Scopus-indexed journal এবং এর গুরুত্ব।

Scopus-indexed জার্নাল হলো সেইসব প্রকাশনা যেগুলো Scopus ডাটাবেসে অন্তর্ভুক্ত থাকে। Scopus একটি বৃহত্তম গবেষণা ডাটাবেস, যা বিভিন্ন বিষয়ে পিয়ার-রিভিউড আর্টিকেল এবং জার্নালের তথ্য সংরক্ষণ করে। এটি বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য একটি বিশ্বস্ত উৎস।

কীভাবে Scopus-indexed জার্নাল চেনা যায়?

1. Scopus এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করুন:
   Scopus Sources ওয়েবসাইটে গিয়ে জার্নালের নাম, ISSN নম্বর, বা প্রকাশকের নাম দিয়ে সার্চ করুন।
2. SCImago Journal Rank (SJR) চেক করুন:
   SCImago ওয়েবসাইট ব্যবহার করে জার্নালের অবস্থান যাচাই করতে পারেন।
3. বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা:
   কিছু বিশ্ববিদ্যালয় তাদের নিজস্ব Scopus-indexed জার্নালের তালিকা প্রদান করে। সেগুলো ব্যবহার করে নিশ্চিত হতে পারেন।

Scopus-indexed জার্নালে প্রকাশনার উপকারিতা:

• বৈশ্বিক স্বীকৃতি: আপনার আর্টিকেল আন্তর্জাতিকভাবে পড়া এবং গ্রহণযোগ্য হবে।
• গুণগত মান: Scopus জার্নালে প্রকাশনার জন্য কঠোর পিয়ার-রিভিউ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।
• ক্যারিয়ার উন্নতি: একাডেমিক বা পেশাগত জীবনে এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বাংলায় গবেষণাপত্রের সুযোগ:

বাংলায় গবেষণাপত্র লিখে প্রকাশ করার জন্য এখনো আন্তর্জাতিকভাবে Scopus-এ নিবন্ধিত জার্নাল সীমিত। তবে কিছু জার্নাল স্থানীয় ভাষায় আর্টিকেল গ্রহণ করে যদি সেটি গবেষণার মূল বিষয়বস্তুর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।

বাংলাদেশে Scopus-indexed জার্নাল-এর সম্ভাবনা এবং গুরুত্ব

বাংলাদেশে Scopus-indexed জার্নাল-এর সম্ভাবনা এবং গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে, বিশেষ করে একাডেমিক এবং গবেষণার ক্ষেত্রে। Scopus ডাটাবেসে বাংলাদেশের জার্নাল অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে দেশীয় গবেষণা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পেতে পারে। তবে এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী এবং কঠোর প্রক্রিয়া, যেটি নির্ভর করে জার্নালের মান, প্রকাশনা নীতি, এবং পিয়ার-রিভিউ প্রক্রিয়ার উপর।

---

বাংলাদেশে Scopus-indexed জার্নালের বর্তমান অবস্থা

বাংলাদেশ থেকে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য জার্নাল ইতোমধ্যেই Scopus-এ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। যেমন:

• Bangladesh Journal of Plant Taxonomy
• Dhaka University Journal of Pharmaceutical Sciences
• Bangladesh Medical Research Council Bulletin

এগুলো Scopus-এর গুণগত মানের শর্ত পূরণ করায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

---

Scopus-এ অন্তর্ভুক্তির চ্যালেঞ্জসমূহ

• মানসম্পন্ন পিয়ার-রিভিউ প্রক্রিয়া: অনেক জার্নালের পিয়ার-রিভিউ ব্যবস্থা আন্তর্জাতিক মানের নয়।
• আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও প্রভাব: জার্নালের সাইটেশন এবং গ্লোবাল রিডারশিপ কম হওয়ায় Scopus অন্তর্ভুক্তি কঠিন হয়।
• প্রকাশনার ধারাবাহিকতা: অনেক জার্নাল নিয়মিত প্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়, যা Scopus-এর জন্য বড় বাধা।
• তহবিল ও প্রযুক্তিগত সহায়তা: উন্নতমানের প্রকাশনা এবং প্ল্যাটফর্ম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল এবং প্রযুক্তি অভাব রয়েছে।

---

বাংলাদেশে Scopus-indexed জার্নাল বৃদ্ধির সম্ভাবনা

• বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগ: বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো (যেমন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়) যদি মানসম্পন্ন গবেষণাপত্র প্রকাশ করে, তাহলে তা Scopus-এ অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
• আন্তর্জাতিক সহযোগিতা: বিদেশি গবেষকদের সাথে সহযোগিতা বাড়িয়ে মানসম্মত গবেষণা করা গেলে Scopus-এ অন্তর্ভুক্তির সুযোগ তৈরি হয়।
• গবেষণার মানোন্নয়ন: গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত তহবিল এবং সঠিক নীতি অনুসরণ করে দেশীয় জার্নালের গুণগত মান বৃদ্ধি করতে হবে।
• সরকারি সহায়তা: সরকার যদি স্থানীয় জার্নালগুলোকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার জন্য তহবিল এবং প্রশিক্ষণ দেয়, তাহলে Scopus অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা অনেক বৃদ্ধি পাবে।

---

সমাধান এবং সুপারিশ

• মানসম্পন্ন পিয়ার-রিভিউ নিশ্চিত করা।
• আন্তর্জাতিক মানের এডিটর বোর্ড গঠন।
• ন্যূনতম ৩-৫ বছরের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা।
• দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক গবেষকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
• ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে প্রকাশনা বাড়ানো।

বাংলাদেশের জার্নালগুলো যদি এই ধাপগুলো অনুসরণ করে, তাহলে Scopus-এ স্থান পাওয়ার সম্ভাবনা বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে। আপনি যদি কোনো নির্দিষ্ট জার্নাল বা গবেষণার ক্ষেত্রে সাহায্য চান, আমাকে জানাতে পারেন।

Scopus-এ জার্নাল অন্তর্ভুক্তির শর্তাবলি

Scopus-এ কোনো জার্নাল অন্তর্ভুক্তির (indexed) শর্তাবলি বা মানদণ্ড অত্যন্ত নির্দিষ্ট এবং কঠোর। Scopus নিশ্চিত করতে চায় যে অন্তর্ভুক্ত প্রতিটি জার্নাল গুণগত মান বজায় রাখে এবং গবেষকদের জন্য প্রাসঙ্গিক থাকে। নিচে Scopus-এর শর্তাবলির বিস্তারিত দেওয়া হলো:

---

১. মৌলিক শর্তাবলি

• ISSN (International Standard Serial Number): জার্নালের একটি বৈধ এবং রেজিস্টার্ড ISSN নম্বর থাকতে হবে।
• প্রকাশনা ধারাবাহিকতা: জার্নালটি নিয়মিত এবং ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হতে হবে।
• ইংরেজি শিরোনাম এবং সারাংশ (Abstract): শিরোনাম, সারাংশ, এবং কী-ওয়ার্ড ইংরেজিতে থাকতে হবে, যদিও প্রবন্ধের পূর্ণ পাঠ্য অন্য ভাষায় হতে পারে।
• পরিচ্ছন্ন প্রকাশনা নীতি: জার্নালের একটি সুস্পষ্ট এবং প্রকাশিত নীতি থাকতে হবে, যেমন পিয়ার-রিভিউ প্রক্রিয়া এবং এডিটরিয়াল মান।

---

২. পিয়ার-রিভিউড কনটেন্ট

Scopus শুধুমাত্র পিয়ার-রিভিউড জার্নাল অন্তর্ভুক্ত করে। প্রতিটি আর্টিকেল উচ্চমানের পিয়ার-রিভিউ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যাচাই হওয়া বাধ্যতামূলক।

---

৩. বৈজ্ঞানিক গুণগত মান

• এডিটরিয়াল বোর্ড: এডিটরিয়াল বোর্ডে আন্তর্জাতিক এবং স্বনামধন্য গবেষকদের অন্তর্ভুক্তি থাকতে হবে।
• কনটেন্টের মৌলিকতা: প্রকাশিত প্রবন্ধগুলোকে অবশ্যই গবেষণার ক্ষেত্রে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি বা জ্ঞান প্রদান করতে হবে।
• রেফারেন্স এবং সাইটেশন: প্রতিটি প্রবন্ধের রেফারেন্স এবং সাইটেশন যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে।

---

৪. আন্তর্জাতিক কভারেজ

• লেখকদের বৈচিত্র্য: জার্নালে আন্তর্জাতিক লেখক এবং গবেষকদের প্রবন্ধ থাকা উচিত।
• পাঠকগোষ্ঠীর বৈচিত্র্য: জার্নালের বিষয়বস্তু আন্তর্জাতিক পাঠকদের জন্য প্রাসঙ্গিক হতে হবে।

---

৫. কারিগরি মানদণ্ড

• ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম: জার্নালটি অনলাইনে সহজে অ্যাক্সেসযোগ্য হতে হবে।
• ইনডেক্সিং ডেটা: প্রতিটি আর্টিকেলের সাথে প্রাসঙ্গিক মেটাডেটা (শিরোনাম, সারাংশ, কী-ওয়ার্ড) থাকতে হবে।
• DOI (Digital Object Identifier): প্রতিটি প্রবন্ধের একটি DOI থাকতে হবে।

---

৬. নৈতিকতা এবং স্বচ্ছতা

• প্রকাশনার স্বচ্ছ নীতি: প্রকাশনার প্রক্রিয়া এবং ফি (যদি থাকে) সম্পর্কে পরিষ্কার তথ্য থাকতে হবে।
• গবেষণা নৈতিকতা: গবেষণার ক্ষেত্রে প্লাগিয়ারিজম বা অন্য কোনো অনৈতিক কাজের প্রতি শূন্য সহনশীলতা থাকতে হবে।
• স্বচ্ছতা: ফান্ডিং সোর্স এবং গবেষণা স্বার্থের সংঘাত (conflict of interest) সম্পর্কে তথ্য প্রদান করতে হবে।

---

৭. রিভিউ প্রক্রিয়া (Content Selection & Advisory Board - CSAB)

Scopus-এর Content Selection & Advisory Board (CSAB) দ্বারা প্রতিটি আবেদন পর্যালোচনা করা হয়। তারা নিম্নলিখিত বিষয়গুলো পরীক্ষা করে:

• কনটেন্টের মান।
• সাইটেশন প্রভাব (Citation Impact)।
• আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।

---

আবেদন প্রক্রিয়া

1. Scopus Source Request Form পূরণ করা: এটি Scopus-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়।
2. জার্নাল সম্পর্কিত তথ্য প্রদান: যেমন এডিটরিয়াল বোর্ডের তালিকা, আর্টিকেলের নমুনা, এবং পিয়ার-রিভিউ পদ্ধতি।
3. CSAB পর্যালোচনা: আবেদন জমা দেওয়ার পর CSAB তা পর্যালোচনা করবে। প্রক্রিয়াটি কয়েক মাস পর্যন্ত সময় নিতে পারে।

---

উদাহরণ

বাংলাদেশের জার্নালগুলো যদি মানসম্মত পিয়ার-রিভিউ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এবং আন্তর্জাতিক গবেষণায় অবদান রাখতে পারে, তাহলে Scopus-এ অন্তর্ভুক্তি সহজ হবে।

আপনার জার্নাল Scopus-এ অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দরকার হলে, আমাকে জানান।

DOI (Digital Object Identifier): বিস্তারিত

DOI হলো একটি ইউনিক আইডেন্টিফায়ার যা গবেষণাপত্র, জার্নাল আর্টিকেল, বই বা অন্য যেকোনো ডিজিটাল সামগ্রীকে চিহ্নিত করে। এটি প্রতিটি ডকুমেন্টকে একটি স্থায়ী এবং নির্দিষ্ট লিঙ্ক প্রদান করে, যা সময়ের সাথে পরিবর্তন হয় না।

DOI-এর বৈশিষ্ট্য:

• স্থায়িত্ব (Permanence): DOI সবসময় একটি নির্দিষ্ট ডকুমেন্টের দিকে নির্দেশ করে, এমনকি প্রকাশকের URL পরিবর্তন হলেও।
• ইউনিক আইডেন্টিফায়ার: প্রতিটি DOI নম্বর ইউনিক, যার মাধ্যমে নির্দিষ্ট ডকুমেন্ট চিহ্নিত করা যায়।
• অনলাইন অনুসন্ধানের সুবিধা: DOI ব্যবহার করে আর্টিকেল বা গবেষণাপত্র খুব সহজেই খুঁজে পাওয়া যায়।

DOI-এর কাঠামো:

DOI সাধারণত তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত:

• প্রিফিক্স: প্রকাশকের আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (যেমন: 10.1000)।
• স্ল্যাশ (/): অংশগুলোকে আলাদা করার জন্য ব্যবহৃত।
• সাফিক্স: ডকুমেন্ট বা আর্টিকেলের ইউনিক কোড (যেমন: xyz12345)।

উদাহরণ: DOI: 10.1016/j.physletb.2003.10.071

এই নম্বর দিয়ে নির্দিষ্ট আর্টিকেল সহজেই খুঁজে বের করা সম্ভব।

DOI-এর উপকারিতা:

• গবেষণার স্থায়ী অ্যাক্সেস নিশ্চিত করা।
• সাইটেশন ব্যবস্থাপনায় সহজতা।
• অনলাইন প্রকাশনার বৈশ্বিক স্বীকৃতি।

DOI কোথায় পাওয়া যায়?

DOI সাধারণত গবেষণা নিবন্ধের প্রথম পৃষ্ঠায় বা প্রকাশকের ওয়েবসাইটে দেওয়া থাকে।

ISSN (International Standard Serial Number): বিস্তারিত

ISSN হলো একটি ইউনিক ৮-ডিজিটের কোড যা ধারাবাহিক প্রকাশনা (serial publications) যেমন ম্যাগাজিন, জার্নাল, এবং নিউজলেটারকে চিহ্নিত করে। এটি একটি নির্দিষ্ট সিরিয়াল বা জার্নালকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দেয়।

ISSN-এর বৈশিষ্ট্য:

• ইউনিক আইডেন্টিফায়ার: প্রতিটি ধারাবাহিক প্রকাশনার জন্য একটি ইউনিক ISSN বরাদ্দ করা হয়।
• ধারাবাহিকতার চিহ্ন: এটি ধারাবাহিক প্রকাশনার জন্য প্রযোজ্য, যেমন প্রিন্ট এবং অনলাইন সংস্করণে আলাদা ISSN থাকতে পারে।
• ফর্ম্যাট: ISSN কোডটি সাধারণত এভাবে লেখা হয়: 1234-5678

ISSN-এর উপকারিতা:

• বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি: এটি নির্দিষ্ট জার্নাল বা সিরিয়ালকে আন্তর্জাতিকভাবে চিহ্নিত করে।
• ডেটাবেস ব্যবস্থাপনা: লাইব্রেরি এবং প্রকাশনা ডেটাবেস পরিচালনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
• অনলাইন এবং প্রিন্ট সংস্করণের পৃথক আইডেন্টিফায়ার: অনলাইন সংস্করণের জন্য এক ধরনের ISSN এবং প্রিন্ট সংস্করণের জন্য আরেক ধরনের ISSN বরাদ্দ করা হয়।

ISSN কোথায় পাওয়া যায়?

প্রতিটি জার্নালের প্রথম বা শেষ পৃষ্ঠায় ISSN দেওয়া থাকে। এটি ISSN International Centre থেকে বরাদ্দ করা হয়।

ISSN বরাদ্দের প্রক্রিয়া:

• আবেদন করার মাধ্যমে ISSN বরাদ্দ করা যায়।
• আবেদন করতে প্রকাশনার নাম, বিষয়বস্তু, এবং পদ্ধতির বিবরণ প্রয়োজন।

DOI এবং ISSN-এর মধ্যে পার্থক্য:

DOI মূলত নির্দিষ্ট আর্টিকেল বা গবেষণাপত্রের জন্য ব্যবহৃত হয়, যেখানে ISSN একটি ধারাবাহিক প্রকাশনাকে চিহ্নিত করে।

DOI ও ISSN: শিক্ষাগত যোগ্যতা

DOI বা ISSN ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট যোগ্যতা:

DOI (Digital Object Identifier) বা ISSN (International Standard Serial Number) নিয়ে কাজ করতে বিশেষ কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা বাধ্যতামূলক নয়। তবে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে কাজ করতে হলে কিছু নির্দিষ্ট দক্ষতা ও যোগ্যতা প্রয়োজন।

1. প্রকাশনা বা জার্নাল ম্যানেজমেন্টে অভিজ্ঞতা:

• একাডেমিক বা গবেষণামূলক প্রকাশনা বিষয়ে জ্ঞান থাকা গুরুত্বপূর্ণ।
• পিয়ার-রিভিউ প্রক্রিয়া বা জার্নাল সম্পাদনায় অভিজ্ঞতা সুবিধাজনক।

2. তথ্য ও লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট:

• লাইব্রেরি সায়েন্স বা তথ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পড়াশোনা থাকলে ISSN সংক্রান্ত কাজ সহজ হয়।

3. ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা:

• DOI ও ISSN-এর প্রক্রিয়ায় ইংরেজি যোগাযোগ এবং ডকুমেন্টেশন প্রয়োজন হয়।

4. প্রযুক্তিগত দক্ষতা:

• অনলাইন ডেটাবেস ব্যবস্থাপনা, মেটাডেটা এন্ট্রি এবং DOI/ISSN সিস্টেমে কাজ করার জন্য প্রযুক্তিগত দক্ষতা থাকতে হবে।

5. গবেষণা পদ্ধতি এবং নৈতিকতা সম্পর্কে জ্ঞান:

• গবেষণা এবং প্রকাশনার নৈতিকতা সম্পর্কে জ্ঞান থাকা আবশ্যক।

শিক্ষাগত যোগ্যতা:

1. স্নাতক ডিগ্রি (Bachelor’s Degree):

• গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, লাইব্রেরি সায়েন্স, তথ্য প্রযুক্তি, বা গবেষণামূলক বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি সহায়ক।

2. স্নাতকোত্তর ডিগ্রি (Master’s Degree):

• গবেষণা বা প্রকাশনার উচ্চতর পদে কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি (যেমন: লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফরমেশন সায়েন্স, পাবলিশিং স্টাডিজ) প্রয়োজন হতে পারে।

3. গবেষণার অভিজ্ঞতা:

• জার্নাল প্রকাশনায় কাজ করার পূর্বে গবেষণা বা পিয়ার-রিভিউ প্রক্রিয়ার অভিজ্ঞতা থাকা সুবিধাজনক।

বিশেষ প্রশিক্ষণ:

• DOI এবং ISSN-এর ওয়েবসাইট থেকে প্রশিক্ষণ।
• অনলাইন কোর্স: অ্যাকাডেমিক পাবলিশিং বা ডিজিটাল পাবলিকেশনের ওপর বিশেষ কোর্স।

সংক্ষেপে:

এ ক্ষেত্রে কাজ করতে সাধারণত গবেষণামূলক বা তথ্য ব্যবস্থাপনার জ্ঞান, প্রযুক্তিগত দক্ষতা, এবং ইংরেজি ভাষায় ভালো যোগাযোগ ক্ষমতা দরকার। যদি আপনার আগ্রহ থাকে, তাহলে নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা বা অনলাইন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শুরু করা যায়।

DOI এবং ISSN ব্যবস্থাপনায় খরচ এবং আয়

খরচ:

• DOI বরাদ্দের খরচ:

  DOI বরাদ্দের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মাঝে প্রাপ্ত পরিমাণের উপর ভিত্তি করে খরচ হতে পারে। প্রতি DOI বরাদ্দের জন্য সাধারণত একটি ফি নেওয়া হয়, যা প্রতিষ্ঠানের প্রকাশনার আকার ও পরিমাণের ওপর নির্ভর করে। DOI প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান (যেমন CrossRef) সাধারণত প্রতি DOI-এর জন্য বার্ষিক ফি নিয়ে থাকে, যা $100 থেকে $200 প্রতি বর্ষ হতে পারে।

• ISSN বরাদ্দের খরচ:

  ISSN বরাদ্দের জন্য আবেদন করতে প্রক্রিয়া থাকে, এবং সাধারণত ISSN International Centre বা সংশ্লিষ্ট স্থানীয় দপ্তর থেকে এটি সরবরাহ করা হয়। ISSN বরাদ্দের জন্য সাধারণত একটি আবেদন ফি রয়েছে, তবে অনেক দেশে সরকারিভাবে এটি বিনামূল্যে দেওয়া হয়।

• প্রকাশনা ও সম্পাদনা খরচ:

  পিয়ার-রিভিউ প্রক্রিয়া, সম্পাদকীয় কাজ, আর্টিকেল লেখন, এবং ওয়েবসাইট ডিজাইন সহ অন্যান্য খরচ যেমন গবেষণা কার্যক্রম বা প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনা খরচ লাগতে পারে। এই খরচ কমপক্ষে কয়েক হাজার টাকা বা ডলার পর্যন্ত হতে পারে।

আয়:

• পিয়ার-রিভিউ পদ্ধতি:

  গবেষণাপত্র বা আর্টিকেল প্রকাশ করার জন্য পUBLISHING কোম্পানিগুলি (যেমন Springer, Elsevier, Wiley) সাইটেশন ফি বা প্রক্রিয়া ফি ধার্য করে, যা প্রতি আর্টিকেলের জন্য $100 থেকে $200 পর্যন্ত হতে পারে।

• রেকগনিশন ও রেফারেন্স:

  DOI বা ISSN অনুমোদিত জার্নালগুলো থেকে আয় প্রধানত বিজ্ঞাপন, সাবস্ক্রিপশন ফি, বা ডাউনলোডের মাধ্যমে আসে। যদি আপনি পিআর বা বিজ্ঞাপন সহ কোনো জার্নাল প্রকাশ করেন, তখন বিজ্ঞাপন বা সাবস্ক্রিপশন থেকে আয় হতে পারে। এক্ষেত্রে, মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি বা বিজ্ঞাপন স্থান বিক্রির মাধ্যমে ভালো আয় হতে পারে।

• অ্যাকাডেমিক প্রকাশনায় সহযোগিতা:

  গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান বা লেখকরা যদি আপনার প্ল্যাটফর্মে কাজ করেন, তাহলে তারা আপনাকে স্পন্সর বা ফি দিতে পারে, যা আয় হিসাবে গণ্য হয়।

উপসংহার:

• খরচ: DOI ও ISSN বরাদ্দের জন্য বছরে $100 থেকে $200 প্রতি নিবন্ধ বা জার্নাল, এডিটরিয়াল এবং প্রকাশনার খরচ আরও বাড়তে পারে।
• আয়: যদি আপনার জার্নালটি সফলভাবে স্বীকৃতি পায় এবং সাইটেশন বা সাবস্ক্রিপশন হতে থাকে, তবে আয় নির্দিষ্ট সংখ্যক নিবন্ধ, বিজ্ঞাপন এবং সাবস্ক্রিপশন থেকে আসতে পারে।

এখানে উল্লেখিত খরচ এবং আয় অনুমান ভিত্তিক। এর চূড়ান্ত পরিমাণ নির্ভর করে আপনার কাজের আকার এবং অবদান উপর।

DOI এবং ISSN ব্যবস্থাপনায় খরচ এবং আয়

খরচ:

• DOI বরাদ্দের খরচ:

  DOI বরাদ্দের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মাঝে প্রাপ্ত পরিমাণের উপর ভিত্তি করে খরচ হতে পারে। প্রতি DOI বরাদ্দের জন্য সাধারণত একটি ফি নেওয়া হয়, যা প্রতিষ্ঠানের প্রকাশনার আকার ও পরিমাণের ওপর নির্ভর করে। DOI প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান (যেমন CrossRef) সাধারণত প্রতি DOI-এর জন্য বার্ষিক ফি নিয়ে থাকে, যা $100 থেকে $200 প্রতি বর্ষ হতে পারে।

• ISSN বরাদ্দের খরচ:

  ISSN বরাদ্দের জন্য আবেদন করতে প্রক্রিয়া থাকে, এবং সাধারণত ISSN International Centre বা সংশ্লিষ্ট স্থানীয় দপ্তর থেকে এটি সরবরাহ করা হয়। ISSN বরাদ্দের জন্য সাধারণত একটি আবেদন ফি রয়েছে, তবে অনেক দেশে সরকারিভাবে এটি বিনামূল্যে দেওয়া হয়।

• প্রকাশনা ও সম্পাদনা খরচ:

  পিয়ার-রিভিউ প্রক্রিয়া, সম্পাদকীয় কাজ, আর্টিকেল লেখন, এবং ওয়েবসাইট ডিজাইন সহ অন্যান্য খরচ যেমন গবেষণা কার্যক্রম বা প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনা খরচ লাগতে পারে। এই খরচ কমপক্ষে কয়েক হাজার টাকা বা ডলার পর্যন্ত হতে পারে।

আয়:

• পিয়ার-রিভিউ পদ্ধতি:

  গবেষণাপত্র বা আর্টিকেল প্রকাশ করার জন্য পUBLISHING কোম্পানিগুলি (যেমন Springer, Elsevier, Wiley) সাইটেশন ফি বা প্রক্রিয়া ফি ধার্য করে, যা প্রতি আর্টিকেলের জন্য $100 থেকে $200 পর্যন্ত হতে পারে।

• রেকগনিশন ও রেফারেন্স:

  DOI বা ISSN অনুমোদিত জার্নালগুলো থেকে আয় প্রধানত বিজ্ঞাপন, সাবস্ক্রিপশন ফি, বা ডাউনলোডের মাধ্যমে আসে। যদি আপনি পিআর বা বিজ্ঞাপন সহ কোনো জার্নাল প্রকাশ করেন, তখন বিজ্ঞাপন বা সাবস্ক্রিপশন থেকে আয় হতে পারে। এক্ষেত্রে, মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি বা বিজ্ঞাপন স্থান বিক্রির মাধ্যমে ভালো আয় হতে পারে।

• অ্যাকাডেমিক প্রকাশনায় সহযোগিতা:

  গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান বা লেখকরা যদি আপনার প্ল্যাটফর্মে কাজ করেন, তাহলে তারা আপনাকে স্পন্সর বা ফি দিতে পারে, যা আয় হিসাবে গণ্য হয়।

উপসংহার:

• খরচ: DOI ও ISSN বরাদ্দের জন্য বছরে $100 থেকে $200 প্রতি নিবন্ধ বা জার্নাল, এডিটরিয়াল এবং প্রকাশনার খরচ আরও বাড়তে পারে।
• আয়: যদি আপনার জার্নালটি সফলভাবে স্বীকৃতি পায় এবং সাইটেশন বা সাবস্ক্রিপশন হতে থাকে, তবে আয় নির্দিষ্ট সংখ্যক নিবন্ধ, বিজ্ঞাপন এবং সাবস্ক্রিপশন থেকে আসতে পারে।

এখানে উল্লেখিত খরচ এবং আয় অনুমান ভিত্তিক। এর চূড়ান্ত পরিমাণ নির্ভর করে আপনার কাজের আকার এবং অবদান উপর।

Scopus-Indexed জার্নাল তৈরির কলাকৌশল

Scopus-এ অন্তর্ভুক্তির জন্য একটি জার্নাল তৈরি করা কঠিন এবং নির্দিষ্ট মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে কাজ করতে হয়। একটি সফল Scopus-Indexed জার্নাল তৈরির জন্য কয়েকটি কলাকৌশল রয়েছে যা আপনি অনুসরণ করতে পারেন:

১. সম্পাদনা ও বিষয়বস্তু প্রস্তুতি

• পিয়ার-রিভিউ সিস্টেম: Scopus-এ অন্তর্ভুক্তির জন্য পিয়ার-রিভিউ প্রক্রিয়া অপরিহার্য। নিশ্চিত করুন যে আপনার জার্নালে সব প্রবন্ধ পিয়ার-রিভিউ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায়।
• সঠিক বিষয়বস্তু নির্বাচন: জার্নালের বিষয়বস্তু এবং গবেষণার ক্ষেত্র আন্তর্জাতিক মানের এবং বৈজ্ঞানিক হতে হবে। বিষয়বস্তুটি বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ব্যবসা, বা সামাজিক বিজ্ঞান সম্পর্কিত হতে পারে।
• গবেষণার মৌলিকতা: Scopus নতুন, মৌলিক এবং প্রাসঙ্গিক গবেষণাকে গুরুত্ব দেয়। আপনাকে নতুন গবেষণা, গবেষণার সমালোচনা বা নতুন ধারণার প্রসারণ করতে হবে।

২. বৈজ্ঞানিক গুণগত মান নিশ্চিতকরণ

• এডিটরিয়াল বোর্ড তৈরি: Scopus-এ অন্তর্ভুক্তির জন্য একটি শক্তিশালী এবং আন্তর্জাতিক মানের এডিটরিয়াল বোর্ডের প্রয়োজন। বোর্ডের সদস্যদের প্রতিষ্ঠিত গবেষক এবং বিশেষজ্ঞ হতে হবে।
• রেফারেন্সিং এবং সাইটেশন: জার্নালটির রেফারেন্স এবং সাইটেশন মানসম্মত এবং সঠিকভাবে হবে। গবেষণার মাপকাঠি হিসেবে সাইটেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
• কনটেন্টের গুণগত মান: প্রতি প্রবন্ধের গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে। জার্নালের আর্টিকেলগুলি আন্তর্জাতিক গবেষণার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রাসঙ্গিক হতে হবে।

৩. ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম এবং প্রযুক্তিগত মানদণ্ড

• অনলাইন প্রকাশনা: Scopus-এ অন্তর্ভুক্তির জন্য আপনার জার্নালটি অনলাইনে সহজে পাওয়া যেতে হবে। DOI (Digital Object Identifier) সিস্টেমের মাধ্যমে প্রতিটি প্রবন্ধের একটি স্থায়ী লিঙ্ক থাকতে হবে।
• মেটাডেটা এবং DOI: প্রতিটি আর্টিকেল বা গবেষণার জন্য DOI থাকা উচিত এবং তা সহজেই খুঁজে পাওয়া যাবে। এছাড়া, প্রতিটি প্রবন্ধের জন্য সঠিক মেটাডেটা (শিরোনাম, সারাংশ, কী-ওয়ার্ড) থাকতে হবে।
• ইউজার-ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস: আপনার জার্নালের ওয়েবসাইট বা প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহারকারীদের জন্য সহজে প্রবেশযোগ্য এবং অনুসন্ধানযোগ্য হতে হবে।

৪. আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা এবং বৈচিত্র্য

• আন্তর্জাতিক লেখক ও পাঠক: Scopus আন্তর্জাতিক লেখক এবং গবেষকদের প্রবন্ধ গৃহীত করতে চায়। জার্নালের প্রবন্ধগুলোর মধ্যে আন্তর্জাতিক লেখক ও গবেষকদের কাজ থাকতে হবে।
• পাঠকদের বৈচিত্র্য: আপনার জার্নালটি বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাঠকদের জন্য প্রাসঙ্গিক হতে হবে। এটি বৈশ্বিক গবেষণার উন্নতির জন্য সহায়ক।

৫. এথিক্যাল গাইডলাইনস এবং স্বচ্ছতা

• গবেষণা নৈতিকতা: গবেষণা ও প্রকাশনার ক্ষেত্রে কোন প্রকার অনৈতিক কাজ (যেমন, প্ল্যাগিয়ারিজম) সহ্য করা যাবে না। Scopus-এ অন্তর্ভুক্তির জন্য, জার্নালটির প্রকাশনার প্রক্রিয়া এবং গবেষণার ক্ষেত্রে সঠিক নৈতিকতা অনুসরণ করতে হবে।
• স্বচ্ছতা: গবেষণার আর্থিক সহযোগিতা এবং গবেষণা স্বার্থের সংঘাত (conflict of interest) সম্পর্কে স্পষ্টভাবে তথ্য প্রদান করতে হবে। এটি গবেষক এবং জার্নালটির প্রতি বিশ্বাস তৈরি করে।

৬. জার্নাল পদ্ধতি ও কন্টেন্ট সিলেকশন প্রক্রিয়া

• সামগ্রিক মান: Scopus কেবলমাত্র উচ্চমানের কন্টেন্টকে গুরুত্ব দেয়। কন্টেন্ট সিলেকশন এবং অ্যাডভাইজরি বোর্ডের মাধ্যমে একটি কঠোর নির্বাচনী প্রক্রিয়া তৈরি করুন।
• বিষয় নির্বাচন: আপনার জার্নালের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রাসঙ্গিক বিষয়ে লেখা পছন্দ করুন যা বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি যোগ করে।

৭. প্রকাশনার ফি ও নীতি

• স্বচ্ছ প্রকাশনা নীতি: আপনি যদি প্রকাশনার জন্য ফি ধার্য করেন, তবে এটি সম্পর্কে স্পষ্টভাবে জানাতে হবে। Scopus-এ অন্তর্ভুক্তি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা অপরিহার্য।

৮. আবেদন প্রক্রিয়া ও পর্যালোচনা

• Scopus Source Request Form: প্রথমে Scopus Source Request Form পূরণ করতে হবে, যেখানে আপনার জার্নাল সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য থাকবে।
• Content Selection & Advisory Board (CSAB) পর্যালোচনা: আবেদন জমা দেওয়ার পর, CSAB এটি পর্যালোচনা করে এবং প্রায় কয়েক মাস সময় নেবে।

৯. দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা

• মান বজায় রাখা: জার্নালটির গুণগত মান এবং বৈজ্ঞানিক গুরুত্ব দীর্ঘমেয়াদীভাবে বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি কেবল Scopus-এ অন্তর্ভুক্তি নয়, বরং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতির জন্যও প্রয়োজনীয়।
• নতুন ও গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট: সময়ের সাথে সাথে নতুন গবেষণা এবং উন্নতি নিয়ে সঠিকভাবে কন্টেন্ট আপডেট করতে হবে।

সারসংক্ষেপ

Scopus-এ একটি জার্নাল অন্তর্ভুক্তি একটি দীর্ঘমেয়াদী এবং কঠিন প্রক্রিয়া। এটি শুধুমাত্র নির্দিষ্ট মানদণ্ড এবং প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সম্ভব, যার মধ্যে পিয়ার-রিভিউ, বৈজ্ঞানিক গুণগত মান, আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা, এবং নৈতিকতা নিশ্চিত করা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

পিয়ার-রিভিউ সিস্টেম কি

পিয়ার-রিভিউ সিস্টেম (Peer Review System) হলো একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে গবেষণা, প্রবন্ধ বা অন্যান্য বৈজ্ঞানিক কাজ অন্য বিশেষজ্ঞদের (যাদের পিয়ার বা সমকক্ষ বলা হয়) দ্বারা পর্যালোচনা করা হয়। এটি সাধারণত গবেষণাপত্র বা জার্নাল প্রকাশের আগে করা হয়, যাতে গবেষণার গুণগত মান, বৈজ্ঞানিক সঠিকতা এবং নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করা যায়।

পিয়ার-রিভিউ সিস্টেমের মূল বৈশিষ্ট্য:

• গবেষণার মান নিশ্চিতকরণ: পিয়ার-রিভিউ সিস্টেম নিশ্চিত করে যে প্রকাশিত কাজটি বৈজ্ঞানিক মানদণ্ড এবং শুদ্ধতার সাথে সংগতিপূর্ণ।
• অবজেক্টিভিটি: পিয়ার-রিভিউ সিস্টেমে একটি তৃতীয় পক্ষের বিশেষজ্ঞ গবেষণা মূল্যায়ন করে, যা মূল লেখকের পক্ষপাতিত্ব এবং বানোয়াট সিদ্ধান্ত থেকে মুক্ত থাকে।
• বৈজ্ঞানিক উন্নতি: এটি গবেষকদের তাদের কাজের সঠিকতা এবং শক্তি আরও ভালোভাবে বুঝতে সহায়তা করে। রিভিউয়াররা গবেষণায় খুঁত বা দুর্বলতা চিহ্নিত করে, যা লেখককে পরবর্তীতে কাজ উন্নত করার সুযোগ দেয়।

পিয়ার-রিভিউ প্রক্রিয়া:

1. গবেষণা প্রবন্ধ জমা দেয়া: লেখক তাদের গবেষণা পত্র বা প্রবন্ধ একটি জার্নাল বা প্রকাশনায় জমা দেয়।
2. রিভিউয়ার নির্বাচন: প্রবন্ধটি পাঠানোর পর, সম্পাদক (editor) বা পত্রিকা কর্তৃপক্ষ একটি বা একাধিক পিয়ার রিভিউয়ার নির্বাচন করে যারা বিষয়টির বিশেষজ্ঞ হন।
3. পিয়ার-রিভিউ প্রক্রিয়া: নির্বাচিত রিভিউয়াররা প্রবন্ধটি পরীক্ষা করে এর বৈজ্ঞানিক গুণগত মান, পদ্ধতি, ফলাফল এবং উপসংহার মূল্যায়ন করেন।
4. ফিডব্যাক প্রদান: রিভিউয়াররা পর্যালোচনার পর মন্তব্য এবং পরামর্শ প্রদান করেন, যা লেখক তাদের গবেষণাপত্র সংশোধন বা উন্নত করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন।
5. গবেষণার পুনঃপর্যালোচনা: রিভিউয়ারদের ফিডব্যাকের পর লেখক প্রবন্ধটি সংশোধন করে পুনরায় জমা দেন এবং পুনরায় রিভিউয়ের জন্য পাঠানো হতে পারে।
6. প্রকাশনা সিদ্ধান্ত: অবশেষে, রিভিউয়ের ফলাফলের ভিত্তিতে প্রবন্ধটি প্রকাশনার জন্য গৃহীত হয় বা বাতিল করা হয়।

পিয়ার-রিভিউ সিস্টেমের সুবিধা:

• গবেষণার গুণগত মান বৃদ্ধি: পিয়ার-রিভিউ সিস্টেম গবেষণাপত্রের মান এবং বৈজ্ঞানিক শুদ্ধতা বৃদ্ধি করে।
• ভুল তথ্য বা পক্ষপাতিত্ব মুক্ত: এটি গবেষণার ফলাফলে পক্ষপাতিত্ব বা ভুল তথ্য সন্নিবেশের সম্ভাবনা কমায়।
• বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের মান বৃদ্ধি: পিয়ার-রিভিউ সিস্টেম বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের মধ্যে মান বজায় রাখে এবং উন্নতি সাধন করে।

পিয়ার-রিভিউয়ের ধরণ:

• ডাবল ব্লাইন্ড রিভিউ (Double-Blind Review): লেখক এবং রিভিউয়ার উভয়ের পরিচয় গোপন থাকে।
• সিঙ্গেল ব্লাইন্ড রিভিউ (Single-Blind Review): লেখকদের পরিচয় গোপন থাকে, কিন্তু রিভিউয়ারদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়।
• অপেন রিভিউ (Open Review): লেখক এবং রিভিউয়ার উভয়ের পরিচয় একে অপরকে জানানো হয়।

পিয়ার-রিভিউ সিস্টেমের মাধ্যমে গবেষণাপত্রের সঠিকতা, মান এবং বৈজ্ঞানিক গুরুত্বপূর্ণতা নিশ্চিত করা হয়, যা গবেষণার জগতে একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

পিয়ার-রিভিউ সিস্টেম: Double-Blind, Single-Blind, Open Review এর উদাহরণ

১. ডাবল ব্লাইন্ড রিভিউ (Double-Blind Review)

বর্ণনা: ডাবল ব্লাইন্ড রিভিউ পদ্ধতিতে লেখক এবং রিভিউয়ার উভয়ের পরিচয় গোপন থাকে। লেখক জানে না কে তার প্রবন্ধ পর্যালোচনা করছে এবং রিভিউয়ারও জানে না কোন লেখক তার প্রবন্ধ জমা দিয়েছেন।

উদাহরণ: ধরা যাক, একটি বৈজ্ঞানিক জার্নালে একটি গবেষণাপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। রিভিউয়াররা কেবল গবেষণার বিষয়বস্তু ও মানের ওপর ভিত্তি করে মন্তব্য করেন, কিন্তু লেখক এবং রিভিউয়ারদের পরিচয় উভয় পক্ষের কাছেই অজানা থাকে। এই পদ্ধতি পক্ষপাতিত্ব বা পরিচয়ের কারণে সৃষ্ট অযৌক্তিক প্রভাব দূর করতে সাহায্য করে।

২. সিঙ্গেল ব্লাইন্ড রিভিউ (Single-Blind Review)

বর্ণনা: সিঙ্গেল ব্লাইন্ড রিভিউতে লেখকের পরিচয় গোপন থাকে, তবে রিভিউয়ারদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়। এটি সাধারণত অধিকাংশ বৈজ্ঞানিক জার্নাল ব্যবহৃত পদ্ধতি।

উদাহরণ: ধরা যাক, একটি প্রবন্ধ জমা দেওয়ার পর, সম্পাদক রিভিউয়ার নির্বাচন করে। রিভিউয়াররা লেখকের নাম না জানলেও তার গবেষণার মূল্যায়ন করেন। তবে, লেখক জানে কে তার প্রবন্ধ পর্যালোচনা করছেন এবং রিভিউয়ারদের ফিডব্যাক প্রদান করেন। এই পদ্ধতি লেখককে লেখার মান উন্নয়নের জন্য প্রেরণা দেয়, কারণ তিনি জানেন তার প্রবন্ধকে পর্যালোচনা করছে এমন বিশেষজ্ঞরা।

৩. অপেন রিভিউ (Open Review)

বর্ণনা: অপেন রিভিউ পদ্ধতিতে লেখক এবং রিভিউয়ার উভয়ের পরিচয় একে অপরকে জানানো হয়। এই পদ্ধতিতে, রিভিউয়ারদের মন্তব্যও সাধারণত প্রকাশিত হয়, এবং লেখক রিভিউয়ের পর্যালোচনা প্রক্রিয়া সম্পর্কে পুরোপুরি অবহিত হন।

উদাহরণ: ধরা যাক, একটি গবেষণা পত্র জমা দেওয়ার পর, রিভিউয়াররা লেখকের নাম জানেন এবং লেখকও জানেন কে তার পত্র পর্যালোচনা করছে। এই পদ্ধতিতে রিভিউয়াররা তাদের মন্তব্য এবং সমালোচনা প্রকাশ করতে পারেন এবং লেখক সরাসরি তাদের ফিডব্যাক গ্রহণ করতে পারেন। এই পদ্ধতি গবেষণার স্বচ্ছতা এবং খোলামেলা আলোচনা নিশ্চিত করে।

Scopus এবং Elsevier এর অফিসের ঠিকানা

Elsevier-এর প্রধান অফিস

Elsevier একটি আন্তর্জাতিক প্রকাশনা সংস্থা, এবং তাদের প্রধান অফিস আমস্টারডাম, নেদারল্যান্ডসে অবস্থিত।

অফিসের ঠিকানা:

Elsevier B.V.
Radarweg 29,
1043 NX Amsterdam,
The Netherlands

Scopus সম্পর্কিত:

Scopus, Elsevier-এর মালিকানাধীন একটি ডাটাবেস, যা বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং প্রকাশনার তথ্য প্রদান করে। Scopus-এর পরিচালনা এবং কার্যক্রম Elsevier-এর অধীনে হওয়ায়, তাদের যোগাযোগের তথ্য একসাথে একই অফিসের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।

Elsevier-এর যোগাযোগের তথ্য:

• ওয়েবসাইট: https://www.elsevier.com
• ইমেইল যোগাযোগ: Contact page
• ফোন নম্বর: +31 20 485 3737 (এটি আমস্টারডাম অফিসের প্রধান যোগাযোগ নম্বর)