুযায়ী পরিচালিত সমস্ত কার্যক্রমের জন্য Code of Criminal Procedure, 1898 এর বিধানাবলি প্রযোজ্য হবে যতটা সম্ভব।
প্রশ্ন: আইনের আওতায় “কার্যক্রম” শব্দটির অর্থ কী?
উত্তর: “কার্যক্রম” বলতে বোঝায় যে কোন বৎসরের কার্যক্রম যা তল্লাশির জন্য অনুমোদিত তারিখে অনিষ্পন্ন রয়েছে অথবা সেই তারিখের পরে শুরু হয়েছে।
প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ১: ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব কী?
উত্তর: ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জব্দকৃত আয় সংক্রান্ত রেকর্ড ৩০ দিনের মধ্যে উপকর কমিশনারের কাছে হস্তান্তর করবেন।
প্রশ্ন ২: কখন ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপকর কমিশনার পৃথক ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হবে?
উত্তর: যখন যে ব্যক্তির নিকট থেকে রেকর্ড জব্দ করা হয়, সেই ব্যক্তির উপর কোনো অনুমোদিত কর্মচারীর কর্তৃত্ব না থাকে।
প্রশ্ন ৩: যদি ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপকর কমিশনার একই ব্যক্তি হন, তাহলে কি হবে?
উত্তর: তখন রেকর্ডের হস্তান্তর একই দিন হবে বলে গণ্য হবে যেদিন জব্দ করা হয়।
প্রশ্ন ৪: অন্য ব্যক্তির নিকট থেকে জব্দকৃত রেকর্ড কীভাবে হস্তান্তর করা হবে?
উত্তর: ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উক্ত জব্দকৃত বিষয়বস্তু ৩০ দিনের মধ্যে উপকর কমিশনারের কাছে হস্তান্তর করবেন।
প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ১: জব্দকৃত আয় সম্পর্কিত রেকর্ড সংরক্ষণের জন্য সর্বাধিক সময়সীমা কত?
উত্তর: জব্দকৃত আয় সম্পর্কিত রেকর্ড ৬০ কার্যদিবসের অধিক সময় সংরক্ষণ করা যাবে না।
প্রশ্ন ২: যদি সময়সীমা বাড়ানো প্রয়োজন হয়, তাহলে কী করতে হবে?
উত্তর: তদন্তকারী আয়কর কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে সময়সীমা বাড়ানো যাবে।
প্রশ্ন ৩: সময়সীমা বাড়ানোর পরিমাণ কতদিন হতে পারে?
উত্তর: বর্ধিত সময়সীমা ৩০ দিনের অধিক হবে না।
প্রশ্ন ৪: যদি কোনো ব্যক্তি সংরক্ষণের মেয়াদ বর্ধিতকরণের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে চান, তাহলে কী করবেন?
উত্তর: তিনি আবেদন দাখিল করতে পারেন এবং বোর্ড শুনানি শেষে উপযুক্ত আদেশ জারি করবে।
প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ১: জব্দকৃত সম্পদের ব্যবস্থাপনার প্রক্রিয়া কী?
উত্তর: উপকর কমিশনার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে যুক্তিসংগত শুনানির সুযোগ দেন এবং সম্পদ জব্দের ৯০ দিনের মধ্যে অনুসন্ধান করেন।
প্রশ্ন ২: উপকর কমিশনার কোন তথ্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবেন?
উত্তর: অপ্রদর্শিত আয় এবং অপ্রদর্শিত সম্পত্তির আনুমানিক হিসাবের ভিত্তিতে।
প্রশ্ন ৩: ৯০ দিনের সময়সীমায় কী প্রভাব ফেলবে?
উত্তর: নির্ধারিত সময়সীমা, আদেশ বা নিষেধাজ্ঞার কারণে কার্যধারা বহির্ভূত থাকবে।
প্রশ্ন ৪: সম্পত্তি এবং আয় কোন অর্থবছরের সঙ্গে সম্পর্কিত হলে কিভাবে নিরূপণ করা হবে?
উত্তর: যদি সম্পত্তি বা তার অংশের নিরূপণ করা সম্ভব না হয়, তবে জব্দকৃত সম্পদ সেই আয়বর্ষে গণ্য হবে যার সাথে সম্পর্কিত।
প্রশ্ন ৫: যদি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অর্থ পরিশোধ করেন, তাহলে কী হবে?
উত্তর: উপকর কমিশনার জব্দকৃত সম্পদ ছাড় দিবেন বা অন্যান্য উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।
প্রশ্ন ৬: যদি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হন, তাহলে কী ঘটবে?
উত্তর: তিনি অপরিশোধিত করের জন্য করদাতা হিসাবে গণ্য হবেন এবং জব্দকৃত সম্পদ উপকর কমিশনার হেফাজতে থাকবে।
প্রশ্ন ৭: যদি উপকর কমিশনার সন্তুষ্ট হন যে, জব্দকৃত সম্পত্তি অন্য কোনো ব্যক্তির দখলে রয়েছে, তাহলে কী হবে?
উত্তর: উপকর কমিশনার উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন এবং প্রাসঙ্গিক বিধান কার্যকর হবে।
প্রশ্ন ৮: নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ পরিশোধের জন্য আপত্তি করলে কী করতে হবে?
উত্তর: সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কর কমিশনারের কাছে লিখিত আপত্তি উত্থাপন করতে পারবেন। প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ১: অধিকৃত সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া কী?
উত্তর: যদি জব্দকৃত সম্পত্তি কেবল অর্থ হয়, তাহলে উপকর কমিশনার প্রথমে ওই অর্থ ব্যবহার করে অনাদায়ী করের পরিমাণ পরিশোধ করবেন।
প্রশ্ন ২: অর্থ ব্যবহারের পর অবশিষ্ট পরিমাণ কীভাবে পুনরুদ্ধার করা হবে?
উত্তর: অবশিষ্ট অর্থ পুনরুদ্ধারের জন্য উপকর কমিশনার ট্যাক্স রিকোভারি কর্মচারীর মাধ্যমে অন্যান্য অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করতে পারেন।
প্রশ্ন ৩: এই প্রক্রিয়ার কোন বিধান করদাতার নিকট পাওনা আদায়ে বাধা দেয়?
উত্তর: উপ-ধারা (১) এর বিধান এবং ধারা ২০৬ এর উপ-ধারা (৭) করদাতার নিকট পাওনা আদায়ের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে না।
৪: কর পরিশোধের পর অবশিষ্ট সম্পত্তির ব্যবস্থা কী হবে?
উত্তর: দায় পরিশোধের পর অবশিষ্ট সম্পত্তি অবিলম্বে সেই ব্যক্তির নিকট হস্তান্তর করতে হবে যিনি সম্পত্তির হেফাজত করেছিলেন।
প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ১: শপথ গ্রহণের ক্ষমতা সম্পর্কে কোন কর্তৃপক্ষগুলোকে ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে?
উত্তর: উপকর কমিশনার, অতিরিক্ত কর কমিশনার, কর কমিশনার, মহাপরিচালক (কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল), কর কমিশনার (আপিল) এবং আপিল ট্রাইব্যুনালকে ওই ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।
প্রশ্ন ২: এই কর্তৃপক্ষদের কোন কার্যক্রমগুলো পরিচালনা করার ক্ষমতা আছে?
উত্তর:
- উদঘাটন ও পরিদর্শন
- ব্যক্তির উপস্থিতি বাধ্যকরণ এবং শপথ গ্রহণ
- আয় সম্পর্কিত রেকর্ড উপস্থাপনে বাধ্য করা
- সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য কমিশন গঠন করা
প্রশ্ন ৩: উপকর কমিশনার কি ব্যাংকের কর্মচারীদের সাক্ষী হিসেবে হাজির করতে পারেন?
উত্তর: উপকর কমিশনার কমিশনারের পূর্বানুমোদন ব্যতীত তফসিলি ব্যাংকের কর্মচারীকে সাক্ষী হিসেবে হাজির করতে পারবেন না।
প্রশ্ন ৪: আয় সম্পর্কিত দলিলপত্র আটক রাখার নিয়ম কী?
উত্তর:
- আয় সম্পর্কিত দলিলপত্র আটক করার জন্য কারণ রেকর্ড করতে হবে।
- মুখ্য কমিশনার বা কমিশনারের পূর্বানুমোদন ব্যতীত, ১৫ দিনের অধিক আটক রাখা যাবে না।
প্রশ্ন ৫: আয়কর কর্তৃপক্ষের আদেশগুলো কীভাবে গণ্য হবে?
উত্তর: এই আইনের অধীন গৃহীত আদেশগুলো দেওয়ানি আদালতের আদেশ হিসেবে গণ্য হবে।
রচনামূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ১: আয়কর জরিপ ও তল্লাশি কীভাবে পরিচালিত হয় এবং জব্দকৃত সম্পদের বিষয়ে কর কর্তৃপক্ষের করণীয় কী?
উত্তর: আয়কর জরিপ ও তল্লাশি পরিচালনার ক্ষেত্রে, ধারা ১৯৮ থেকে ২১১ অনুযায়ী ক্ষমতাপ্রাপ্ত আয়কর কর্মকর্তারা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করেন। জরিপ ও তল্লাশির মাধ্যমে তারা আয়কর ফাঁকি বা অপ্রদর্শিত সম্পদের খোঁজ পান এবং এই প্রক্রিয়ায় তারা সম্পদ জব্দ করতে পারেন। ধারা ২০৬ এর অধীনে জব্দকৃত সম্পদ সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। জব্দকৃত আয় ও সম্পদের রেকর্ড উপকর কমিশনারের নিকট হস্তান্তর করতে হয় এবং এই সম্পদ নিয়ে অনুসন্ধানের ভিত্তিতে কর আদায়ের জন্য পদক্ষেপ নিতে হয়। উপ-ধারা ২০৯ অনুযায়ী, কর কর্তৃপক্ষ সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিকে শুনানির সুযোগ দিয়ে সম্পত্তির হিসাব নিকাশ করে কর নির্ধারণ করে। কর পরিশোধ না হলে, জব্দকৃত সম্পদ বিক্রয়ের মাধ্যমে কর পুনরুদ্ধার করা হয়।
প্রশ্ন ২: আয়কর কর্তৃপক্ষ জব্দকৃত রেকর্ড কতদিন সংরক্ষণ করতে পারে এবং এই প্রক্রিয়ায় কী কী নিয়ম মেনে চলতে হয়?
উত্তর: ধারা ২০৮ অনুযায়ী, জব্দকৃত আয় সম্পর্কিত রেকর্ড ৬০ কার্যদিবসের অধিক সময় সংরক্ষণ করা যায় না। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে, তদন্তকারী আয়কর কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে সময়সীমা বর্ধিত করা যেতে পারে। বর্ধিত সময়সীমা কোনো বছর ৩০ দিনের বেশি হতে পারবে না। যদি কোনো ব্যক্তি সংক্ষুব্ধ হন, তিনি কর কমিশনারের নিকট আপত্তি জানাতে পারেন। কর কমিশনার যুক্তিসঙ্গত শুনানির সুযোগ দিয়ে আবেদনকারীর পক্ষে উপযুক্ত আদেশ দিতে পারেন।
প্রশ্ন ৩: জরিপের সময় আয় সম্পর্কিত রেকর্ড জব্দ করার প্রক্রিয়া কীভাবে সম্পন্ন হয় এবং জব্দকৃত রেকর্ড কাকে হস্তান্তর করতে হয়?
উত্তর: ধারা ২০৬ অনুযায়ী, জরিপ চলাকালে ক্ষমতাপ্রাপ্ত আয়কর কর্মকর্তা আয় সম্পর্কিত রেকর্ড জব্দ করতে পারেন। রেকর্ড জব্দ করার পর তা উপকর কমিশনারের নিকট হস্তান্তর করতে হয়, যা ৩০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করা আবশ্যক। উপকর কমিশনার সেই রেকর্ড বিশ্লেষণ করে কর পরিশোধের পরিমাণ নির্ধারণ করেন। যদি জব্দকৃত সম্পত্তি শুধুমাত্র অর্থ হয় তবে তা ব্যবহার করে অনাদায়ী কর আদায় করা হয়, এবং যদি অন্যান্য সম্পদও থাকে তবে তা বিক্রয় করে কর পুনরুদ্ধার করা হয়।
প্রশ্ন ৪: আয়কর জরিপ ও জব্দের ক্ষেত্রে শপথ গ্রহণের মাধ্যমে সাক্ষ্য গ্রহণ করার ক্ষমতা কারা ভোগ করেন এবং কীভাবে এই ক্ষমতা প্রয়োগ করা হয়?
উত্তর: ধারা ২১১ অনুযায়ী, কর কমিশনার, উপকর কমিশনার, অতিরিক্ত কর কমিশনার, মহাপরিচালক (কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল), কর কমিশনার (আপিল) এবং আপিল ট্রাইব্যুনাল সাক্ষ্য গ্রহণের ক্ষমতা ভোগ করেন। তারা উদঘাটন ও পরিদর্শনের মাধ্যমে তদন্ত পরিচালনা করেন এবং কোনো ব্যক্তির উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করতে পারেন। তারা শপথ গ্রহণ বা ঘোষণাপূর্বক কোনো ব্যক্তিকে পরীক্ষা করতে পারেন এবং আয় সম্পর্কিত দলিলপত্র উপস্থাপনে বাধ্য করতে পারেন। এদের প্রদত্ত আদেশ দেওয়ানি আদালতের আদেশ হিসেবে গণ্য হয়।
প্রশ্ন ৫: জব্দকৃত সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং আয়কর ফাঁকির বিষয়ে কর কমিশনারের পদক্ষেপ কী হতে পারে?
উত্তর: ধারা ২০৯ অনুযায়ী, জব্দকৃত সম্পদ ব্যবস্থাপনায় কর কমিশনার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে শুনানির সুযোগ দেন এবং জব্দের ৯০ দিনের মধ্যে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেন। তারা জব্দকৃত সম্পদ থেকে আনুমানিক আয় ও কর নির্ধারণ করেন এবং কর পরিশোধের জন্য আদেশ দেন। যদি কর পরিশোধ না হয়, তবে জব্দকৃত সম্পত্তি বিক্রয় করে কর আদায়ের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।
