Credit:Muhammad Shahjahan
www.executiveassist.blogspot.com
All Parts [PDF] - 100 tk Only

স্বনির্ধারণী রিটার্ন সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১: স্বনির্ধারণী রিটার্ন কী?

উত্তর: স্বনির্ধারণী রিটার্ন হল এমন একটি রিটার্ন যা একজন করদাতা কর্তৃক নির্ধারিত করবর্ষের জন্য দাখিল করা হয়, যেখানে আয়, কর ও অন্যান্য দায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্ধারণ করা হয়।

প্রশ্ন ২: স্বনির্ধারণী রিটার্ন দাখিলের জন্য কী কী শর্ত Fulfill করতে হবে?

উত্তর: রিটার্নটি ধারা ১৬৯ ও ১৭৩, ১৭৪ এর বিধানসমূহ অনুসরণ করে দাখিল করতে হবে।

প্রশ্ন ৩: যদি দাখিলকৃত রিটার্নে ভুল থাকে, তাহলে কী করতে হবে?

উত্তর: করদাতা লিখিত বিবৃতির মাধ্যমে সংশোধিত রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন, যদি তা জানায় যে দাখিলকৃত রিটার্নে প্রদর্শিত আয়, দাবিকৃত কর অব্যাহতি বা ক্রেডিট সঠিকভাবে গণনা হয়নি।

প্রশ্ন ৪: সংশোধিত রিটার্ন দাখিলের জন্য সময়সীমা কী?

উত্তর: সংশোধিত রিটার্ন দাখিল করার জন্য রিটার্ন দাখিলের তারিখ থেকে ১৮০ দিনের মধ্যে করতে হবে।

প্রশ্ন ৫: নতুন স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতার প্রারম্ভিক মূলধনের উৎস সম্পর্কে কী প্রশ্ন উঠবে?

উত্তর: নতুন স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতার প্রারম্ভিক মূলধনের উৎস সম্পর্কে প্রশ্ন উঠবে না, যদি তারা নির্দিষ্ট শর্তসমূহ পূরণ করে, যেমন নিয়মিত করহারে কর পরিশোধ করা ও ব্যবসায়ের অস্তিত্বের প্রমাণ দাখিল করা।

রিটার্ন প্রসেস সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১: ধারা ১৮০ অনুযায়ী স্বনির্ধারণী রিটার্ন প্রসেস করার পদ্ধতি কী?

উত্তর: উপকর কমিশনার গাণিতিক ত্রুটি বা অশুদ্ধ দাবির সমন্বয় করে আয়, কর ও অন্যান্য অঙ্ক নির্ধারণ করবেন, এবং উৎস কর ও অগ্রিম করের ক্রেডিট প্রদান করে প্রদেয় বা প্রত্যর্পণযোগ্য কর নির্ধারণ করবেন।

প্রশ্ন ২: রিটার্ন প্রসেসের ফলস্বরূপ যদি আয় বা করের মধ্যে পার্থক্য দেখা দেয়, তাহলে করদাতাকে কীভাবে নোটিশ প্রদান করা হবে?

উত্তর: উপকর কমিশনার পার্থক্যের পরিমাণসহ একটি পরিগণনা পত্র নোটিশের সঙ্গে যুক্ত করে অবহিত করবেন এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অবস্থান ব্যাখ্যা করার সুযোগ দেবেন।

প্রশ্ন ৩: করদাতাকে কী ধরনের সুযোগ দেওয়া হবে নোটিশের প্রেক্ষিতে?

উত্তর: করদাতাকে সংশোধিত রিটার্ন দাখিল এবং প্রদেয় কর ও অন্যান্য অঙ্ক পরিশোধের সুযোগ প্রদান করা হবে।

প্রশ্ন ৪: যদি করদাতা সংশোধিত রিটার্ন দাখিল করে, তাহলে উপকর কমিশনারকে কী শর্ত পূরণ করতে হবে?

উত্তর: সংশোধিত রিটার্নের গ্রহণপত্র ৯০ দিনের মধ্যে পাঠাতে হবে এবং নিশ্চিত হতে হবে যে প্রদেয় কর ও অন্যান্য অঙ্ক যথাযথভাবে পরিশোধ করা হয়েছে।

প্রশ্ন ৫: "অশুদ্ধ দাবি" বলতে কী বোঝায়?

উত্তর: অশুদ্ধ দাবি বলতে রিটার্নে প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে করা কোনো দাবি বোঝায়, যা অন্য কোনো এন্ট্রি বা দাখিলকৃত দলিলাদির সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ বা অনুমোদিত সীমা অতিক্রম করে।

প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১: কে অডিটের জন্য রিটার্ন নির্বাচন করতে পারে?

উত্তর: বোর্ড বা বোর্ডের অনুমোদনক্রমে অধীনস্থ কর্তৃপক্ষ অডিটের জন্য রিটার্ন নির্বাচন করতে পারে।

প্রশ্ন ২: অডিটের জন্য নির্বাচিত রিটার্নের তালিকা প্রাপ্তির পর কর কমিশনার কি করবে?

উত্তর: কর কমিশনার ৭ কর্মদিবসের মধ্যে অনুসন্ধানকারী টিম, অডিট টিম এবং অডিট কিউরেটর নিযুক্ত করবেন।

প্রশ্ন ৩: অনুসন্ধানকারী টিম কী ধরনের তথ্য সংগ্রহ করবে?

উত্তর: আয়, ব্যয়, পরিসম্পদ, দায়, লেনদেন এবং আর্থিক বিবৃতি সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করবে।

প্রশ্ন ৪: অডিট টিম কিভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করবে?

উত্তর: তারা অডিট ম্যানুয়াল এবং নির্দেশিকা অনুসরণ করে মাঠ পরিদর্শন এবং তথ্য যাচাই করবে।

প্রশ্ন ৫: অডিট প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমা কত?

উত্তর: অনুসন্ধান প্রতিবেদন জমা দেওয়ার ৩০০ দিনের মধ্যে অডিট প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।

প্রশ্ন ৬: করদাতা যদি সংশোধিত রিটার্ন দাখিল না করে, তাহলে কি হবে?

উত্তর: উপকর কমিশনার কর নির্ধারণ করতে পারবে।

প্রশ্ন ৭: অডিটের ফলাফল যদি সংশোধিত রিটার্নে প্রতিফলিত না হয়, তাহলে কি করা হবে?

উত্তর: উপকর কমিশনার কর নির্ধারণ করতে পারবে এবং অন্যান্য কার্যধারা গ্রহণ করতে পারে।

প্রশ্ন ৮: অডিট কিউরেটর কী করবে?

উত্তর: অডিট কিউরেটর ৭ কর্মদিবসের মধ্যে সুপারিশ করবে যে অডিট কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে কিনা।

প্রশ্ন ৯: যদি করদাতা অডিট প্রতিবেদন অনুযায়ী তথ্য সরবরাহ না করে, তাহলে কি হবে?

উত্তর: উপকর কমিশনার কর নির্ধারণ করতে পারবে, কিন্তু অনুসন্ধান ও অডিট পর্যায় শেষ হতে হবে এবং করদাতাকে অবহিত করতে হবে।

কর নির্ধারণ ও অডিট: সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১: উপকর কমিশনার কোন ক্ষেত্রে কর নির্ধারণ করতে পারে?

উত্তর: উপকর কমিশনার নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রসমূহে কর নির্ধারণ করতে পারে:

- দাখিলকৃত বা সংশোধিত রিটার্নের ভিত্তিতে।

- কর নির্ধারণের যোগ্যতা থাকা ব্যক্তির ক্ষেত্রে।

- আইন অনুযায়ী আয়কর পরিশোধের যোগ্যতা থাকা ব্যক্তির ক্ষেত্রে।

প্রশ্ন ২: কর নির্ধারণের জন্য কি শর্তাবলী মেনে চলতে হবে?

উত্তর: নিম্নলিখিত শর্তাবলী পূরণ করতে হবে:

- রিটার্ন নির্ধারিত তারিখে দাখিল করতে হবে।

- প্রদেয় কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমার মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।

- রিটার্নে কোনো ক্ষতি বা কম আয় প্রদর্শন করা উচিত নয়।

- কর নির্ধারণের ফলে কর প্রত্যর্পণ করা যাবে না।

- করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর উল্লেখ থাকতে হবে।

প্রশ্ন ৩: উপকর কমিশনার যদি করদাতার উপস্থিতি বা সাক্ষ্য প্রয়োজন মনে করেন, তবে কি হবে?

উত্তর: কমিশনার নোটিশ প্রদান করবেন, যাতে করদাতাকে নির্দিষ্ট সময় ও তারিখে উপস্থিত হতে হবে অথবা প্রয়োজনীয় প্রমাণ দাখিল করতে হবে।

প্রশ্ন ৪: করদাতা নোটিশের শর্তাবলী পূরণ না করলে কি হবে?

উত্তর: কমিশনার সেরা বিচারভিত্তিক কর নির্ধারণ করতে পারেন।

প্রশ্ন ৫: কর নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় কমিশনার কি কি করবেন?

উত্তর: কমিশনার শুনানি ও সাক্ষ্য প্রমাণের জন্য প্রয়োজনীয় নোটিশ পাঠাবেন এবং শেষে লিখিত বা ইলেকট্রনিক আদেশ প্রদান করবেন।

প্রশ্ন ৬: কর নির্ধারণের আদেশ কতদিনের মধ্যে করদাতাকে জানাতে হবে?

উত্তর: আদেশের ৩০ দিনের মধ্যে করদাতাকে অবহিত করতে হবে।

সর্বোত্তম বিচারভিত্তিক কর নির্ধারণ: সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১: উপকর কমিশনার কিভাবে সর্বোত্তম বিচারভিত্তিক কর নির্ধারণ করবেন?

উত্তর: কমিশনার নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে সর্বোত্তম বিচারভিত্তিক কর নির্ধারণ করবেন:

- যদি করদাতা নির্ধারিত নোটিশ অনুযায়ী পরিপালন না করে এবং কোনো রিটার্ন দাখিল না করে।

- যদি করদাতা অন্যান্য নোটিশের শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়।

প্রশ্ন ২: সর্বোত্তম বিচারভিত্তিক কর নির্ধারণের সময় কি বিষয়গুলি বিবেচনা করা হবে?

উত্তর: প্রাপ্ত তথ্য, আইনি এবং বাস্তব বিষয়গুলোর যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে।

প্রশ্ন ৩: কর নির্ধারণী আদেশে কি বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে?

উত্তর: আদেশে সর্বোত্তম বিচারভিত্তিক কর নির্ধারণের ভিত্তিসমূহ প্রতিফলিত থাকবে।

প্রশ্ন ৪: আদেশ কিভাবে প্রদান করা হবে এবং করদাতাকে কতদিনের মধ্যে অবহিত করতে হবে?

উত্তর: কমিশনার লিখিত বা নির্দিষ্ট ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে আদেশ প্রদান করবেন এবং আদেশের তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে করদাতাকে অবহিত করবেন।

সাময়িক কর নির্ধারণ: সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১: উপকর কমিশনার কিভাবে সাময়িক কর নির্ধারণ করবেন?

উত্তর: উপকর কমিশনার কোনো আয়বর্ষে করদাতার মোট আয়ের উপর সাময়িক কর নির্ধারণ করবেন।

প্রশ্ন ২: সাময়িক কর নির্ধারণের জন্য কোন সময়সীমা রয়েছে?

উত্তর:

- যখন সংশ্লিষ্ট করবর্ষের যেকোনো সময়ে রিটার্ন দাখিল করা হয়।

- যখন করদিবসে বা তার পূর্ববর্তী দিনে সংশ্লিষ্ট করবর্ষের রিটার্ন জমা করা হয় না।

প্রশ্ন ৩: সাময়িক কর নির্ধারণের ভিত্তি কি হবে?

উত্তর:

- রিটার্ন, হিসাব ও দলিলাদি, যদি থাকে, এবং সহজলভ্য তথ্য ও উপাদানের ভিত্তিতে কমিশনারের সর্বোত্তম বিচারের ভিত্তিতে।

প্রশ্ন ৪: কমিশনার কি ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করতে পারেন?

উত্তর:

- গাণিতিক ত্রুটি সংশোধন।

- ক্ষতির সমন্বয় এবং জের টানা বা অবচয় ভাতার জের টানা।

প্রশ্ন ৫: সাময়িক কর নির্ধারণের পর প্রদেয় কর কিভাবে বিবেচিত হবে?

উত্তর: সাময়িক কর নির্ধারণের ভিত্তিতে প্রদেয় কর নিয়মিত কর নির্ধারণের ভিত্তিতে নির্ধারিত হিসাবে বিবেচিত হবে।

প্রশ্ন ৬: ক্রেডিটের ক্ষেত্রে কি কি বিষয় বিবেচিত হবে?

উত্তর:

- উৎসে কর্তন বা সংগ্রহকৃত কর যা সরকারকে প্রদান করা হয়েছে।

- পরিশোধিত কোনো অগ্রিম কর।

প্রশ্ন ৭: সাময়িক কর নির্ধারণের মাধ্যমে অর্থ প্রদান করলে কি হবে?

উত্তর: এটি একই করবর্ষের নিয়মিত কর নির্ধারণের অধীনে প্রদেয় করের পরিগণনায় ক্রেডিট হিসেবে গণ্য হবে।

প্রশ্ন ৮: সাময়িক কর নির্ধারণের বিরুদ্ধে কি কোনো আপিল করা যাবে?

উত্তর: না, এই ধারার অধীন কৃত সাময়িক কর নির্ধারণের বিরুদ্ধে কোনো আপিল দায়ের করা যাবে না।

উৎস করের রিটার্ন অডিট: সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১: উৎস করের রিটার্ন অডিট কিভাবে নির্বাচন করা হয়?

উত্তর: কর কমিশনারের অনুমোদনক্রমে, উপকর কমিশনার উৎস করের রিটার্নের মধ্যে থেকে কতিপয় রিটার্ন অডিটের জন্য নির্বাচন করবেন।

প্রশ্ন ২: উৎস কর রিটার্নের অডিটে কি কি বিষয় দেখা হবে?

উত্তর:

- কর কর্তন বা সংগ্রহের হার, পরিমাণ এবং পদ্ধতি।

- সংগৃহীত বা কর্তনকৃত কর সরকারের হিসাবে সময়মত প্রদান হয়েছে কিনা।

- কর কর্তন বা সংগ্রহের সনদ আইন অনুযায়ী প্রদত্ত হয়েছে কিনা।

প্রশ্ন ৩: যদি অডিটে কোনো সমস্যা পাওয়া যায়, তবে কি হবে?

উত্তর: উপকর কমিশনার ধারা ১৪৩, ১৪৪ এবং ২৬৬ সহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

প্রশ্ন ৪: অডিটের উদ্দেশ্যে কিভাবে নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হবে?

উত্তর: বোর্ড অডিটের উদ্দেশ্যে রিটার্ন নির্বাচন এবং অডিট নিষ্পন্নের জন্য পূর্ণাঙ্গ অডিট নির্দেশিকা প্রণয়ন করবে।

প্রশ্ন ৫: কতো সময় পরে কোনো রিটার্ন অডিটের জন্য নির্বাচন করা যাবে না?

উত্তর: রিটার্ন দাখিলের পর ৪ (চার) বৎসর উত্তীর্ণ হলে সেই রিটার্ন অডিটের জন্য নির্বাচন করা যাবে না।

ফার্ম বা ব্যক্তিসংঘের কর নির্ধারণ: সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১: ফার্ম বা ব্যক্তিসংঘের কর নির্ধারণের প্রথম পদক্ষেপ কি?

উত্তর: প্রথমে ফার্মের বা ব্যক্তিসংঘের মোট আয় নির্ধারণ করতে হবে।

প্রশ্ন ২: মোট আয়ের ভিত্তিতে কি করা হবে?

উত্তর: মোট আয়ের ভিত্তিতে করদায় নিরূপণ করতে হবে।

প্রশ্ন ৩: করপরবর্তী আয় কিভাবে বিতরণ করা হবে?

উত্তর: করপরবর্তী আয় অংশীদার বা সদস্যদের মধ্যে আনুপাতিক হারে বন্টন করা হবে।

ফার্মের গঠনতন্ত্র পরিবর্তনের ক্ষেত্রে কর নির্ধারণ: সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১: ফার্মের গঠনতন্ত্র পরিবর্তনের পর কর নির্ধারণের প্রক্রিয়া কি?

উত্তর: গঠনতন্ত্র পরিবর্তিত হলে, কর নির্ধারণকালে নতুনভাবে গঠিত ফার্মের কর নির্ধারণ করা হবে।

প্রশ্ন ২: করবর্ষের আয় কিভাবে বিতরণ করা হবে?

উত্তর: ওই আয়বর্ষে যেসব অংশীদার আয়ের অংশ প্রাপ্তির অধিকারী, তাদের মধ্যে আয় বিভাজন করতে হবে।

প্রশ্ন ৩: যদি কোনো অংশীদারের উপর ধার্যকৃত কর আদায় করা সম্ভব না হয়, তবে কি করা হবে?

উত্তর: সেই ক্ষেত্রে কর নির্ধারণকালে গঠিত ফার্ম থেকে আদায় করা হবে।

প্রশ্ন ৪: ফার্মের গঠনতন্ত্র পরিবর্তন কিভাবে প্রতীয়মান হবে?

উত্তর:

1. যদি অংশীদারদের শেয়ারে পরিবর্তন হয় কিন্তু সকল অংশীদার বর্তমান থাকেন।

2. যদি এক বা একাধিক অংশীদারের মালিকানা বিলোপ অথবা নতুন অংশীদার অন্তর্ভুক্ত হলে, তবুও যদি মূল অংশীদাররা বর্তমান থাকেন।

উত্তরাধিকারী নূতন ফার্ম গঠনের ক্ষেত্রে কর নির্ধারণ: সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১: কোন পরিস্থিতিতে নূতন ফার্মের কর নির্ধারণ করতে হবে?

উত্তর: যখন কোনো ফার্মের কর নির্ধারণের সময় দেখা যায় যে, ফার্মের উত্তরসূরি হিসেবে নূতন ফার্ম প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এবং পূর্বের ফার্মের কর নির্ধারণ ধারা ১৮৮ দ্বারা সম্ভব নয়।

প্রশ্ন ২: এই ক্ষেত্রে কর নির্ধারণ কিভাবে করা হবে?

উত্তর: পূর্বসূরি ফার্ম এবং উত্তরসূরি ফার্মের জন্য পৃথকভাবে কর নির্ধারণ করতে হবে, যা ধারা ১৯০ এর অধীনে ব্যবসার উত্তরাধিকার সংক্রান্ত বিধানের আলোকে করা হবে।

মৃত্যু ব্যতীত অন্য কোনোভাবে উত্তরাধীকারসূত্রে প্রাপ্ত ব্যবসায়ের কর নির্ধারণ: সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১: উত্তরাধিকারসূত্রে ব্যবসায়িক অধিকার লাভের পর কর নির্ধারণ কিভাবে হবে?

উত্তর: যদি কোনো ব্যক্তি অন্য কোনো ব্যক্তির ব্যবসায়ের উত্তরাধিকারী হন, তবে ওই বছর ও পূর্বের সময়ের জন্য পূর্বসূরির কর নির্ধারণ করা হবে এবং উত্তরাধিকার লাভের পরবর্তী সময়ের জন্য উত্তরসূরির কর নির্ধারণ করা হবে।

প্রশ্ন ২: যদি পূর্বসূরি পাওয়া না যায়, তাহলে কর নির্ধারণ কিভাবে হবে?

উত্তর: পূর্বসূরি না পাওয়ার ক্ষেত্রে, উত্তরাধিকার লাভের বছর বা তার পূর্বের বছরগুলোর জন্যও উত্তরসূরির কর নির্ধারণ করা হবে, এবং এই আইনের প্রযোজ্য বিধান অনুসরণ করা হবে।

প্রশ্ন ৩: যদি পূর্বসূরি থেকে কোনো পরিমাণ টাকা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব না হয়, তখন কি হবে?

উত্তর: এই ক্ষেত্রে, উপকর কমিশনার তথ্যাদি লিপিবদ্ধ করে ওই অঙ্ক উত্তরসূরির কাছে পুনরুদ্ধার করতে পারবেন, এবং উত্তরসূরি পুনরুদ্ধারকৃত অঙ্ক পূর্বসূরির কাছ থেকে পুনরুদ্ধারের অধিকারী হবেন।

বন্ধ ব্যবসার ক্ষেত্রে কর নির্ধারণ: সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১: যদি কোনো ব্যবসা বন্ধ হয়, তাহলে কর নির্ধারণের প্রক্রিয়া কী?

উত্তর: ব্যবসা বন্ধ হওয়ার পর উক্ত অর্থবর্ষের জন্য কর নির্ধারণ করা হবে, যা ব্যবসা বন্ধ হওয়ার তারিখ থেকে শুরু হবে।

প্রশ্ন ২: ব্যবসা বন্ধ হলে, নোটিশ দেওয়ার সময়সীমা কত?

উত্তর: ব্যবসা বন্ধ হওয়ার ১৫ (পনেরো) দিনের মধ্যে উপকর কমিশনারকে নোটিশ দিতে হবে এবং একই সাথে আয়ের রিটার্ন দাখিল করতে হবে।

প্রশ্ন ৩: নোটিশ প্রদান করতে ব্যর্থ হলে কি হবে?

উত্তর: নোটিশ না দিলে উপকর কমিশনার ব্যবসা বন্ধের তারিখ পর্যন্ত জরিমানা আদায় করতে পারেন, তবে এই জরিমানার অঙ্ক পূর্ববর্তী করবর্ষের করের অঙ্কের চেয়ে বেশি হবে না।

প্রশ্ন ৪: কর নির্ধারণের সময় কোন নোটিশ প্রদান করা হবে?

উত্তর: উপকর কমিশনার কর নির্ধারণের সময় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, ফার্মের অংশীদার, বা কোম্পানির প্রধান কর্মচারীর কাছে ৭ (সাত) দিন সময় দিয়ে রিটার্ন দাখিলের জন্য নোটিশ প্রদান করতে পারেন।

প্রশ্ন ৫: প্রদত্ত নোটিশ কি কোনো আইনের আওতায় গণ্য হবে?

উত্তর: হ্যাঁ, প্রদত্ত নোটিশ ধারা ১৭২ এর অধীন নোটিশ হিসাবে গণ্য হবে এবং এই আইনের অন্যান্য বিধানও প্রয়োগ হবে।

হিন্দু অবিভক্ত পরিবারের বিভাজনের ক্ষেত্রে কর নির্ধারণ: সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১: হিন্দু অবিভক্ত পরিবারের বিভাজন কিভাবে নির্ধারণ করা হবে?

উত্তর: হিন্দু অবিভক্ত পরিবারের বিভাজনের তথ্য প্রদান না করা পর্যন্ত পরিবারটি অবিভক্ত হিসেবেই গণ্য হবে। যদি কোনো সদস্য বিভাজনের দাবি করেন, তবে উপকর কমিশনার সদস্যদের নোটিশ দিয়ে তদন্ত করবেন।

প্রশ্ন ২: তদন্তের পর কি সিদ্ধান্ত নেয়া হবে?

উত্তর: তদন্তের ফলাফল লিপিবদ্ধ করা হবে এবং বিভাজনের তারিখ রেকর্ড করা হবে। যদি বিভাজন কোন আয়বর্ষের শেষে ঘটে, তাহলে আয় সেই সময় পর্যন্ত অবিভক্ত হিসেবেই গণ্য হবে।

প্রশ্ন ৩: যদি বিভাজন আয়বর্ষের মধ্যে ঘটে?

উত্তর: এমন ক্ষেত্রে বিভাজনের তারিখের পূর্ব পর্যন্ত অবিভক্ত পরিবারের মোট আয় অবিভক্ত হিসেবেই গণ্য হবে এবং সদস্যরা যৌথভাবে বা পৃথকভাবে দায়বদ্ধ থাকবেন।

প্রশ্ন ৪: কর নির্ধারণ সম্পন্ন হওয়ার পর বিভাজন ঘটলে কি হবে?

উত্তর: যদি উপকর কমিশনার মনে করেন যে বিভাজন ইতোমধ্যে কার্যকর হয়েছে, তবে সদস্যদের কাছ থেকে কর পুনরুদ্ধারযোগ্য হবে। সদস্যগণ ঐ সময়ের আয়ের জন্য যৌথভাবে এবং পৃথকভাবে দায়বদ্ধ হবেন।

প্রশ্ন ৫: পৃথক দায়বদ্ধতা কিভাবে নির্ধারণ করা হবে?

উত্তর: সদস্যের পৃথক দায়বদ্ধতা তার বরাদ্দকৃত বিভাজিত সম্পত্তির অংশ অনুসারে নির্ধারণ করা হবে।

প্রশ্ন ৬: জরিমানা, সুদ, দণ্ড বা অন্য কোনো অঙ্কের ক্ষেত্রে কি নিয়ম প্রযোজ্য?

উত্তর: এই ধারার বিধানসমূহ হিন্দু অবিভক্ত পরিবারের আবেদন অনুসারে বিভাজনের তারিখ পর্যন্ত যেকোনো জরিমানা, সুদ, দণ্ড বা অন্য কোনো অঙ্ক আরোপ ও আদায়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

বাংলাদেশ ত্যাগকারী ব্যক্তির ক্ষেত্রে কর নির্ধারণ: সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১: বাংলাদেশের বাইরে চলে যাওয়ার আগে কর নির্ধারণ কিভাবে করা হবে?

উত্তর: উপকর কমিশনার এই ব্যক্তির চলতি অর্থবর্ষের মোট আয়ের ভিত্তিতে কর নির্ধারণ করবেন। যদি পূর্বে কর নির্ধারণ হয়ে থাকে, তবে শেষ আয়বর্ষের সমাপ্তির পর থেকে ত্যাগের সম্ভাব্য তারিখ পর্যন্ত এবং যদি পূর্বে কর নির্ধারণ না হয়ে থাকে, তবে বাংলাদেশ ত্যাগের সম্ভাব্য তারিখ পর্যন্ত অবস্থানকালীন আয়ের জন্য কর নির্ধারণ করা হবে।

প্রশ্ন ২: কর নির্ধারণের প্রক্রিয়া কিভাবে সম্পন্ন হবে?

উত্তর:

- পূর্ণ আয়বর্ষের ক্ষেত্রে নির্ধারিত হারে কর প্রযোজ্য হবে।

- শেষ আয়বর্ষের পর প্রস্থানের সম্ভাব্য তারিখের মধ্যে সময়ের জন্য শেষ অর্থবর্ষে বলবৎ হারে কর নির্ধারণ করা হবে।

প্রশ্ন ৩: কর নির্ধারণের জন্য কি তথ্য দিতে হবে?

উত্তর: উপকর কমিশনার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নোটিশ জারি করবেন এবং তাকে ৭ দিনের মধ্যে নিম্নলিখিত তথ্যাদি দিতে হবে:

- ধারা ১৬৬ এর অধীনে রিটার্ন, অন্যান্য বিবরণসহ মোট আয় সংবলিত।

- প্রত্যেক পূর্ণ আয়বর্ষের পরে তার বাংলাদেশ ত্যাগের সম্ভাব্য তারিখ পর্যন্ত মোট আয়ের একটি প্রাক্কলন।

প্রশ্ন ৪: নোটিশটি কিভাবে প্রদান করা হবে?

উত্তর: কর নির্ধারণের উদ্দেশ্যে উপ-ধারা (৩) এর অধীন নোটিশটি এই আইনের সকল বিধান অনুসরণ করে ধারা ১৭২ এর নোটিশ প্রদানের পদ্ধতিতে প্রদান করা হবে।

মৃত ব্যক্তির ক্ষেত্রে আয়কর নির্ধারণ: সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১: মৃত ব্যক্তির আয়কর সংক্রান্ত দায়িত্ব কিভাবে নির্ধারিত হবে?

উত্তর: মৃত ব্যক্তির আইনগত প্রতিনিধি এই আইনের অধীন প্রদেয় কর বা অন্য কোনো অর্থ প্রদানের জন্য দায়বদ্ধ হবেন, যেইরূপে মৃত ব্যক্তি মৃত্যুবরণ না করিলে দায়বদ্ধ হইতেন। আইনগত প্রতিনিধিকে করদাতা হিসাবে গণ্য করার পূর্বে উপকর কমিশনার তার নিকট নোটিশ প্রেরণ করবেন।

প্রশ্ন ২: মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে গৃহীত কার্যক্রম কিভাবে পরিচালিত হবে?

উত্তর: মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে গৃহীত যেকোনো কার্যক্রম আইনগত প্রতিনিধির বিরুদ্ধে গ্রহণ করা হবে। মৃত্যুর তারিখে কার্যক্রম যেই পর্যায়ে ছিল, সেই পর্যায় থেকে কার্যক্রম চলমান থাকবে।

প্রশ্ন ৩: আইনগত প্রতিনিধির ক্ষেত্রে কি ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে?

উত্তর: মৃত ব্যক্তির জীবিত থাকাকালে যে কার্যক্রম গ্রহণ করা যেত, আইনগত প্রতিনিধির ক্ষেত্রেও একই কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। এই আইনের সকল বিধান দ্রুততার সঙ্গে তার ক্ষেত্রে প্রয়োগযোগ্য হবে।

প্রশ্ন ৪: আইনগত প্রতিনিধির দায় কেমন হবে?

উত্তর: আইনগত প্রতিনিধির দায় কেবল মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি থেকে দায় নিরসনের সক্ষমতা পর্যন্ত সীমিত থাকবে।

প্রশ্ন ৫: "আইনগত প্রতিনিধি" বলতে কাকে বোঝানো হয়?

উত্তর: "আইনগত প্রতিনিধি" বলতে নির্বাহক, প্রশাসক এবং মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি পরিচালনাকারী যেকোনো ব্যক্তি অন্তর্ভুক্ত হবে।

স্পটে কর নির্ধারণ: সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১: স্পটে কর নির্ধারণের ক্ষেত্রে কাদের কর নির্ধারণ করা যাবে?

উত্তর: স্পটে কর নির্ধারণ করা যাবে তাদের, যাদের করযোগ্য আয় থাকে, রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা থাকে, এবং এই আইনের বিধানাবলি পরিপালনের বাধ্যবাধকতা থাকে।

প্রশ্ন ২: কর নির্ধারণের জন্য কোন পরিস্থিতিতে উপকর কমিশনার ব্যবস্থা নিতে পারেন?

উত্তর: উপকর কমিশনার কর নির্ধারণ করবেন যদি কেউ আইনের বিধানাবলি কার্যকরণে বা পরিপালনে ব্যর্থ হন।

প্রশ্ন ৩: কর কমিশনারের ক্ষমতা কি?

উত্তর: কর কমিশনার তার অধীনস্ত যেকোনো উপকর কমিশনারকে এই ধারার অধীন কর নির্ধারণের জন্য ক্ষমতার্পণ করতে পারেন।

প্রশ্ন ও উত্তর: কর নির্ধারণ নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপনে বাধা

প্রশ্ন ১: ধারা ১৯৬ অনুযায়ী, কর নির্ধারণ নিয়ে কে প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারে?

উত্তর: আয়কর কর্তৃপক্ষ, কর আপিল ট্রাইব্যুনাল, এবং বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট।

প্রশ্ন ২: অন্য কোন ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষ কি কর নির্ধারণ নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারে?

উত্তর: না, তারা এ বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারবে না।

প্রশ্ন ৩: উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করলে কি হয়?

উত্তর: তা বাতিল বা অকার্যকর বলে গণ্য হবে এবং এর কোনো আইনগত কার্যকারিতা থাকবে না।