স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং হরিজন

স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং হরিজন বলতে কোন প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ লক্ষ্য ও লক্ষ্য পূরণের পরিকল্পনার জন্য নির্ধারিত সময়সীমা বোঝানো হয়। এটি আসলে সেই সময়সীমা যার মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান তার দীর্ঘমেয়াদী বা স্বল্পমেয়াদী লক্ষ্য অর্জনের জন্য কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।

স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং হরিজনের প্রকারভেদ

১. স্বল্পমেয়াদী (Short-Term Horizon)

• সময়সীমা: সাধারণত ১ থেকে ২ বছরের জন্য।
• বৈশিষ্ট্য: এতে প্রতিষ্ঠানের তাৎক্ষণিক লক্ষ্য অর্জন ও দৈনন্দিন কার্যক্রম উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা করা হয়।
• উদাহরণ: মাসিক বিক্রয় লক্ষ্য, বার্ষিক আয় বৃদ্ধির লক্ষ্য।

বিজ্ঞাপন (50×320)

২. মধ্যমেয়াদী (Medium-Term Horizon)

• সময়সীমা: সাধারণত ৩ থেকে ৫ বছরের জন্য।
• বৈশিষ্ট্য: এখানে প্রতিষ্ঠান তার মাঝারি মেয়াদে বিকাশ ও অবস্থান পরিবর্তনের লক্ষ্য নির্ধারণ করে থাকে।
• উদাহরণ: নতুন পণ্যের বাজারে প্রবেশ, কিছু নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য পরিকল্পনা।

বিজ্ঞাপন (50×320)

৩. দীর্ঘমেয়াদী (Long-Term Horizon)

• সময়সীমা: সাধারণত ৫ থেকে ১০ বছর বা তার বেশি।
• বৈশিষ্ট্য: এতে প্রতিষ্ঠানের মিশন, ভিশন এবং বৃহত্তর কৌশলগত লক্ষ্য অর্জনের পরিকল্পনা করা হয়।
• উদাহরণ: আন্তর্জাতিক প্রসারণ, পরিবেশের উপর প্রভাব কমানোর লক্ষ্যে টেকসই উন্নয়ন।

স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং হরিজনের গুরুত্ব

• সঠিক দিক নির্দেশনা: এই হরিজন প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক লক্ষ্য এবং কৌশলগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
• ঝুঁকি এবং সুযোগ বোঝা: বিভিন্ন সময়সীমায় ঝুঁকি ও সুযোগ বোঝা এবং সে অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা সহজ হয়।
• সম্পদ বরাদ্দ: স্বল্প, মধ্য, এবং দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যের জন্য বিভিন্ন সম্পদ ও বিনিয়োগ বরাদ্দ করা যায়।

সংক্ষেপে বলা যায়

স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং হরিজন একটি প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য এবং পরিকল্পনার সময়কাল নির্ধারণে সহায়ক, যা প্রতিষ্ঠানকে তার লক্ষ্য পূরণের জন্য সঠিক পথনির্দেশ দেয়।